ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইরানের হামলায় টনক নড়েছে ট্রাম্পের, যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইরানের তিন পরমানু স্থাপনায় হামলার যুক্তরাষ্ট্রে আকাশ ছোয়া হুঙ্কার ছিলো, সামনে আরও ভয়াবহ হামলা অপেক্ষা করছে। কিন্তু দু’দিন পর মধ্যপ্রাচ্যে ‍যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোতে ইরানের পাল্টা হামলার পর টনক নড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। মিথ্য অভিযোগ তুলে অনৈতিকভাবে ইসরায়েলের কানপোড়া খেয়ে ইরানের ‍ওপর হামলা চালিয়েছিলো ,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেটি এখন গলার কাটা হয়ে বিধেছে এই মহাশক্তিধর দেশটির। ইরান তার জবাবটা কঠোরভাবে দিয়েছে। তাতেই যুক্তরাষ্ট্র ব্যাকফুটে চলে আসে। ঘোষনা দেয়, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতী এখনি কার্যকর হওয়া উচিত।

এদিকে নিজ দেশেও ট্রাম্প বিরোধী আন্দোলন সরব হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প জনগনকে কথা দিয়েছিলো, তিনি ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধ যুদ্ধভাব থেমে যাবে। কিন্তু ক্ষমতায় বসেই ট্রাম্প হাঁটলেন তার উল্টো পথে। বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসবাদ ‍ও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে পরিনচিত হয়ে উঠলেন।  নানামুখী চাপ এবং আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কায় যুদ্ধ বিরতির পথ বেচে নিলেন ট্রাম্প। এবং ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে রাজী করিয়েছেন বলে দাবি তোলেন।

বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে ইরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, দেশটি জানায়—ইরানের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তারা ‘সর্বশক্তি দিয়ে’ পাল্টা জবাব দেবে। আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি ও জেরুজালেম পোস্ট।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করে ঘোষণা দেন, ইরানে পরিচালিত সামরিক অভিযান “রাইজিং লায়ন” প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে এবং সব লক্ষ্য পূরণ করেছে”। ‘পারমাণবিক ও ব্যালিসটিক হুমকি নির্মূল করা হয়েছে, যা (ইসরায়েলের) জন্য তাৎক্ষণিক অস্তিত্ব সংকট ও হুমকির উৎস ছিল’, বিবৃতিতে আরও বলা হয়।

‘সুরক্ষা সহায়তা দেওয়া ও ইরানের পারমাণবিক হুমকি দূর করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানায় ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির কোনো লঙ্ঘন হলে “সর্বশক্তি দিয়ে” পাল্টা জবাব ইসরায়েল।’

যদিও ইরান থেকে অভিযোগ তোলা হয় তাদের কাছে এখনো পর্যন্ত যুদ্ধ বিরতির কোন বার্তা আসেনি।  তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র রাষ্ট্র ইসরায়েল যদি হামলা চালায় পাল্টা হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত আছে তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইরানের হামলায় টনক নড়েছে ট্রাম্পের, যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

আপডেট সময় : ০১:৪৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ইরানের তিন পরমানু স্থাপনায় হামলার যুক্তরাষ্ট্রে আকাশ ছোয়া হুঙ্কার ছিলো, সামনে আরও ভয়াবহ হামলা অপেক্ষা করছে। কিন্তু দু’দিন পর মধ্যপ্রাচ্যে ‍যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোতে ইরানের পাল্টা হামলার পর টনক নড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। মিথ্য অভিযোগ তুলে অনৈতিকভাবে ইসরায়েলের কানপোড়া খেয়ে ইরানের ‍ওপর হামলা চালিয়েছিলো ,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেটি এখন গলার কাটা হয়ে বিধেছে এই মহাশক্তিধর দেশটির। ইরান তার জবাবটা কঠোরভাবে দিয়েছে। তাতেই যুক্তরাষ্ট্র ব্যাকফুটে চলে আসে। ঘোষনা দেয়, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতী এখনি কার্যকর হওয়া উচিত।

এদিকে নিজ দেশেও ট্রাম্প বিরোধী আন্দোলন সরব হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প জনগনকে কথা দিয়েছিলো, তিনি ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধ যুদ্ধভাব থেমে যাবে। কিন্তু ক্ষমতায় বসেই ট্রাম্প হাঁটলেন তার উল্টো পথে। বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসবাদ ‍ও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে পরিনচিত হয়ে উঠলেন।  নানামুখী চাপ এবং আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কায় যুদ্ধ বিরতির পথ বেচে নিলেন ট্রাম্প। এবং ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে রাজী করিয়েছেন বলে দাবি তোলেন।

বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে ইরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, দেশটি জানায়—ইরানের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তারা ‘সর্বশক্তি দিয়ে’ পাল্টা জবাব দেবে। আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি ও জেরুজালেম পোস্ট।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করে ঘোষণা দেন, ইরানে পরিচালিত সামরিক অভিযান “রাইজিং লায়ন” প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে এবং সব লক্ষ্য পূরণ করেছে”। ‘পারমাণবিক ও ব্যালিসটিক হুমকি নির্মূল করা হয়েছে, যা (ইসরায়েলের) জন্য তাৎক্ষণিক অস্তিত্ব সংকট ও হুমকির উৎস ছিল’, বিবৃতিতে আরও বলা হয়।

‘সুরক্ষা সহায়তা দেওয়া ও ইরানের পারমাণবিক হুমকি দূর করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানায় ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির কোনো লঙ্ঘন হলে “সর্বশক্তি দিয়ে” পাল্টা জবাব ইসরায়েল।’

যদিও ইরান থেকে অভিযোগ তোলা হয় তাদের কাছে এখনো পর্যন্ত যুদ্ধ বিরতির কোন বার্তা আসেনি।  তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র রাষ্ট্র ইসরায়েল যদি হামলা চালায় পাল্টা হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত আছে তারা।