ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পতিত ও ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার সমকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্র আসাদুজ্জামান কামালকে ফিরিয়ে আনতে নয়া দিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিচ্ছে বাংলাদেশ। সোমবার হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু দন্ডের আদেশ দিয়েছেন। দন্ডিত এই দুই আসামী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তাদের কে ফিরিয়ে আনতে ঢাকা আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লির কাছে চিঠি পাঠাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান সরকারিভাবে ভারতকে জানাব। চিঠিটি আজ রাতেই বা কাল সকালে, যেভাবেই হোক, পাঠানো হবে।’ তিনি জানান, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন অথবা নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে এই চিঠি ভারত সরকারকে পাঠানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এর আগে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন … বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’

তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশের অনুরোধটি ভারত-বাংলাদেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনেই পাঠানো হবে। বিদ্যমান চুক্তির অধীনে ভারত দণ্ডিতদের ফেরত পাঠাতে আইনগতভাবে বাধ্য কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আইনগত ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল।
‘আমার বোঝাপড়া হলো- আদালত রায়ে দণ্ড ঘোষণার পর তাকে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন, এবং আমরা ভারতকে সরকারিভাবে তা অবহিত করব,’ বলেন উপদেষ্টা।
ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন ঢাকা কী করবে?-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখা দিলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর শেখ হাসিনা ও কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের জন্য নয়াদিল্লির কাছে আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। এই প্রত্যর্পণ ভারতের ‘চুক্তিবদ্ধ বাধ্যবাধকতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে দুই দণ্ডিতকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া অমিত্রসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচার অস্বীকারের সামিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১১:০৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

পতিত ও ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার সমকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্র আসাদুজ্জামান কামালকে ফিরিয়ে আনতে নয়া দিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিচ্ছে বাংলাদেশ। সোমবার হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু দন্ডের আদেশ দিয়েছেন। দন্ডিত এই দুই আসামী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তাদের কে ফিরিয়ে আনতে ঢাকা আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লির কাছে চিঠি পাঠাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান সরকারিভাবে ভারতকে জানাব। চিঠিটি আজ রাতেই বা কাল সকালে, যেভাবেই হোক, পাঠানো হবে।’ তিনি জানান, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন অথবা নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে এই চিঠি ভারত সরকারকে পাঠানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এর আগে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন … বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’

তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশের অনুরোধটি ভারত-বাংলাদেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনেই পাঠানো হবে। বিদ্যমান চুক্তির অধীনে ভারত দণ্ডিতদের ফেরত পাঠাতে আইনগতভাবে বাধ্য কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আইনগত ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল।
‘আমার বোঝাপড়া হলো- আদালত রায়ে দণ্ড ঘোষণার পর তাকে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন, এবং আমরা ভারতকে সরকারিভাবে তা অবহিত করব,’ বলেন উপদেষ্টা।
ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন ঢাকা কী করবে?-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখা দিলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর শেখ হাসিনা ও কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের জন্য নয়াদিল্লির কাছে আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। এই প্রত্যর্পণ ভারতের ‘চুক্তিবদ্ধ বাধ্যবাধকতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে দুই দণ্ডিতকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া অমিত্রসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচার অস্বীকারের সামিল।