হামজা সুস্থ্য, খেলবেন ভারত ম্যাচে
- আপডেট সময় : ০৭:১৭:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
- / ৫৪ বার পড়া হয়েছে
লিস্টার সিটির তারকা ফুটবলার বাংলাদেশী বংশো্দ্ভূত হামজা চৌধুরী এখন বাংলাদেশের ফুটবলের পোস্টার বয়। ম্যাচে তার উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।তিনি মাঠে থাকা মানেই প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্ক। এমন কি বাংলাদেশের ম্যাচের ধরনও তখন স্বাভাবিকতা দৃশ্যমান। এমন কি তিনি মাঠ ছাড়তেই দেখা যায় দলের বিপরীত দৃশ্যপটও। বৃহস্পতিবার নেপালের সঙ্গে ঘরের মাঠের প্রস্তুতি ম্যাচে যতক্ষণ মাঠে ছিলেন দল ছিলো উজ্জিবীত। কিন্তু তার মাঠ ছাড়তেই এলোমেলো বাংলাদেশকে দেখা যায়। এমন কি তার দেয়া জোড়া গোলও পারেনি শেষ ম্যাচ জয়ে মাঠ ছাড়তে। কয়েক সেকেন্ড আগে নেপাল গোল পরিশোধ করে স্বস্তিতে মাঠ ছাড়ে। ম্যাচের ফলাফল ২-২ গোলের সমতায় শেষ হয়। সাইড লাইনে বসে হতাশা ঝাড়তে দেখা যায় সার্বক্ষণিক হাসি-খুশিতে থাকা হামজাকে।
প্রতিপক্ষের আঘাতে ইঞ্জুরি হয়ে মাঠ ছাড়েন লিস্টার সিটির এই তারকা ফুটবলার। মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য তার মাঠের বাহিরের থাকাটাও সামাল দিতে পারেনি বাংলাদেশের রক্ষণভাগ এবং গোল কিপার মিতুল। এ নিয়ে রাজ্যের সমালোচনা হওয়াই স্বাভাবিক। প্রীতি ম্যাচে নেপাল প্রায় ২২ মিনিটের সময় গোল করে এগিয়ে যায়। দূর্দান্ত এক ব্যাকবলিতে গোল পরিশোধ করার কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আরেকটি গোল করেন হামজা। তার জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু সে এগিয়ে থাকাটা হামজার ইঞ্জুরি হয়ে মাঠ ছাড়তেই বিফলে চলে যায়। ম্যাচ শেষ হবার কয়েকটি সেকেন্ড আগেই নেপাল সমতা সূচক গোলটি করেন।
তবে ইঞ্জুরি হয়ে তার মাঠ ছাড়ায় সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাহলে ভারতের বিপক্ষে হামজার অনুপস্থিত! আজ কোচ হ্যাভিয়ের কেবরার বক্তব্যে সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসাই স্বাভাবিক, তার ইঞ্জুরিটা গুরুতর নয়। তিনি ভারতে বিপক্ষে খেলতে পারবেন। কাবরেরা বলেন,‘হামজাকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সে ভারত ম্যাচেও খেলতে পারবে।’
তবে শেষ মুহূর্তে জয় হাতছাড়া হওয়ায় কোচ কাবরেরা নিজের অসন্তুষ্টি গোপন করেননি। তিনি বলেন,‘আমি খেলোয়াড়দের ১০০ বার শিখিয়েছি, কিন্তু তারপরও কেন তারা পারছে না তা আমারও জানা নেই।’
হামজাকে নিয়ে নেপাল কোচ হারি খাড়কা বলেন,‘তাকে (হামজা) উঠিয়ে নেয়া কোচের (কাবরেরা) সিদ্ধান্ত। তবে সে খেললে আমাদের জন্য কঠিন হতো। গোল হজমের পর আমরা পরিকল্পনা বদলাই, কিছু সুযোগ তৈরি করি এবং শেষ পর্যন্ত গোলও আদায় করি।’




















