সাবেক সিইসি নূরুল হুদার ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

- আপডেট সময় : ০১:০১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
- / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন।
একদিন আগে ২২ জুন রোববার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে তার উত্তরার বাসা থেকে ধরে নিয়ে গলায় জুতার মালা পড়িয়ে ভিডিও করার পর পুলিশে দেয়া হয়েছে। পরে সেখান থেকে সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে গ্রেফতার দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডিবি হেফাজতে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানারা পাঁচ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে তাকে আটক করার কথা জানিয়েছিল উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম বলেছেন, রোববার দুপুরে ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক সিইসি মি. হুদাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এদিন দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সাবেক তিনজন সিইসিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। সেই তালিকায় ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি নুরুল হুদার নামও ছিল। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল রোববার সকালে থানায় ওই মামলার অভিযোগপত্র দেন।
এরপরই সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে ‘জুতার মালা পড়িয়ে ও ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায় একদল ব্যক্তিকে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক আমলা নূরুল হুদা ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
তার দায়িত্ব পালনকালে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনসহ অসংখ্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে ছিল নানা প্রশ্ন। যে কারণে নানা সমালোচিতও ছিলেন তিনি।
সিইসি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত ওই ভোটে আগের রাতে ভোট দেয়ার অভিযোগ ছিল। যে কারণে সিইসি মি. হুদাকে অনেকেই রাতের ভোটের সিইসি হিসেবেও আখ্যা দিয়ে থাকেন।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ শেষ হয় ২০২২ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি।