যুব বিশ্বকাপে আমিরুলের হ্যাটট্রিক, কোরিয়াকে হারাল বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৮:৫০:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
যুব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওটাই ছিলো একমাত্র পয়েন্ট। দুই হারও এক ড্রয়ে গ্রুপ পর্ব টপকানো যায়নি লাল-সবুজ জার্সি ধারীদের।তবে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে এবার এসে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে, ৫-৩ গোলের ব্যবধানে। যারা কিনা নিয়মিত বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে আসছে। আর এই দলটির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন বাংলাদেশের আমিরুল। যাকে বলা হয়ে থাকে হকির হামজা। অনেকটাই লেস্টার সিটির জাকড়া চুলের অধিকারী হামজা দেওয়ান চৌধুরীর মতোই। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে এটি আমিরুলের চতুর্থ হ্যাটট্রিক।
ম্যাচের দশ মিনিটে লি’র গোলে কোরিয়া এগিয়ে যায়। প্রথম কোয়ার্টার কোরিয়া ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ করে। ২০ মিনিটে লি পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে স্কোরলাইন ২-০ করেন। এরপরই শুরু হয় আমিরুল শো। ২১ ও ২৪ মিনিটে দুই পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে খেলায় সমতা আনেন। ২-২ গোলে সমান স্কোর নিয়ে দুই দল ড্রেসিংরুমে ফেরে।
তৃতীয় কোয়ার্টারেই আমিরুল হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে বাংলাদেশকে ৩-২ গোলের লিড এনে দেন তিনি। ওই কোয়ার্টারে কোরিয়া পেনাল্টি কর্নার পেয়েও সমতা আনতে পারেনি। শেষ কোয়ার্টারে ওবায়দুল জয় এক গোল করলে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা বাড়ে। দুই মিনিট পর লি হ্যাটট্রিক করলে আবার ম্যাচে ফেরে কোরিয়া। শেষ পাঁচ মিনিট কোরিয়া আরেক গোল করে এক পয়েন্ট পাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে রাকিবুল হাসানের গোলে বাংলাদেশের জয় সুনিশ্চিত হয়।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়ে এখন স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলছে। রাউন্ড অব ষোলোতে খেলতে না পারলেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৩-৫ গোলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হার। পরের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র। গ্রুপের শেষ ম্যাচে গত আসরের রানার্স আপ ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-৩ গোলে হার। এরপর ১৭-২৪তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ওমানকে ১৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। এরপর আজ শক্তিশালী কোরিয়াকে হারাল। আগামী পরশু দিন স্থান নির্ধারণীর পরবর্তী ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ ১৭তম হয়ে বিশ্বকাপ শেষ করবে।
বাংলাদেশের আমিরুল ইসলাম বিশ্বকাপে সবার নজর কেড়েছেন। ৫ ম্যাচে আমিরুল ১৫ গোল করে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চার ম্যাচেই তিনি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা দুই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিও পেয়েছেন।



















