ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসি চাইলে সব আসনের নির্বাচনের ফল বাতিল করতে পারবে, ‘না’ ভোট প্রথাও থাকছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৭১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) চাইলে সব কয়টি আসনের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করতে পারবে। গণমাধ্যম কর্মীদের এমন তথ্য জানিয়েছেন ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকছে না ইভিএম। তবে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সানাউল্লাহ।

এদিন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে মুলতবি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরপিও সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে স্বশন্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন চাইলে ৩০০ আসনের ফলাফল বাতিল করতে পারবে। ‘না’ ভোটের বিধান আনা হয়েছে। যেখানে একজন প্রার্থী থাকবে। বিনাভোটে কেউ নির্বাচিত হতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ফলাফলে সমান ভোট পেলে লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ হবে না। পুনরায় ভোট হবে। জোটগতভাবে নির্বাচন করলে দলগুলোকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও তদন্ত করে এমপি পদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোটাররা প্রথমবারের মতো ‘না’ ভোট প্রয়োগ করেছিল। ওই সময় জারি করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ৩১(৫)(বিবি)-তে এ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ বিধান অনুযায়ী ব্যালট পেপারের সবশেষ প্রার্থীর স্থানে লেখা থাকে ‘ওপরের কাউকে নয়’ এবং ভোটারদের সহজ পরিচিতির জন্য মার্কা রাখা হয় ‘ক্রস’ (ঢ)। তখন সারাদেশে মোট প্রদত্ত ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ ভোটের মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি ‘না ভোট’ পড়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইসি চাইলে সব আসনের নির্বাচনের ফল বাতিল করতে পারবে, ‘না’ ভোট প্রথাও থাকছে

আপডেট সময় : ০৮:১৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) চাইলে সব কয়টি আসনের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করতে পারবে। গণমাধ্যম কর্মীদের এমন তথ্য জানিয়েছেন ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকছে না ইভিএম। তবে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সানাউল্লাহ।

এদিন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে মুলতবি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরপিও সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে স্বশন্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন চাইলে ৩০০ আসনের ফলাফল বাতিল করতে পারবে। ‘না’ ভোটের বিধান আনা হয়েছে। যেখানে একজন প্রার্থী থাকবে। বিনাভোটে কেউ নির্বাচিত হতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ফলাফলে সমান ভোট পেলে লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ হবে না। পুনরায় ভোট হবে। জোটগতভাবে নির্বাচন করলে দলগুলোকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও তদন্ত করে এমপি পদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোটাররা প্রথমবারের মতো ‘না’ ভোট প্রয়োগ করেছিল। ওই সময় জারি করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ৩১(৫)(বিবি)-তে এ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ বিধান অনুযায়ী ব্যালট পেপারের সবশেষ প্রার্থীর স্থানে লেখা থাকে ‘ওপরের কাউকে নয়’ এবং ভোটারদের সহজ পরিচিতির জন্য মার্কা রাখা হয় ‘ক্রস’ (ঢ)। তখন সারাদেশে মোট প্রদত্ত ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ ভোটের মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি ‘না ভোট’ পড়েছিল।