ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিতর্কীত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের খোঁজে অন্তর্বর্তী সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাচন কশিন কতৃক সম্পন্ন হয়ে থাকে সকল ধরণের নির্বাচন। বিশেষ করে সবচে বেশি গুরুত্ব পেয়ে থাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিতর্কে রুপ নয়। যা কিনা সবার মুখে মুখে সমালিচিত হয়ে উঠে। এমন কি যারা এমন নির্বাচনে বিতর্কীত নির্বাচনে ক্ষমতায় গিয়েছিলেন ছিলেন তাদের কারো কারো মুখ ছিলো মুছকি আর বিদ্রুপী হাসি। তবে তারা ভাবতেই পারেনি একটি পাঁচ আগস্ট তাদের জন্য কাল হয়ে অপেক্ষা করছে। বদলে গেছে দৃশ্যপট। সাধারণ মানুষের চাপে দেশ ছেড়ে পালালো বিতর্কীত নির্বাচনের নীল নকশাকারী তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা।

সময়েরা ব্যবধানে তাদের সেই নীল নকশায় সহায়তাকারীদের খুঁজছে এখন অন্তর্বর্তীকালীণ সরকার। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চিরুনী অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। আর তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত তিনটি নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিতর্কীত নির্বাচন আয়োজনে জড়িত প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্ত করা হবে। অবিলম্বে এই তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশও দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগির সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারবো।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবো তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।”

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিতর্কীত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের খোঁজে অন্তর্বর্তী সরকার

আপডেট সময় : ১১:৪১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

নির্বাচন কশিন কতৃক সম্পন্ন হয়ে থাকে সকল ধরণের নির্বাচন। বিশেষ করে সবচে বেশি গুরুত্ব পেয়ে থাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিতর্কে রুপ নয়। যা কিনা সবার মুখে মুখে সমালিচিত হয়ে উঠে। এমন কি যারা এমন নির্বাচনে বিতর্কীত নির্বাচনে ক্ষমতায় গিয়েছিলেন ছিলেন তাদের কারো কারো মুখ ছিলো মুছকি আর বিদ্রুপী হাসি। তবে তারা ভাবতেই পারেনি একটি পাঁচ আগস্ট তাদের জন্য কাল হয়ে অপেক্ষা করছে। বদলে গেছে দৃশ্যপট। সাধারণ মানুষের চাপে দেশ ছেড়ে পালালো বিতর্কীত নির্বাচনের নীল নকশাকারী তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা।

সময়েরা ব্যবধানে তাদের সেই নীল নকশায় সহায়তাকারীদের খুঁজছে এখন অন্তর্বর্তীকালীণ সরকার। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চিরুনী অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। আর তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত তিনটি নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিতর্কীত নির্বাচন আয়োজনে জড়িত প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্ত করা হবে। অবিলম্বে এই তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশও দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগির সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারবো।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবো তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।”

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।’