ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুবাই যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৯০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রস্তুতি শেষ। এবার দুবাইতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেবার অপেক্ষা। আগামীকাল রাত একটায় রওনা দিবেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।  গেল আসরে সেমিফাইনাল খেলেছিল টাইগার বাহিনী। এবার তাদের আরও বড় স্বপ্ন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে শেষ সংবাদ সম্মেলনে দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

আইসিসির বড় কোনও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ আসরে সেমিফাইনাল খেলা। তবে এবার সেমিফাইনালে নয় ফাইনালের স্বপ্ন দেখছেন শান্ত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে যাচ্ছি।’

এর জন্য বাড়তি কোনও চাপ অনুভব করছেন না বলে জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। ‘আমার কাছে বাড়তি চাপ মনে হয় না। ৮ দলই ডিজার্ভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমাদের দলের ঐ সামর্থ্য আছে আমি বিশ্বাস করি। বাড়তি চাপ কেউ অনুভব করবে না। সবাই এটাই (চ্যাম্পিয়ন হতে) চায় মনেপ্রাণে, বিশ্বাস করে নিজেদের সামর্থ্য আছে।’

সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভরসা রেখে অধিনায়ক জানান, ‘আমাদের রিজিকে আল্লাহ কী লিখে রেখেছেন জানি না। আমরা মেহনত করছি, সততার সাথে কাজ করছি। প্রত্যেকে বিশ্বাস করি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’

বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের মিশন।

এই মিশনে  সাকিবের না থাকা কতটা দোলা দেয়, এমন প্রসঙ্গ জানতে চাইলে শুরুতে থাকে মিস করার কথা বললেও পরে বিরক্তি প্রকাশ করে উত্তর দেন শান্ত, ‘অবশ্যই মিস করব। তবে এই প্রশ্নটা কেন করলেন আপনি আমি জানি না। সবাই জানি এই প্রশ্নের উত্তর অনেকবার অনেক খেলোয়াড় দিয়েছে। “মিস করব’ বা ‘থাকলে ভালো হতো” বলেছে। এই উত্তর অনেকবার পেয়েছেন। আমার মনে হয় না একটা এত বড় আসরে যাওয়ার আগে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখন যৌক্তিক হবে। কিন্তু ওই ম্যাচ নির্দিষ্টভাবে যদি বলেন ব্রিলিয়ান্ট ব্যাটিং করেছেন। ওই ইনিংসটা আমাদের দলকে জেতার জন্য সাহায্য করেছে।’

২০০৬ সালে অভিষেকের পর ওয়ানডে সংস্করণের সবগুলো বৈশ্বিক আসরেই বাংলাদেশ দলের মূল ভরসা ছিলেন সাকিব। ব্যাটিং, বোলিং মিলিয়ে দলের ভারসাম্য নির্ভর করত তার উপর। সাকিবের না থাকার ঘাটতি কাকে দিয়ে পূরণ করবেন সেই প্রসঙ্গও বাড়াতে চাইলেন না শান্ত,  ‘যে দায়িত্ব পাবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুবাই যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

আপডেট সময় : ০৯:৫২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রস্তুতি শেষ। এবার দুবাইতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেবার অপেক্ষা। আগামীকাল রাত একটায় রওনা দিবেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।  গেল আসরে সেমিফাইনাল খেলেছিল টাইগার বাহিনী। এবার তাদের আরও বড় স্বপ্ন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে শেষ সংবাদ সম্মেলনে দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

আইসিসির বড় কোনও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ আসরে সেমিফাইনাল খেলা। তবে এবার সেমিফাইনালে নয় ফাইনালের স্বপ্ন দেখছেন শান্ত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে যাচ্ছি।’

এর জন্য বাড়তি কোনও চাপ অনুভব করছেন না বলে জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। ‘আমার কাছে বাড়তি চাপ মনে হয় না। ৮ দলই ডিজার্ভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমাদের দলের ঐ সামর্থ্য আছে আমি বিশ্বাস করি। বাড়তি চাপ কেউ অনুভব করবে না। সবাই এটাই (চ্যাম্পিয়ন হতে) চায় মনেপ্রাণে, বিশ্বাস করে নিজেদের সামর্থ্য আছে।’

সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভরসা রেখে অধিনায়ক জানান, ‘আমাদের রিজিকে আল্লাহ কী লিখে রেখেছেন জানি না। আমরা মেহনত করছি, সততার সাথে কাজ করছি। প্রত্যেকে বিশ্বাস করি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’

বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের মিশন।

এই মিশনে  সাকিবের না থাকা কতটা দোলা দেয়, এমন প্রসঙ্গ জানতে চাইলে শুরুতে থাকে মিস করার কথা বললেও পরে বিরক্তি প্রকাশ করে উত্তর দেন শান্ত, ‘অবশ্যই মিস করব। তবে এই প্রশ্নটা কেন করলেন আপনি আমি জানি না। সবাই জানি এই প্রশ্নের উত্তর অনেকবার অনেক খেলোয়াড় দিয়েছে। “মিস করব’ বা ‘থাকলে ভালো হতো” বলেছে। এই উত্তর অনেকবার পেয়েছেন। আমার মনে হয় না একটা এত বড় আসরে যাওয়ার আগে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখন যৌক্তিক হবে। কিন্তু ওই ম্যাচ নির্দিষ্টভাবে যদি বলেন ব্রিলিয়ান্ট ব্যাটিং করেছেন। ওই ইনিংসটা আমাদের দলকে জেতার জন্য সাহায্য করেছে।’

২০০৬ সালে অভিষেকের পর ওয়ানডে সংস্করণের সবগুলো বৈশ্বিক আসরেই বাংলাদেশ দলের মূল ভরসা ছিলেন সাকিব। ব্যাটিং, বোলিং মিলিয়ে দলের ভারসাম্য নির্ভর করত তার উপর। সাকিবের না থাকার ঘাটতি কাকে দিয়ে পূরণ করবেন সেই প্রসঙ্গও বাড়াতে চাইলেন না শান্ত,  ‘যে দায়িত্ব পাবে।’