লড়াই করেও বাংলাদেশের কাছে আইরিশদের ইনিংস পরাজয়
- আপডেট সময় : ০৬:৪৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
- / ৫৩ বার পড়া হয়েছে
সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড হারবে সেটা ছিলো অনেকটা অঘোষিত। হয়েছেও তাই। অপেক্ষটা ছিলো ব্যাবধানের। তাইজুলদের বোলিং কৃতিত্বে ইনিংস ও ৪৭ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে যতোটা দ্রুত ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা জেগে উঠেছিলো আইরিশদের ততোটা কিন্তু না।
আজ চতুর্থদিনে ইনিংস হার এড়াতে অতিথি দলের দরকার ছিলো ২১৫ রান।আগের দিন ৫ উইকেটে ৮৬ রান তোলা আইরিশদের এই দূর্গম পথ অতিক্রমে যে নানা বাধা অপেক্ষমান! তা পরিস্কার করে দিয়েছেন ম্যাচের তৃতীয় দিনেই তাইজুলরা। তবে যতটা দ্রুত বিপর্যয়ের শঙ্কা বেজে উঠেছিলো তা থেকে কিছু নিষ্ক্রিয়তা পেয়েছে সফরকারী দলটি।বলা যায়, সিলেটের উইকেট এই দিন কিছুটা হলেও আইরিশ ব্যাটারদের দিকে মুখ ফিরে তাকিয়েছে। তাইজুলদের ব্যাপক বোলিং আক্রমনেও তারা লড়াকু ব্যাটিং চালায়। পরাজয়ের সময়টাকে আরো দীর্ঘ করে তোলে। আগের দিন ৫ উইকেটে করা ৮৫ রানকে টেনে নিয়ে যায় তারা ২৫৮ রানে। অতিথি দলের জন্য বলা যায় এটি অনেক বড় প্রাপ্তিও বটে।
প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ড ২৮৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৪ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে টেস্টে আরেকটি ইনিংস ব্যবধানের জয়। মাহমুদ ইসলাম জয়, সাদ্দাম ইসলাম, মুমিনুল হক ও লিটন দাসদের রানে ফেরা। মাহমুদুল হাসান জয় ১৭১, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত’র ১০০ এবং সাদমান-মুমিনুল-লিটনের হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৫৮৭ রানের বড় পুঁজি।
তৃতীয় দিনে আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশ লিড নেয় ৩০১ রানের। বড় লিড পার হওয়াই চ্যালেঞ্জ ছিল আইরিশদের জন্য। তৃতীয় দিন শেষে ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে সেটি আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আগেরদিন যত দ্রুত খেলা শেষ হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল চতুর্থ দিনে সেরকম কিছু হয়নি। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার সময় আইরিশরা ৭ উইকেট তোলে ১৯৮ রান। বিরতি থেকে ফিরে আগ্রাসী হয়ে উঠলেও, তাইজুল-মুরাদদের সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নেইল-ম্যাককার্থিরা। ২৫৪ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে আসার পরপরই তিনি নাহিদ রানার কোমরের কিছুটা ওপরের বলে পুল খেলতে গিয়ে শর্ট মিডে মুরাদকে ক্যাচ দিয়েছেন। নবম উইকেট জুটিতে একের পর এক বাউন্ডারিতে ৫৬ বলে ৫৪ রান তোলেন ব্যারি ম্যাককার্থি ও জর্ডান নেইল মিলে। মুরাদের বলে নেইল ফিরতেই সেই জুটি ভাঙে। ৪ বলের ব্যবধানে ম্যাককার্থিও আউট হলে শেষ হয় আয়ারল্যান্ডের দৌড়।
বালবার্নি ৩৮, নেইল ৩৬ ও ম্যাককার্থির ব্যাটে ২৫ রান এসেছে। আগেরদিন পল স্টার্লিং করেন ৪৩ রান। এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হওয়া মুরাদ প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নেওয়ার পর এবার ৪ উইকেট শিকার করেছেন। এ ছাড়া তাইজুল ২ এবং রানা নিয়েছেন এক উইকেট।
১৭১ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন জয়। যদিও তিনি ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি মিসের হতাশা প্রকাশ করেছিলেন গতকাল। এই সিরিজ দিয়ে তিনি ফের দলে ফেরেন।




















