ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঢাকা থেকেই নির্বাচন করবেন বলে জানালেন উপদেষ্টা আসিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৬৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লার ছেলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। জুলাই অভ্যত্থানের পর বদলে যায় তার জীবন যাত্রা। ছাত্রত্ব শেষ করেই সরাসরি ক্ষমতায়। যদিও তার আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের রসানলে, গুম ও নির্যাতনের শিকারে পড়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়েই অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা বনে যান। গুরুত্বপূর্ণ চারটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চলে আসে তার কাঁধে। যদিও ক্ষমতা গ্রহনের পর তাকে ঘিরে নানা আর্থিক গল্প-গুজব ছিলো সবার মুখে মুখে। নির্বাচনে অংশ না নিয়েই ক্ষমতা ভোগ। তার দল এনসিপি থেকেও তাকে সরে দাড়ানোর নির্দেশ এসেছিলো। কিন্তু তিনি ইউনুস সরকারের গুরুত্বপূরর্ণ দায়িত্ব ছাড়েন নি। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পার করে দিয়েছেন এক বছরেরও বেশি সময়।  ইউনুস সরকারের কমিটমেন্ট অনুযায়ী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারীতেই হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কি করবেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া? যেখানেই যান সেখানেই তাকে ঘিরে উঠে আসছে এমন প্রশ্ন।

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলো পেয়েই নিজ এলাকায় উন্নয়নে অধিকতর বাজেট বরাদ্দ দেন। ধারনা করা হয়েছিলো কুমিল্লা-৩ আসন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছেন হয়ত। কিন্তু আজ রোববার ৯ নভেম্বর নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছেন তরুণ এই উপদেষ্টা। কুমিল্লা নয়, ঢাকা-১০ আসন থেকেই নির্বাচন করতে যাচ্ছেন তিনি। সে লক্ষ্যে নিজের ভোটার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে গিয়েছিলেন ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিসে।

সেখানেই নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বলেছেন সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা থেকেই নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, যেহেতু ঢাকা থেকে নির্বাচন করব এটা মোটামুটি নিশ্চিত, সেই জায়গা থেকেই নিজের ভোটটা ঢাকায় নিয়ে আসা। কারণ, ভোটটা যাতে অপচয় না হয়। আমি যদিও ভোটার হয়েছি আগে, কিন্তু কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। আমি ভোটার হওয়ার পর দু’টি নির্বাচন হয়েছে, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে। আপনারা সবাই জানেন এই সময়ে কেউ ভোট দিতে পারেনি। এই নির্বাচনে যাতে ভোট দিতে পারি, সেটি নিশ্চিত করালাম।

ঢাকা-১০ আসন থেকে নির্বাচন করার গুঞ্জন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কোথা থেকে করব এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে ঢাকা থেকেই করব ইনশাআল্লাহ। এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা স্বতন্ত্র নির্বাচন করার, তারপরও দেখা যাক কী হয়। আমার কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। কোন রাজনৈতিক দল কোন আসন ফাঁকা রাখল কি রাখল না, সেটি আমার দেখার বিষয় না। আমি আমার সিদ্ধান্ত এককভাবেই নেব।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার সরকার থেকে পদত্যাগ করে ধানমন্ডি এলাকায় থাকার পরিকল্পনা আছে। সেই জায়গা থেকেই যেখানে থাকব, সেখানেই ভোটার হওয়া। নির্বাচন করার জন্য কোথায় ভোটার হলেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ না, দেশের নাগরিক ও ভোটার হলেই যথেষ্ট। এই জায়গা থেকেই ঢাকায় ভোটার হওয়া, যাতে নির্বাচনের সময় আমার ভোটটা অপচয় না হয়।

কবে নাগাদ পদত্যাগ করতে পারেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবেই বলছি আমি নির্বাচন করব। তবে কবে নাগাদ পদত্যাগ করব, সেটি সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্তের ওপর অনেকটাই নিভর করছে। আলোচনা করে সে বিষয়ে দ্রুতই জানাব।

জুলাই সনদ নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সরকার জনগণকে নিয়েই ভাবছে। বিচার, সংস্কার, গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে সমানভাবেই এগিয়ে চলছে। বিচারের বিষয়ে এ মাসের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে। আর সংস্কার কার্যক্রম চলমান। নির্বাচন নিয়ে সরকার খুব স্পষ্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকা থেকেই নির্বাচন করবেন বলে জানালেন উপদেষ্টা আসিফ

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

কুমিল্লার ছেলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। জুলাই অভ্যত্থানের পর বদলে যায় তার জীবন যাত্রা। ছাত্রত্ব শেষ করেই সরাসরি ক্ষমতায়। যদিও তার আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের রসানলে, গুম ও নির্যাতনের শিকারে পড়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়েই অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা বনে যান। গুরুত্বপূর্ণ চারটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চলে আসে তার কাঁধে। যদিও ক্ষমতা গ্রহনের পর তাকে ঘিরে নানা আর্থিক গল্প-গুজব ছিলো সবার মুখে মুখে। নির্বাচনে অংশ না নিয়েই ক্ষমতা ভোগ। তার দল এনসিপি থেকেও তাকে সরে দাড়ানোর নির্দেশ এসেছিলো। কিন্তু তিনি ইউনুস সরকারের গুরুত্বপূরর্ণ দায়িত্ব ছাড়েন নি। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পার করে দিয়েছেন এক বছরেরও বেশি সময়।  ইউনুস সরকারের কমিটমেন্ট অনুযায়ী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারীতেই হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কি করবেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া? যেখানেই যান সেখানেই তাকে ঘিরে উঠে আসছে এমন প্রশ্ন।

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলো পেয়েই নিজ এলাকায় উন্নয়নে অধিকতর বাজেট বরাদ্দ দেন। ধারনা করা হয়েছিলো কুমিল্লা-৩ আসন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছেন হয়ত। কিন্তু আজ রোববার ৯ নভেম্বর নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছেন তরুণ এই উপদেষ্টা। কুমিল্লা নয়, ঢাকা-১০ আসন থেকেই নির্বাচন করতে যাচ্ছেন তিনি। সে লক্ষ্যে নিজের ভোটার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে গিয়েছিলেন ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিসে।

সেখানেই নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বলেছেন সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা থেকেই নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, যেহেতু ঢাকা থেকে নির্বাচন করব এটা মোটামুটি নিশ্চিত, সেই জায়গা থেকেই নিজের ভোটটা ঢাকায় নিয়ে আসা। কারণ, ভোটটা যাতে অপচয় না হয়। আমি যদিও ভোটার হয়েছি আগে, কিন্তু কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। আমি ভোটার হওয়ার পর দু’টি নির্বাচন হয়েছে, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে। আপনারা সবাই জানেন এই সময়ে কেউ ভোট দিতে পারেনি। এই নির্বাচনে যাতে ভোট দিতে পারি, সেটি নিশ্চিত করালাম।

ঢাকা-১০ আসন থেকে নির্বাচন করার গুঞ্জন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কোথা থেকে করব এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে ঢাকা থেকেই করব ইনশাআল্লাহ। এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা স্বতন্ত্র নির্বাচন করার, তারপরও দেখা যাক কী হয়। আমার কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। কোন রাজনৈতিক দল কোন আসন ফাঁকা রাখল কি রাখল না, সেটি আমার দেখার বিষয় না। আমি আমার সিদ্ধান্ত এককভাবেই নেব।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার সরকার থেকে পদত্যাগ করে ধানমন্ডি এলাকায় থাকার পরিকল্পনা আছে। সেই জায়গা থেকেই যেখানে থাকব, সেখানেই ভোটার হওয়া। নির্বাচন করার জন্য কোথায় ভোটার হলেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ না, দেশের নাগরিক ও ভোটার হলেই যথেষ্ট। এই জায়গা থেকেই ঢাকায় ভোটার হওয়া, যাতে নির্বাচনের সময় আমার ভোটটা অপচয় না হয়।

কবে নাগাদ পদত্যাগ করতে পারেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবেই বলছি আমি নির্বাচন করব। তবে কবে নাগাদ পদত্যাগ করব, সেটি সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্তের ওপর অনেকটাই নিভর করছে। আলোচনা করে সে বিষয়ে দ্রুতই জানাব।

জুলাই সনদ নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সরকার জনগণকে নিয়েই ভাবছে। বিচার, সংস্কার, গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে সমানভাবেই এগিয়ে চলছে। বিচারের বিষয়ে এ মাসের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে। আর সংস্কার কার্যক্রম চলমান। নির্বাচন নিয়ে সরকার খুব স্পষ্ট।