শাপলা চত্বরে ৯৩ জনের নিহত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করল হেফাজতে ইসলাম
- আপডেট সময় : ০২:১৩:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
- / ১৪২ বার পড়া হয়েছে
আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগে মতিঝিলের শাপলা চত্তরে এক ভয়াবহ রণক্ষেত্র হয়। তৎকালীণ সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কতৃক নিরস্ত্র মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো হয়। হেফাজতে ইসলামের ওপর ওই ভয়াবহ হামলায় প্রচুর শিক্ষক ও মাদ্রাসার ছাত্ররা মৃত্যু বরণ করেন।
সে থেকে প্রতিবছর ৫ মে আসতেই হেফাজতে ইসলামীর ভিতর প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয়। মানুষের লাস মতিঝিলের শাপলা চত্তরে হুমড়ি খেয়ে পড়ে থাকলেও সেদিন ছবি তোলা এবঙ ছাপানোর সাহস পায়নি কোন মিডিয়া হাউস। এমন কি কতোজন মারা গিয়েছেন সে তথ্যটিও তদন্ত করা হয়নি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবার হয়ত কোন ওই হত্যাকান্ডের কোন বিহীত হবে।
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে নিহতদের মধ্যে ৯৩ জনের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তালিকাটি প্রাথমিক খসড়া এবং এ সংখ্যা যাচাই-বাছাইয়ের পর আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই তালিকা প্রাথমিক। তথ্য যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধান চলছে। চূড়ান্ত করতে আরও সময় লাগবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে শাপলা চত্বরে সংগঠনটির মহাসমাবেশে নিহতদের এই সংখ্যা নিয়ে মতভেদ ও বিতর্ক রয়েছে। অনুসন্ধান করা মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক পেজে ৬১ জন নিহতের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। আবার তৎকালীন বিবিসি ঢাকা প্রতিনিধি মার্ক ডামেট মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করে জানিয়েছিলেন, ৫ ও ৬ মে’র সহিংসতায় অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননা ও নারীনীতির বিরোধিতাসহ ১৩ দফা দাবি তুলে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে হেফাজতে ইসলাম। এতে হাজার হাজার কওমি আলেম শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মুসলমান মহাসমাবেশে অংশ নেন।
সেদিন রাত গভীর হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে সরিয়ে দেয় তাদের। অভিযানে ব্যাপক গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়া হয়। হেফাজতে ইসলামের দাবি, ওইদিন অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৩ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে এবার।
প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় নিহতদের নাম, ঠিকানা ও পরিবারের সদস্যদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, নিহতদের অধিকাংশই যুবক ছিলেন।




















