ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ব্লাড ব্যাংকের রক্ত নিয়ে এইচআইভি পজিটিভ! আক্রান্ত ভারতের ঝাড়খণ্ডের পাঁচ শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৬৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বাস্থ্য সেোর  নিরাপদ কোথায় মিলবে? এমন আশঙ্কা এখন সবার ভিতর বিরাজমান।এই আতঙ্কটা বেশি গরীব দেশগুলোতে,বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি দেখা যাচ্ছে। সুচিকিৎসা নিতে গিয়েও রোগীরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন বিপদে। এইতো সেদিন ভারতের অঙ্গরাজ্য ঝাড়খন্ডের সরকারি হাসাপাতালে গিয়ে ব্লাডব্যাংকের রক্ত নিয়ে এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ভারতের পাঁচটি শিশু। যা কিনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ওই হাসপাতালের সিভিল সার্জন, এইচআইভি ইউনিটের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

অথচ ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থাকেই উপমহাদেশের সেরা চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসেবে ধরে নেয়া হয়। সেখানেই যদি এই অবস্থা,তাহলে সুচিকিৎসাটা মিলবে কোথায়? এমন প্রশ্ন এখন জনমেনে।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এই ঘটনায় ভুক্তভুগী পরিবারদের দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই শিশুদের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সংক্রমিত রক্ত সঞ্চালনের ফলে এইচআইভি পজিটিভ হয়ে পড়েছে এই শিশুরা।

এই শিশুদের একজনের মা বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যখন মেয়েকে সদর হাসপাতালে রক্ত দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন, তখন তার প্রতি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবর্তিত আচরণ দেখে তার সন্দেহ হয়। আমার মেয়ের প্রতি স্বাস্থ্যকর্মীদের এই আচরণ দেখে আমি বিচলিত হয়ে পড়ি। আমার সন্দেহ হয়েছিল যে আমার মেয়ের কিছু একটা হয়েছে। পরে একজন স্বাস্থকর্মী তাকে জানান, আপনার মেয়েকে ভুল রক্ত দেওয়া হয়েছে, যার ফলে ও এইচআইভি পজিটিভ হয়ে গিয়েছে।

এই পুরো ঘটনায় প্রথম বড় প্রশ্ন হলো এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত কোথা থেকে এলো?
এই বিষয়ে স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কুমারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে, এই জেলায় মোট ২৫৯ জন দাতা রক্তদান করেছেন। এর মধ্যে ৪৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে চারজন দাতা এইচআইভি পজিটিভ বলে নিশ্চিত করা গেছে।

বাকিদের সম্পর্কে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে অন্য কোনো দাতা এইচআইভি পজিটিভ হলে তাদের শনাক্ত করা যায়। দ্বিতীয় যে বড় প্রশ্ন উঠেছে তা হলো, এই শিশুদের এইচআইভি সংক্রমিত হয়ে পড়ার জন্য দায়ী কে?
ঝাড়খণ্ডের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রামচন্দ্র চন্দ্রবংশীর মতে, এই ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবহেলা রয়েছে, তাই তারাই দোষী। ঝাড়খণ্ডের বিশেষ স্বাস্থ্য সচিব ডা. নেহা অরোরার মতে, বিষয়টা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ব্লাড ব্যাংকের রক্ত নিয়ে এইচআইভি পজিটিভ! আক্রান্ত ভারতের ঝাড়খণ্ডের পাঁচ শিশু

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

স্বাস্থ্য সেোর  নিরাপদ কোথায় মিলবে? এমন আশঙ্কা এখন সবার ভিতর বিরাজমান।এই আতঙ্কটা বেশি গরীব দেশগুলোতে,বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি দেখা যাচ্ছে। সুচিকিৎসা নিতে গিয়েও রোগীরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন বিপদে। এইতো সেদিন ভারতের অঙ্গরাজ্য ঝাড়খন্ডের সরকারি হাসাপাতালে গিয়ে ব্লাডব্যাংকের রক্ত নিয়ে এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ভারতের পাঁচটি শিশু। যা কিনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ওই হাসপাতালের সিভিল সার্জন, এইচআইভি ইউনিটের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

অথচ ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থাকেই উপমহাদেশের সেরা চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসেবে ধরে নেয়া হয়। সেখানেই যদি এই অবস্থা,তাহলে সুচিকিৎসাটা মিলবে কোথায়? এমন প্রশ্ন এখন জনমেনে।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এই ঘটনায় ভুক্তভুগী পরিবারদের দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই শিশুদের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সংক্রমিত রক্ত সঞ্চালনের ফলে এইচআইভি পজিটিভ হয়ে পড়েছে এই শিশুরা।

এই শিশুদের একজনের মা বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যখন মেয়েকে সদর হাসপাতালে রক্ত দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন, তখন তার প্রতি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবর্তিত আচরণ দেখে তার সন্দেহ হয়। আমার মেয়ের প্রতি স্বাস্থ্যকর্মীদের এই আচরণ দেখে আমি বিচলিত হয়ে পড়ি। আমার সন্দেহ হয়েছিল যে আমার মেয়ের কিছু একটা হয়েছে। পরে একজন স্বাস্থকর্মী তাকে জানান, আপনার মেয়েকে ভুল রক্ত দেওয়া হয়েছে, যার ফলে ও এইচআইভি পজিটিভ হয়ে গিয়েছে।

এই পুরো ঘটনায় প্রথম বড় প্রশ্ন হলো এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত কোথা থেকে এলো?
এই বিষয়ে স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কুমারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে, এই জেলায় মোট ২৫৯ জন দাতা রক্তদান করেছেন। এর মধ্যে ৪৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে চারজন দাতা এইচআইভি পজিটিভ বলে নিশ্চিত করা গেছে।

বাকিদের সম্পর্কে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে অন্য কোনো দাতা এইচআইভি পজিটিভ হলে তাদের শনাক্ত করা যায়। দ্বিতীয় যে বড় প্রশ্ন উঠেছে তা হলো, এই শিশুদের এইচআইভি সংক্রমিত হয়ে পড়ার জন্য দায়ী কে?
ঝাড়খণ্ডের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রামচন্দ্র চন্দ্রবংশীর মতে, এই ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবহেলা রয়েছে, তাই তারাই দোষী। ঝাড়খণ্ডের বিশেষ স্বাস্থ্য সচিব ডা. নেহা অরোরার মতে, বিষয়টা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।