ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কুয়েটে হামলাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে ছাত্রদল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৯৭ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

খুলনা প্রকৌশল ‍ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্রদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে ছাত্রদল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।

নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, “ঘটনাটি তৈরি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব। এর নেতৃত্ব দিয়েছে কুয়েট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. ওমর ফারুক। কেন্দ্রীয়ভাবে সেটি মনিটরিং করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বা আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।”

তিনি বলেন, “কথিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা যদি হামলায় অংশ না নিতো সংঘাত এত বড় হত না। প্রকাশ্যে সবারই রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। খুলনায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে চায়।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের বড় বড় যত অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, সেগুলো ছোট ছোট শর্টসার্কিট থেকে তৈরি হয়েছে। গতকাল সেই কাজ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব।”

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব লিখিত বক্তব্যে বলেন, “ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বয়ান, সংবাদ মাধ্যমে আসা প্রতিবেদন, ছবি ও ভিডিও প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি গত কালকের ঘটনার সূত্রপাত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি মিছিল থেকে ছাত্রদল সমর্থকের ওপর আতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে। সেই মিছিল থেকেই ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যখন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী ক্লাস শেষে মিছিলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ওমর ফারুকের উসকানিতে ক্ষতিপূরণ মিছিলে অতর্কিত হামলা করা হয়।”

তিনি বলেন, “কুয়েটে যারা হামলা করেছে আমরা তাদের শিবিরের নেতা হিসেবে জানি। যে আহ্বায়ক তাকে আমরা শিবির নেতা হিসেবে জানি। কুয়েটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৭ জানুয়ারি কমিটি দিয়েছে। শিবিরেরও কমিটি রয়েছে।”

গোপন রাজনীতি করে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক না করতে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “তিতুমীর কলেজের ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক প্রথমে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। কিছুদিন পরে ছাত্র শিবিরের কমিটিতে তাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়। এমন কয়েকটি উদাহরণ আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দেখতে পেয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এত বোকা না। এভাবে গোপনে রাজনীতি করে অন্যান্য সংগঠনগুলো যেন রাজনীতি করতে না পারে, সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা শিবিরকে দায়ী করছি।”

ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুয়েট উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কুয়েটে হামলাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে ছাত্রদল

আপডেট সময় : ১২:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

খুলনা প্রকৌশল ‍ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্রদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে ছাত্রদল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।

নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, “ঘটনাটি তৈরি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব। এর নেতৃত্ব দিয়েছে কুয়েট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. ওমর ফারুক। কেন্দ্রীয়ভাবে সেটি মনিটরিং করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বা আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।”

তিনি বলেন, “কথিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা যদি হামলায় অংশ না নিতো সংঘাত এত বড় হত না। প্রকাশ্যে সবারই রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। খুলনায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে চায়।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের বড় বড় যত অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, সেগুলো ছোট ছোট শর্টসার্কিট থেকে তৈরি হয়েছে। গতকাল সেই কাজ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব।”

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব লিখিত বক্তব্যে বলেন, “ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বয়ান, সংবাদ মাধ্যমে আসা প্রতিবেদন, ছবি ও ভিডিও প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি গত কালকের ঘটনার সূত্রপাত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি মিছিল থেকে ছাত্রদল সমর্থকের ওপর আতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে। সেই মিছিল থেকেই ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যখন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী ক্লাস শেষে মিছিলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ওমর ফারুকের উসকানিতে ক্ষতিপূরণ মিছিলে অতর্কিত হামলা করা হয়।”

তিনি বলেন, “কুয়েটে যারা হামলা করেছে আমরা তাদের শিবিরের নেতা হিসেবে জানি। যে আহ্বায়ক তাকে আমরা শিবির নেতা হিসেবে জানি। কুয়েটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৭ জানুয়ারি কমিটি দিয়েছে। শিবিরেরও কমিটি রয়েছে।”

গোপন রাজনীতি করে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক না করতে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “তিতুমীর কলেজের ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক প্রথমে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। কিছুদিন পরে ছাত্র শিবিরের কমিটিতে তাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়। এমন কয়েকটি উদাহরণ আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দেখতে পেয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এত বোকা না। এভাবে গোপনে রাজনীতি করে অন্যান্য সংগঠনগুলো যেন রাজনীতি করতে না পারে, সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা শিবিরকে দায়ী করছি।”

ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুয়েট উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।