কলম্বোতে রান উৎসবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা, কঠিন পরীক্ষায় টাইগার বোলাররা

- আপডেট সময় : ১০:২২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / ৪৯ বার পড়া হয়েছে
উদারা ফিফটি না পাওয়ার হতাশা নিয়ে ফিরলেও বড় ইনিংসের দেখা পেয়েছেন নিশাঙ্কা। ইতোমধ্যেই তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন এই ওপেনার।
তিনে নেমে নিশাঙ্কাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন দীনেশ চান্দিমাল। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারও ফিফটি করে সেঞ্চুরির কাছকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে কাটা পড়েন নার্ভাস নাইন্টিতে। ৯৩ রান করা এই ব্যাটার নাঈম হাসানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। সারা দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি এই দুই উইকেটই। যা একটি করে ভাগাভাগি করেছেন নাঈম ও তাইজুল।
এর আগে ৮ উইকেটে ২২০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। মাত্র ২৭ রান যোগ করতেই শেষ দুই উইকেট হারিয়ে দেড়শর আগেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এমন ব্যর্থতায় হতাশ কোচ সিমন্স। তবে এমন ব্যর্থতার জন্য দিনের আবহাওয়াকেই দায়ী করছেন তিনি। বলেছেন, আগের দিনের তুলনায় আজ উইকেট বেশ ভালো। প্রথমদিন মন্থর হয়ে আসতো বল। আজ কিন্তু সেটি দেখা যাচ্ছে না।
শুক্রবার তৃতীয় দিনের খেলা মাঠে গড়াচ্ছে। এই দিন কি পারবো লঙ্কানদের উড়তে থাকা রান থামিয়ে দিতে? এমন সব হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাওয়াই স্বাভাবিক। সিমন্স বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা (দুই পেসার) নতুন বলে বেশ সংগ্রাম করেছে। শুরুতে তাদের বোলিং দেখেছি আমরা। দিনের শেষ ভাগে তারা কামব্যাক করেছে মনে হয়। রানার ক্ষেত্রে মনে হয়েছে শেষ দিকে সে নিজের ছন্দ ফিরে পেয়েছে। ইবাদতকেও শেষ স্পেলে ভালো মনে হয়েছে।’
‘প্রথমে ভালো হয়নি তবে শেষ দিকে তারা দলের জন্য যা করা দরকার তা করে দিতে পেরেছে। উইকেট এখন তেমন কিছু অফার করছে না। আমরা শুরুটা ভালোভাবে করতে পারিনি। চা বিরতি এবং লাঞ্চের পরে আমরা যেভাবে ফিরে এসেছি তাতে আমি খুশি।’
আজকের বাজে পারফরম্যান্সকে কঠিন দিন হিসেবে ভুলে যেতে চান সিমন্স। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, এটি টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন একটি দিন ছিল। উইকেট অনেক সহজতর ছিল। ব্যাট করাটা অনেক সহজ ছিল আজকে। উইকেট তুলতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে। ফলে বোলারদের জন্য কঠিন দিন গেছে।’
নাঈম হাসানের বোলিং করা নিয়ে সিমন্স বলেছেন, ‘মনে হয় না (নাঈমকে কম বোলিং করানো) ট্যাকটিক্যাল সিদ্ধান্ত ছিল। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত, হয়ত সে ভেবেছে বাকিরা ভালো বিকল্প ছিল, সে কারণেই হয়ত। যেমনটা আগেই বললাম, বাকি ২ জনকে সে (অধিনায়ক) ব্যবহার করছিল, তাদের স্কিল, অভিজ্ঞতা অনেক বেশি এমন উইকেটে (সে কারণেই নাঈমকে দেরিতে এনেছে হয়ত)।’