ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শুক্রবার বিপিএলের ফাইনালে তামিমকে বিদায় জানাচ্ছে বিসিবি

আবিদা আলম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৯৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জিাতিক ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নেয়া হয়নি তামিম ইকবাল খানের। হাসিনা সরকারের সময় নানা নাটকীয়তার পর সবার ধারনা ছিলো অন্তর্বর্তীকালীণ সরকারের সময় এসে তিনি জাতীয় দলে ফিরবেন। কিন্তু জাতীয় দলকে না বলা তামিম হাঁ আরবলেন নি। নিজের ফেসবুক পোষ্টে জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় দলের হয়ে আর ক্রিকেট খেলছেন না তামিম। যার ফলে আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ দল সাজানো হয়েছে তামিমকে ছাড়াই। কিন্তু বাংলাদেশ সেরা এই ড্যাশিং ওপেনারের বিদায় তো আর মাঠ থেকে নেয়া হলো না। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাকে বিদায় জানানোর মঞ্চ হিসাবে বেচে নিয়েছে বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচটিকে।

ফরচুন বরিশালের হয়ে লড়ছেন তিনি। দলটিকে ফাইনালে নিয়ে যান। গতবারের ন্যয় এবারও শিরোপা হাতে নিতে চান বন্দর নগরী চট্টগ্রামের এই ছেলেটি। মজার ব্যাপার হচ্ছে ফাইনালের প্রতিপক্ষ নিজশহর চট্টগ্রামের দল চিটাগাং কিংস। যারা খুলনাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে।

সে যাই হোক ফাইনাল এই ম্যাচে তামিমকে বিদায় জানাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। কারণ তারকা ক্রিকেটারটিকে বিদায় জানানোর জন্য এটি সুন্দর একটি মঞ্চও বটে। এতে হাজার হাজার ক্রিকেট ভক্তদের উপস্থিতিতে মাঠ থেকে তামিমের ক্রিকেটীয় ইতিহাসের বিদায়টা কেমন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা ।

তামিম তার এই বিদায় ম্যাচেও চান জয়ের বেশে মাঠ ছাড়তে। হাঁসি ফুটাতে চান বরিশালের দর্শকদের মুখে। ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হবে ফাইনাল এই ম্যাচটি। এই ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে তামিমের জন্য বিশেষ আয়োজন করবে বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এসময় তামিমের হাতে বিদায়ী স্মারক তুলে দেওয়া হবে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিসিবি।

২০২৩ সালের জুলাইতে বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের চমকে দিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। নাটকীয়ভাবে একদিন পরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে তিনি ফের ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন। এরপর ক্রিকেটে ফিরে বাংলাদেশের জার্সিতে ম্যাচও খেলেছেন। তবে গত ১০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে বিদায় জানান তিনি।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে তামিম লিখেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেকদিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ। অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।’

‘এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই। তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।’

‘অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।’

২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তামিমের। তিন সংস্করণ মিলে তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮৭ ম্যাচ ও ৪৪৮ ইনিংসে ১৫১৯২ রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ৯৪ ফিফটি ও ২৫টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শুক্রবার বিপিএলের ফাইনালে তামিমকে বিদায় জানাচ্ছে বিসিবি

আপডেট সময় : ০৯:১৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জিাতিক ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নেয়া হয়নি তামিম ইকবাল খানের। হাসিনা সরকারের সময় নানা নাটকীয়তার পর সবার ধারনা ছিলো অন্তর্বর্তীকালীণ সরকারের সময় এসে তিনি জাতীয় দলে ফিরবেন। কিন্তু জাতীয় দলকে না বলা তামিম হাঁ আরবলেন নি। নিজের ফেসবুক পোষ্টে জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় দলের হয়ে আর ক্রিকেট খেলছেন না তামিম। যার ফলে আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ দল সাজানো হয়েছে তামিমকে ছাড়াই। কিন্তু বাংলাদেশ সেরা এই ড্যাশিং ওপেনারের বিদায় তো আর মাঠ থেকে নেয়া হলো না। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাকে বিদায় জানানোর মঞ্চ হিসাবে বেচে নিয়েছে বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচটিকে।

ফরচুন বরিশালের হয়ে লড়ছেন তিনি। দলটিকে ফাইনালে নিয়ে যান। গতবারের ন্যয় এবারও শিরোপা হাতে নিতে চান বন্দর নগরী চট্টগ্রামের এই ছেলেটি। মজার ব্যাপার হচ্ছে ফাইনালের প্রতিপক্ষ নিজশহর চট্টগ্রামের দল চিটাগাং কিংস। যারা খুলনাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে।

সে যাই হোক ফাইনাল এই ম্যাচে তামিমকে বিদায় জানাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। কারণ তারকা ক্রিকেটারটিকে বিদায় জানানোর জন্য এটি সুন্দর একটি মঞ্চও বটে। এতে হাজার হাজার ক্রিকেট ভক্তদের উপস্থিতিতে মাঠ থেকে তামিমের ক্রিকেটীয় ইতিহাসের বিদায়টা কেমন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা ।

তামিম তার এই বিদায় ম্যাচেও চান জয়ের বেশে মাঠ ছাড়তে। হাঁসি ফুটাতে চান বরিশালের দর্শকদের মুখে। ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হবে ফাইনাল এই ম্যাচটি। এই ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে তামিমের জন্য বিশেষ আয়োজন করবে বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এসময় তামিমের হাতে বিদায়ী স্মারক তুলে দেওয়া হবে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিসিবি।

২০২৩ সালের জুলাইতে বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের চমকে দিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। নাটকীয়ভাবে একদিন পরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে তিনি ফের ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন। এরপর ক্রিকেটে ফিরে বাংলাদেশের জার্সিতে ম্যাচও খেলেছেন। তবে গত ১০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে বিদায় জানান তিনি।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে তামিম লিখেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেকদিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ। অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।’

‘এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই। তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।’

‘অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।’

২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তামিমের। তিন সংস্করণ মিলে তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮৭ ম্যাচ ও ৪৪৮ ইনিংসে ১৫১৯২ রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ৯৪ ফিফটি ও ২৫টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।