ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গণভোট হওয়ার আইনটা আগে হওয়া দরকার, বললেন সিইসি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন মনে করেন গণভোট পরিচালনার জন্য একটি স্পষ্ট আইন প্রণয়ন জরুরি। তিনি বলেছেন, কীভাবে গণভোট হবে—সেই আইনটা আগে হওয়া দরকার। আইন হলে তখন আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আসবে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনের সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, সকালে বহু বক্তা গণভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু আইন ছাড়া গণভোটের পদ্ধতি, ব্যালট, ব্যালট বাক্স বা যাবতীয় কাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব নয়।

তিনি উল্লেখ করেন, রেফারেন্ডাম (গণভোট) আইন এর আগে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ করেছিলেন, এখন আবার আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। আইন হওয়ার পর ইসি এ বিষয়ে অনুশীলন ও প্রস্তুতি শুরু করবে।

পাকিস্তান আমল থেকে নির্বাচন দেখে আসার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়েই অগ্রসর হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বাস্তবতার হিট ওয়েভটা আমাকে ফিল করতে হয়। সামাজিক বাস্তবতাও সেরকম। তাই কম কথা, কাজ বেশি—এই নীতিতে আমরা এগোচ্ছি।

স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সিসিটিভি ও সাংবাদিকদের স্বাধীন উপস্থিতিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, গুড অবজারভার থাকলে, ভালো সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত রাখলে স্বচ্ছতা বাড়বে। লুকিয়ে নির্বাচন করতে চাই না। সাংবাদিকদের ক্যামেরা থাকবে, আমাদের সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। আমরা স্বচ্ছতা চাই।

তিনি আরও বলেন, ইসি ন্যায়নীতি, আইন ও বিধি বিষয়ে কোনো আপসে যাবে না। নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে কমিশন অটল থাকবে। এজন্য রাজনৈতিক দল, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং ভোটারদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

দুপুরের সেশনে বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি) এবং বাসদ মার্কসবাদী (নতুন দল)-এর সঙ্গে ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সকালে অংশ নেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ মাইনোরিটি জনতা পার্টি, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
এর আগে ১৩, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর দুই সেশনে ১২টি করে মোট ৩৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গণভোট হওয়ার আইনটা আগে হওয়া দরকার, বললেন সিইসি

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন মনে করেন গণভোট পরিচালনার জন্য একটি স্পষ্ট আইন প্রণয়ন জরুরি। তিনি বলেছেন, কীভাবে গণভোট হবে—সেই আইনটা আগে হওয়া দরকার। আইন হলে তখন আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আসবে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনের সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, সকালে বহু বক্তা গণভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু আইন ছাড়া গণভোটের পদ্ধতি, ব্যালট, ব্যালট বাক্স বা যাবতীয় কাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব নয়।

তিনি উল্লেখ করেন, রেফারেন্ডাম (গণভোট) আইন এর আগে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ করেছিলেন, এখন আবার আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। আইন হওয়ার পর ইসি এ বিষয়ে অনুশীলন ও প্রস্তুতি শুরু করবে।

পাকিস্তান আমল থেকে নির্বাচন দেখে আসার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়েই অগ্রসর হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বাস্তবতার হিট ওয়েভটা আমাকে ফিল করতে হয়। সামাজিক বাস্তবতাও সেরকম। তাই কম কথা, কাজ বেশি—এই নীতিতে আমরা এগোচ্ছি।

স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সিসিটিভি ও সাংবাদিকদের স্বাধীন উপস্থিতিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, গুড অবজারভার থাকলে, ভালো সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত রাখলে স্বচ্ছতা বাড়বে। লুকিয়ে নির্বাচন করতে চাই না। সাংবাদিকদের ক্যামেরা থাকবে, আমাদের সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। আমরা স্বচ্ছতা চাই।

তিনি আরও বলেন, ইসি ন্যায়নীতি, আইন ও বিধি বিষয়ে কোনো আপসে যাবে না। নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে কমিশন অটল থাকবে। এজন্য রাজনৈতিক দল, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং ভোটারদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

দুপুরের সেশনে বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি) এবং বাসদ মার্কসবাদী (নতুন দল)-এর সঙ্গে ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সকালে অংশ নেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ মাইনোরিটি জনতা পার্টি, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
এর আগে ১৩, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর দুই সেশনে ১২টি করে মোট ৩৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।