গ্যাস আমদানিতেও কোটি কোটি টাকার অনিয়ম

- আপডেট সময় : ১২:৩২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫৩ বার পড়া হয়েছে
প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ম। বাংলাদেশে গত পনের বছর ধরে অনিয়মটাই ছিলো যেন নিয়ম। জোর যার মুল্লুক তার দশা। সে অভ্যাস গত আটমাসেও যেন অক্ষত। নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার গ্যাস আমদানি হচ্ছে। এ সব গ্যাস এসি ও ফ্রিজের ব্যবহার করা হয়। যে গ্যাসে দূর্ঘটনার আশঙ্কার পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব আয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গত ১২ এপ্রিল পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২৫ সালের এইচএফসি কোটার অনুকূলে রিফ্রিজারেন্ট আমদানি লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স অনুমোদনের আগেই রিফ্রিজারেন্ট আমদানি করে বন্দর থেকে পণ্য খালাস করে। একইভাবে আমদানি করা রিফ্রিজারেন্ট কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্তৃক রিফ্রিজারেন্ট পণ্য খালাসের ডকুমেন্টের সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর ইস্যুকৃত প্রতিটি রিফ্রিজারেন্ট আমদানি লাইসেন্সের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
উক্ত লাইসেন্সে রিফ্রিজারেন্টের ধরণ, অনুমোদনকৃত পরিমাণ, আমদানির মেয়াদকাল উল্লেখ থাকে। যেখানে লাইসেন্সের অনুমোদনকরা হয়নি সেখানে এক্সামিনারসহ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনো পদ্ধতি অনুসরণে ১০০ ভাগ এক্সামিনের মাধ্যমে পণ্য ডেলিভারি করা হয়েছে?
এনবিআরের তথ্যানুসারে, গ্যাস আমদানির জন্য ৪৩০টি আবেদনের মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে গত ১২ এপ্রিল পরিবেশ অধিদপ্তর ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানকে গ্যাস আমদানির লাইসেন্স প্রদান করে। এরমধ্যে অবৈধভাবে পরিমাণের অনেকগুণ বেশি গ্যাস আমদানি করে কিছু কোম্পানি। অনুমোদন ছাড়াই রাফি এন্টারপ্রাইজের (যার কাস্টমস ইনভয়েস নম্বর এসডাব্লিউ ৬২৩২৫০১৪৫) মালামাল ‘শতভাগ পরীক্ষণ পূর্বক’ রিলিজ করেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল করিম। এতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কোনো অনুমোদন নেই। যা পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি।