সাবিনা-সানজিদাদের সংবর্ধনা ও আশ্বাস দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় : ০৮:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৭৫ বার পড়া হয়েছে
ডিডিএম প্রতিবেদক :
দেশের জন্য সাফল্য এনে দেয়া সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মেয়েরাও তাকে অটোগ্রাফ দেয়া জার্সি ও বল উপহার দেন। এসময় মেয়েদের বকেয়া বেতন, বৈষম্য ও আবাসিক সমস্যা শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাসও দেন প্রধান উপদেষ্টা। শুনেছেন নারী ফুটবলারদের সাফল্যের গল্প।
প্রধান উপদেষ্টার দেখা পেয়েছেন ২৩ ফুটবলার, কোচ ও ম্যানেজার। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সহকারী কোচ ও কোচিং স্টাফের বাকিদের। ফুটবলারদের দাবির প্রেক্ষিতে বাদ পড়া ৬ জনের সঙ্গে পরবর্তীতে দেখা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রথমবার কোন নোবেল বিজয়ীর সাক্ষাত পেয়ে উচ্ছ্বসিত কোচ পিটার বাটলার।
প্রধান উপদেষ্টাকে কাছে পেয়ে নারী ফুটবলাররা তুলে ধরেছেন নিজেদের সকল প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার কথা। প্রত্যেকের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সমস্যাগুলো লিখিতভাবে উপস্থাপন করলে দিয়েছেন সমাধানের আশ্বাস।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, স্যার সকলের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেছেন। যাদের যে সমস্যা রয়েছে সবগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেগুলোর সমাধানের জন্য স্যার ব্যক্তিগতভাবে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
নিজ জার্সিতে পুরো দলের অটোগ্রাফ নিয়ে তা প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। একই ভাবে দেয়া হয় অটোগ্রাফ দেয়া ফুটবলও। নারী ফুটবলকে উৎসাহিত করায় সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সাবিনারা।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, মেয়েরা বলেছে যে, তাদের একটি আবাসনের ব্যবস্থা হলে ভালো হয়। যেহেতু তাদের পরিবারের লোকজন আসে। তারা সারাবছর ক্যাম্পে থাকে। পরিবারের সদস্যরা এসে থাকার জায়গা পায় না, হোটেলে উঠতে হয়। অনেক পরিবারের জন্য সেই হোটেলের খরচ বহন করা কষ্টসাধ্য হয়।
ফুটবলারদের সঙ্গে দূরত্ব থাকলেও এই আয়োজনে সঙ্গী ছিলেন কোচ পিটার বাটলার। প্রথমবারের মত কোন নোবেল বিজয়ীর সাক্ষাত পেয়ে উচ্ছ্বসিত কোচ পিটার বাটলার। চাকরি ছাড়ার ব্যাপারে নতুন করে বিবেচনা করছেন ইংলিশ কোচ।
বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার বলেন, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিনয়ী মানুষ। তার সঙ্গে দেখা করার অনুভূতি অসাধারণ। প্রথমবার কোন নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে দেখা হল। সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে কথা বলব। কিছু বিষয় তাকে জানাব। তারপর চাকরির ব্যাপারে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
সদ্য শেষ হওয়া কাজী সালাউদ্দিন কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নতুন কমিটির কাছে সরকারের চাওয়া, অডিটের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অনিয়মের সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া।