দিল্লির শাসনভার দখলের যুদ্ধে এগিয়ে মোদির বিজেপি

- আপডেট সময় : ০৮:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১০৬ বার পড়া হয়েছে
ভোটের যুদ্ধে চলছে ভারতের দিল্লি দখলের লড়াই। কার দখলে যাবে এ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় চলছে রাজ্যের আলোচনা। দিল্লির বিধান সভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা হবে আজ শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারী। এরপরেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে দিল্লির শাসনভারে থাকছেন কারা। তবে আওয়াজ উঠছে রাজধানীর শাসন ভারটা এবার পেতে যাচ্ছে টানা তিন দফায় ক্ষমতায় থাকা ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুথ ফেরত জরিপও (এক্সিট পোল) সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর এতে কপাল পুড়তে যাচ্ছে ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির (এএপি)।
অন্তত আটটি বুথ ফেরত জরিপ বলছে, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোট দেওয়ার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররাই জানিয়েছেন তারা বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। ৭০ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলের প্রয়োজন ৩৬ আসন। সেক্ষেত্রে বেশ এগিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি।
৬ষ্ঠ ও সপ্তম লোকসভায় ভূমিধস জয় পাওয়া এএপির এবার ভরাডুবি হচ্ছে, সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে জরিপ সংস্থাগুলো। ২০১৫ সালে ৬ষ্ঠ লোকসভার ভোটে এএপি দখল করে ৬৭টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছিল তিন আসন। এরপর ২০২০ সালে সপ্তম লোকসভার ভোটে এএপি পায় ৬২ আসন এবং বিজেপি পায় ৮ আসন। এই দুই নির্বাচনে কোনো আসন পায়নি কংগ্রেস।
পৃথক পৃথক বুথ ফেরত জরিপের ওপর ভিত্তি করে এনডিটিভি বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি ৪১টি আসন পেতে পারে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি পেতে পারে ২৮ আসন। আর কংগ্রেস পেতে পারে ১ আসন।
এদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আশা দেখাচ্ছে অন্তত দুটি বুথ ফেরত জরিপ। তারা বলছে, ৪৪ থেকে ৫২টি আসন পেতে পারে আম আদমি পার্টি। আর বিজেপির ঘরে যেতে পারে ১৮ থেকে ২৫টি আসন।
এছাড়াও সর্বশেষ পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের ফলাফল আশা জাগাতে পারে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। সেখানে বুথ ফেরত জরিপে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই চূড়ান্ত ফলের জন্য আজ বিকেল নাগাদ অপেক্ষা করতে হবে।
অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ডিডাব্লিউকে বলেছেন, বুথ ফেরত সমীক্ষা সবসময় সঠিক হয় না। যদি এক্ষত্রে মিলে যায় তাহলে বিজেপির জয়ের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে। যে দল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্ষমতায় আসে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে মানুষ ক্ষমা করে না। কেজরিওয়াল-সহ আপের একাধিক সদস্য, এমনকি মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ মানুষ ভালো চোখে নেয়নি।