ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্বকাপের আগে তালগোল পাকানো বাংলাদেশ দল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
  • / ২৪১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ডিডিএম প্রতিবেদক :
আর কিছুদিন পরেই বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট বিশ্বকাপে মূল লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতি মিশনটা ভালো হয়নি। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচের পরাজয় সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেও রাখে পরাজয়ের সে ধারাবাহিকতা। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মতো আনকড়া দলের কাছে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। যা কিনা বাংলাদেশের জন্য কষ্টের এবং বড় লজ্জার। শেষ ম্যাচটিতে শান্ত বাহিনী জিতলেও রেখে গেছে হাজারো প্রম্ন। কারণ শেষ ওই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম চার ক্রিকেটার মাঠে নামেনি। ম্যাচটি যুক্তরাষ্ট্র হালকা করে নেয়ায় বাংলাদেশের ম্যাচটি সহজ হয়েছে বলে ক্রিকেট পাড়ায় বিরুপ আলোচনা চলছে।
তবে  প্রস্তুতি  শেষে কন্ডিশন নিয়েও উঠতে পারে নতুন প্রশ্ন। টেক্সাসের এই সময়ের আবহাওয়া আর বাংলাদেশের আবহাওয়ার তেমন ফারাক নেই। মন্থর উইকেটের ধরণের সঙ্গেও দেশের উইকেটগুলোর বেশ মিলই আছে। তাতে প্রশ্নটা আরো বড় হয়। সহযোগী সদস্য দেশটির বিপক্ষে খেলে এবং হেরে বিশ্বকাপের আগে উল্টো আত্মবিশ্বাসে দাগ পড়ে গেছে। মাথার উপর প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে, গলার ভেতর বিদ্ধ হয়েছে অস্বস্তির কাঁটা।
অথচ বিসিবি’র বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সূচি ঘোষনা হতেই  দেখা দিয়েছিলো বড় প্রম্ন। বড় বাদ দিয়ে ছোট দলের বিপক্ষে কেন প্রস্তুতি মিশন?
বিশ্বকাপের কঠিন লড়াইয়ে নামার আগে দুর্বল দলের বিপক্ষে খেলে আসল পরীক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে খোদ দল সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ সন্দিহান ছিলেন। কে জানত দুর্বল দলই বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠবে! যা কিনা শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখার চেষ্টা করেও রাভ নেই। সব দিবা লোকের মতো সত্য।

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে এই দুই সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই বাংলাদেশ খেলেছে একধরণের ভয় নিয়ে। হারের এই ভয় পুরো দলকে আড়ষ্ট করে রেখেছিলো।  বিশ্বকাপ সামনে রেখে ব্যাটারদের মেলে ধরার সুযোগ দেওয়ার বদলে যেমন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করা ছিলো গুরুত্বের শীর্ষে। টস জিতে আগে তাই ব্যাটিং করতে দেখা যায়নি একাধিকবার। এসব স্রেফ খেলোয়াড়দের বিষয় না, টিম ম্যানেজমেন্টের দুর্বল পরিকল্পনারও ফসল।

জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুই সিরিজ দেখিয়ে দিল খেলোয়াড়দের দক্ষতার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের চিন্তার দীনতা। সহজ প্রশ্ন বেছে লেটার মার্কস পেয়ে একধরণের ফাঁপা আত্মবিশ্বাসের বিজ্ঞাপন চেয়েছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের দল সেই পরিকল্পনা নসাৎ করে দেওয়ায় তারা এখন হয়ত বিব্রত, হিসাব মেলাতে না পেরে আপাতত গুটিয়ে গেছেন।

সাকিব আল হাসানের ভাষায় যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফল প্রভাব ফেলতে পারে বিশ্বকাপে, সেই প্রভাব মানে নেতিবাচক প্রভাব।  আবার নাও পারে। সিরিজটা না খেললে এই ঝুঁকিটা থাকত না। বিশ্বাসের জমিন চওড়া রেখেই মূল আসরে নেমে পড়তে পারতেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজটা না খেললে অবশ্য নানামুখী দীনতা আরেকটু আড়ালে থাকত। এখন রোগটা এতবেশি প্রকাশিত যে চিকিৎসার একটা ব্যবস্থা হলেও হতে পারে।

বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে বাংলাদেশের হাতে আছে আরো দুটি ম্যাচ। দুটোই নির্জলা প্রস্তুতি ম্যাচ। এসব ম্যাচে কিছু জিনিস হয়ত খতিয়ে দেখার সুযোগ থাকবে। স্বীকৃত ম্যাচ না হওয়ার খবরে ব্যাটাররা যদি চাপ সরিয়ে মেলে ধরতে পারেন তাহলে সেটাই হবে একমমাত্র প্রাপ্তি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিশ্বকাপের আগে তালগোল পাকানো বাংলাদেশ দল

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
ডিডিএম প্রতিবেদক :
আর কিছুদিন পরেই বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট বিশ্বকাপে মূল লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতি মিশনটা ভালো হয়নি। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচের পরাজয় সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেও রাখে পরাজয়ের সে ধারাবাহিকতা। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মতো আনকড়া দলের কাছে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। যা কিনা বাংলাদেশের জন্য কষ্টের এবং বড় লজ্জার। শেষ ম্যাচটিতে শান্ত বাহিনী জিতলেও রেখে গেছে হাজারো প্রম্ন। কারণ শেষ ওই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম চার ক্রিকেটার মাঠে নামেনি। ম্যাচটি যুক্তরাষ্ট্র হালকা করে নেয়ায় বাংলাদেশের ম্যাচটি সহজ হয়েছে বলে ক্রিকেট পাড়ায় বিরুপ আলোচনা চলছে।
তবে  প্রস্তুতি  শেষে কন্ডিশন নিয়েও উঠতে পারে নতুন প্রশ্ন। টেক্সাসের এই সময়ের আবহাওয়া আর বাংলাদেশের আবহাওয়ার তেমন ফারাক নেই। মন্থর উইকেটের ধরণের সঙ্গেও দেশের উইকেটগুলোর বেশ মিলই আছে। তাতে প্রশ্নটা আরো বড় হয়। সহযোগী সদস্য দেশটির বিপক্ষে খেলে এবং হেরে বিশ্বকাপের আগে উল্টো আত্মবিশ্বাসে দাগ পড়ে গেছে। মাথার উপর প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে, গলার ভেতর বিদ্ধ হয়েছে অস্বস্তির কাঁটা।
অথচ বিসিবি’র বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সূচি ঘোষনা হতেই  দেখা দিয়েছিলো বড় প্রম্ন। বড় বাদ দিয়ে ছোট দলের বিপক্ষে কেন প্রস্তুতি মিশন?
বিশ্বকাপের কঠিন লড়াইয়ে নামার আগে দুর্বল দলের বিপক্ষে খেলে আসল পরীক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে খোদ দল সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ সন্দিহান ছিলেন। কে জানত দুর্বল দলই বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠবে! যা কিনা শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখার চেষ্টা করেও রাভ নেই। সব দিবা লোকের মতো সত্য।

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে এই দুই সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই বাংলাদেশ খেলেছে একধরণের ভয় নিয়ে। হারের এই ভয় পুরো দলকে আড়ষ্ট করে রেখেছিলো।  বিশ্বকাপ সামনে রেখে ব্যাটারদের মেলে ধরার সুযোগ দেওয়ার বদলে যেমন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করা ছিলো গুরুত্বের শীর্ষে। টস জিতে আগে তাই ব্যাটিং করতে দেখা যায়নি একাধিকবার। এসব স্রেফ খেলোয়াড়দের বিষয় না, টিম ম্যানেজমেন্টের দুর্বল পরিকল্পনারও ফসল।

জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুই সিরিজ দেখিয়ে দিল খেলোয়াড়দের দক্ষতার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের চিন্তার দীনতা। সহজ প্রশ্ন বেছে লেটার মার্কস পেয়ে একধরণের ফাঁপা আত্মবিশ্বাসের বিজ্ঞাপন চেয়েছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের দল সেই পরিকল্পনা নসাৎ করে দেওয়ায় তারা এখন হয়ত বিব্রত, হিসাব মেলাতে না পেরে আপাতত গুটিয়ে গেছেন।

সাকিব আল হাসানের ভাষায় যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফল প্রভাব ফেলতে পারে বিশ্বকাপে, সেই প্রভাব মানে নেতিবাচক প্রভাব।  আবার নাও পারে। সিরিজটা না খেললে এই ঝুঁকিটা থাকত না। বিশ্বাসের জমিন চওড়া রেখেই মূল আসরে নেমে পড়তে পারতেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজটা না খেললে অবশ্য নানামুখী দীনতা আরেকটু আড়ালে থাকত। এখন রোগটা এতবেশি প্রকাশিত যে চিকিৎসার একটা ব্যবস্থা হলেও হতে পারে।

বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে বাংলাদেশের হাতে আছে আরো দুটি ম্যাচ। দুটোই নির্জলা প্রস্তুতি ম্যাচ। এসব ম্যাচে কিছু জিনিস হয়ত খতিয়ে দেখার সুযোগ থাকবে। স্বীকৃত ম্যাচ না হওয়ার খবরে ব্যাটাররা যদি চাপ সরিয়ে মেলে ধরতে পারেন তাহলে সেটাই হবে একমমাত্র প্রাপ্তি।