ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারত সিন্ধু নদীতে বাঁধ দিলে মিসাইল মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুঙ্কার পাকিস্তানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৮১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিবেশি দেশগুলোর ওপর বাঁধ নির্মানে বিপাকে ফেলার কৌশল ভারতের অনেক পুরানো অভ্যাস। ফারাক্কা বাঁধের মতো বাংলাদেশ সীমানায় অনেকগুলো বাঁধ নির্মান করে বাংলাদেশকে বর্ষার সময় চরম বিপাকে ফেলে ভারত। একইভাবে পাকিস্তান সীমানায়ও তারা নদীর ওপর বাঁধ নির্মানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে সিন্ধু নদীর ওপর দিয়ে বাঁধ নির্মানে পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।

কাশ্মীরের পহেলগাম যুদ্ধের পর থেকে ভারত সিন্ধু নদীর পানি পাকিস্তানকে না দেয়ার হুঙ্কার দেয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পরিস্কার জানিয়ে দেয়া হচ্ছে যদি ভারত সিন্ধু নদীর উপর বাঁধ নির্মান করে তাহলে দশটি মিসাইল মেরে সব উড়িয়ে দিবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লরিডায় টাম্পায় একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনির এমন হুঙ্কার দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি পাকিস্তানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে এবং পাকিস্তান ধ্বংসের মুখে পড়ে তাহলে পুরো বিশ্বের অর্ধেক ধসিয়ে দিয়ে এরপর নিজেরা ধ্বংস হবেন। তিনি মূলত এই অঞ্চলে পারমাণবিক যুদ্ধেল হুমকি দিয়েছেন।

অসীম মুনির বলেন, “আমরা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ধ্বংস হচ্ছি। তাহলে আমাদের সঙ্গে বিশ্বের অর্ধেককে ধসিয়ে নিয়ে যাব।”
চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চারদিনের সংঘাত হয়। এরআগে এপ্রিলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ওই হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিল করে ভারত। নয়াদিল্লি হুমকি দেয়, সিন্ধুর পানি আর পাকিস্তানকে দেওয়া হবে না।

পাক সেনাপ্রধান যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বলেছেন, সিন্ধু নদীতে ভারত বাঁধ নির্মাণ করার জন্য তারা অপেক্ষা করবেন। যখনই বাঁধটি বানানো শেষ হবে তখনই মিসাইল মেরে এটি ধসিয়ে দেবেন।
অসিম মুনির বলেন, “আমরা বাঁধ নির্মাণের জন্য অপেক্ষা করব। যখন বানানো শেষ হবে; ১০টি মিসাইল মেরে এটি ধ্বংস করে দেব। সিন্ধু নদ ভারতের পারিবারিক সম্পত্তি নয়। আমাদের মিসাইলের কোনো অভাব নেই। ”
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১৯৬০ এর দশকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদ চুক্তি হয়। এরমাধ্যমে সিন্ধুর অববাহিকা থেকে আসা তিনটি নদীর পানি পায় পাকিস্তান। সূত্র: দ্য প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারত সিন্ধু নদীতে বাঁধ দিলে মিসাইল মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুঙ্কার পাকিস্তানের

আপডেট সময় : ১০:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

প্রতিবেশি দেশগুলোর ওপর বাঁধ নির্মানে বিপাকে ফেলার কৌশল ভারতের অনেক পুরানো অভ্যাস। ফারাক্কা বাঁধের মতো বাংলাদেশ সীমানায় অনেকগুলো বাঁধ নির্মান করে বাংলাদেশকে বর্ষার সময় চরম বিপাকে ফেলে ভারত। একইভাবে পাকিস্তান সীমানায়ও তারা নদীর ওপর বাঁধ নির্মানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে সিন্ধু নদীর ওপর দিয়ে বাঁধ নির্মানে পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।

কাশ্মীরের পহেলগাম যুদ্ধের পর থেকে ভারত সিন্ধু নদীর পানি পাকিস্তানকে না দেয়ার হুঙ্কার দেয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পরিস্কার জানিয়ে দেয়া হচ্ছে যদি ভারত সিন্ধু নদীর উপর বাঁধ নির্মান করে তাহলে দশটি মিসাইল মেরে সব উড়িয়ে দিবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লরিডায় টাম্পায় একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনির এমন হুঙ্কার দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি পাকিস্তানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে এবং পাকিস্তান ধ্বংসের মুখে পড়ে তাহলে পুরো বিশ্বের অর্ধেক ধসিয়ে দিয়ে এরপর নিজেরা ধ্বংস হবেন। তিনি মূলত এই অঞ্চলে পারমাণবিক যুদ্ধেল হুমকি দিয়েছেন।

অসীম মুনির বলেন, “আমরা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ধ্বংস হচ্ছি। তাহলে আমাদের সঙ্গে বিশ্বের অর্ধেককে ধসিয়ে নিয়ে যাব।”
চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চারদিনের সংঘাত হয়। এরআগে এপ্রিলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ওই হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিল করে ভারত। নয়াদিল্লি হুমকি দেয়, সিন্ধুর পানি আর পাকিস্তানকে দেওয়া হবে না।

পাক সেনাপ্রধান যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বলেছেন, সিন্ধু নদীতে ভারত বাঁধ নির্মাণ করার জন্য তারা অপেক্ষা করবেন। যখনই বাঁধটি বানানো শেষ হবে তখনই মিসাইল মেরে এটি ধসিয়ে দেবেন।
অসিম মুনির বলেন, “আমরা বাঁধ নির্মাণের জন্য অপেক্ষা করব। যখন বানানো শেষ হবে; ১০টি মিসাইল মেরে এটি ধ্বংস করে দেব। সিন্ধু নদ ভারতের পারিবারিক সম্পত্তি নয়। আমাদের মিসাইলের কোনো অভাব নেই। ”
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১৯৬০ এর দশকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদ চুক্তি হয়। এরমাধ্যমে সিন্ধুর অববাহিকা থেকে আসা তিনটি নদীর পানি পায় পাকিস্তান। সূত্র: দ্য প্রিন্ট