তবুও সতীর্থদের উপর ভরসা হারাতে চান না মিরাজ

- আপডেট সময় : ০১:০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
- / ৮৮ বার পড়া হয়েছে
সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা চরম ব্যাটিং বিপর্যয় দেখিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসেও যে খুব একটা সুখকর তা কিন্তু বলা যাবে না। এখানো পরাজয়ের আশঙ্কা তাড়া করছে টাইগারদের। দ্বিতীয় দিন শেষে ২৫ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। দু’দুবার জীবন পাওয়া মাহমুদুল হাসান জয় আর মুমিনুল হক জুটি কি পারবেন মঙ্গলবার সে ইনিংসকে টেনে নিয়ে বড় করতে? এমন সব হাজারো প্রশ্ন উঁকি খাচ্ছে ক্রিকেটাঙ্গনে।
সন্দেহের তীরটা পড়ছে মূলত টাইগারদের ব্যাটিং ব্যর্থতার চিত্রটা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ টেনে টুনে দুইশত রানও করতে পারেনি। ১৯১ রানে গুড়ে যায় ইনিংস। আবার দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমেও বারবার সাদ্দামরা উইকেট রক্ষকের হাতে বল তুলে দেয়ার দৃশ্যটা ছিলো অবাক করা। ভাগ্যিস জিম্বাবুয়ান কিপারের ব্যর্থতায় সে বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশে ওপেনিং ব্যাটার জয়। তবুও দিন শেষে বাংলাদেশ মাত্র ৫৭ রান তুলতে ১ উইকেটের বিসর্জন দিয়েছে। সাদমান ফেরেন ৪ রানে। জয় ২৮ ও মুমিনুল ১৫ রানে খেলছেন।
অথচ অপরিচিত মাঠে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা অনায়াসে ২৭৩ রানে তুলে ফেলেছেন। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সোমবার বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে ১০ উইকেটে যোগ করেছে ২০৬ রান।
এখন এই টেস্টে জয় পেতে হলে বোলারদের লড়াইয়ের পুঁজি দিতে হবে মুমিনুলদের। প্রতিপক্ষের সামনে গড়তে হবে সাড়ে তিনশ থেকে চারশত রান। পারবেন কি মুমিনুলরা এতোটা কঠিন পথ পাড়ি দিতে?
কিন্তু প্রথম ইনিংসের বিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও নড়বড়ে অবস্থা ফের অনাস্থার জন্ম দিয়েছে। তবুও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেট পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ তার সতীর্থদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী। উদা হিসাবে উদাহরণ হিসেবে গত নবেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ম্যাচ জয়ের সুখ স্মৃতি তুলে ধরেছেন মিডিয়া কর্মীদের সামনে।
মিরিজ বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা যে টেস্ট ম্যাচ জিতেছি, দেখেছিলেন? ওই ম্যাচে আমরা (প্রথম ইনিংসে) ১৭৪ রানে (আসলে ১৬৪) অলআউট হয়ে গিয়েছিলাম। পরে ওদের ১৪৫ রানে (১৪৬ রানে) অলআউট করে লিড পেয়েছিলাম। অথচ ওদের কিন্তু (এক পর্যায়ে) ৭০ রানে ১ উইকেট ছিল।’
তিনি যোগ করেন, ‘ওই ম্যাচ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে, আমাদেরকে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। আমরা ওই অবস্থা থেকে যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে জিততে পারি, যেহেতু এটা আমাদের ঘরের মাঠ, আমরা এখানে আরও ভালো করতে পারি। আমাদের ওই বিশ্বাসটা ব্যাটারদের ওপর আছে। আমাদের দলে যে ব্যাটাররা আছে, তারা অনেক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়, অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। কেন তাদের ওপর ভরসা করব না?’
দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো সংগ্রহ গড়ে বোলারদের পর্যাপ্ত রসদ দেওয়ার আশায় আছেন মিরাজ, ‘প্রথম ইনিংসে আমরা ভালো করতে পারিনি। তবে এই ইনিংসে যেন এমন একটা স্কোর করতে পারি যাতে বোলাররা যথেষ্ট রান পায় এবং নির্ভার থেকে ভালোভাবে বোলিং করতে পারে।’
মিরাজ বলেন, ‘এখন যে উইকেট তাতে মনে হয়, আমরা যদি ভালোভাবে ব্যাটিং করতে পারি… ইনশাআল্লাহ আমরা চেষ্টা করব, ৩৫০ থেকে যদি ৪০০ রান করার। এটা দলের জন্য অনেক ভালো হবে।’
একইসঙ্গে মিরাজ জানিয়েছেন চতুর্থ ইনিংসে প্রতিপক্ষকে তিনশর ওপরে লক্ষ্য দিলে সেটা তাড়া করা অনেক কঠিন হবে। বাংলাদেশি অলরাউন্ডার বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে যদি ৩০০ রান লক্ষ্য দেওয়া হয়, চতুর্থ ইনিংসে এটা প্রতিপক্ষের জন্য অনেক কঠিন।’