ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দ. কোরিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হয়েও এশিয়া কাপের মূল পর্বে ওঠার ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৩৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লাওসের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার কষ্টার্জিত জয়টি স্বপ্ন জাগিয়েছিলো বাংলাদেশের। আর যাই হোক শক্তিশালী এই দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের ড্রয়ের সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। কারণ লাওসের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টা ছিলো ৩-১ গোলের। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়া লাওসকে ১-০ গোলে হারায়। এমন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা আফঈদা খন্দকারদের নিয়ে ড্র এর স্বপ্ন দেখাটা একেবারেই অবান্তর ছিলো না।

কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যে যে কতো বড় তফাৎ, তা দেখা গেলো আজ রোববার গ্রুপে নিজেদের শেষ এই ম্যাচে। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হেরে গেলেন সাগরিকা-তৃষ্ণারা। নারী অনুর্ধ্ব-২০ এশিয়া কাপের কোয়ালিফাই রাউন্ডে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে পৌছে গেলো শক্তিশালী দ.কোরিয়া। কপাল পুড়েনি বাংলাদেশের মেয়েদের। হেরেও মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ নারী দল। সে সুযোগটি করে দিয়েছে ‘ই’ গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা চীন। একইদিন লেবাননকে তারা ৮-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারাতেই তিন গ্রুপের মধ্যে বাংলাদেশ সুপার রানার্স আপ হয়ে যায়। এ যেন হতাশার মাঝে স্বস্তির বাতাস। সিনিয়র দলের ন্যায় বাংলাদেশ নারী ফুটবলে আরেকটি ইতিহাস রচিত হলো।

তবে প্রশ্ন জাগছে টানা দুটি ম্যাচে গোল উৎসবে মেতে থাকা বাংলাদেশের মেয়েদের এমন ভরাডুবি কেন। লাওস যদি বিরাশি মিনিট পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার আক্রমন নস্যাৎ করে দিতে পারে বাংলাদেশ কেন নয়। তাহলে কি ম্যাচের আগেই খেই হারিয়ে ফেলেছেন সাগরিকারা! তেমনটিও দৃশ্যমান হয়নি। কারণ পরাশক্তিধর এই দলটির বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিলো বাংলাদেশ। এমন কি বেশ  কয়েকটি আক্রমনও ছিলো দৃশ্যমান। যারফলে খেলার প্রথম পঁয়তাল্লিশ মিনিট পার হয় ১-১ গোলের সমতায়। দ্বিতীয়ার্ধে আর ৫টি গোল করে দক্ষিণ কোরিয়া বুঝিয়ে দিলো প্রার্থক্য।

ম্যাচের পরাজয় নিয়ে যদিও বাংলাদেশ কোচের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে সাদা চোখে বাংলাদেশের মেয়েদের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবধানটা একটি জায়গা ছিলো পরিস্কার, পাসিং এবং প্লেসিং। দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েদের মধ্যে বল আদান-প্রদানে বোঝা পড়াটা ছিলো চমৎকার। যেটা একেবারেই অপ্রতুল ছিলো বাংলাদেশ দলে। শুধু এই একটি প্রার্থক্যই বাংলাদেশ দলকে বড় ব্যবধানে পরাজয়ে বিদ্ধ করেছে। তা না হয় গতিতে,স্ট্যামিনায় সাগরিকারা ছিলেন বেশ অগ্রগামী। উইথ দ্য বলে দারুন পারফরম্যান্স রয়েছে দলটিতে।

দলের এই জায়গা ঠিক হলে বাংলাদেশের এই দলটি হয়ে উঠবে দক্ষিণ কোরিয়ার মতোই পরাশক্তিধর, এমন প্রত্যাশা ফুটবলবিজ্ঞদের। এখন সুপার রানার্স আপ হয়ে মূল পর্বে পৌছাতে পারবে কিনা সে অপেক্ষা থাকছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হারলেও মূল পর্বে খেলার শুভ সংবাদ আটকে থাকেনি বাংলাদেশের মেয়েদের। অপর গ্রুপে চীন ৮-০ গোলে লেবাননকে পরাজিত করায় বাংলাদেশ পেৌছে গেলে মুল পর্বে।

১ থেকে ১৮ এপ্রিল এফসি নারী অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ হবে থাইল্যান্ডে। ১২ দলের এই লড়াই থেকেও অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ থাকবে। আগামী বছর ৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলবে এশিয়ান কাপের চার সেমিফাইনালিস্ট দল। জাতীয় দলের মতো ইয়ুথ দলের সামনেও এখন বিশ্বকাপের হাতছানি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দ. কোরিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হয়েও এশিয়া কাপের মূল পর্বে ওঠার ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

লাওসের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার কষ্টার্জিত জয়টি স্বপ্ন জাগিয়েছিলো বাংলাদেশের। আর যাই হোক শক্তিশালী এই দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের ড্রয়ের সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। কারণ লাওসের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টা ছিলো ৩-১ গোলের। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়া লাওসকে ১-০ গোলে হারায়। এমন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা আফঈদা খন্দকারদের নিয়ে ড্র এর স্বপ্ন দেখাটা একেবারেই অবান্তর ছিলো না।

কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যে যে কতো বড় তফাৎ, তা দেখা গেলো আজ রোববার গ্রুপে নিজেদের শেষ এই ম্যাচে। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হেরে গেলেন সাগরিকা-তৃষ্ণারা। নারী অনুর্ধ্ব-২০ এশিয়া কাপের কোয়ালিফাই রাউন্ডে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে পৌছে গেলো শক্তিশালী দ.কোরিয়া। কপাল পুড়েনি বাংলাদেশের মেয়েদের। হেরেও মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ নারী দল। সে সুযোগটি করে দিয়েছে ‘ই’ গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা চীন। একইদিন লেবাননকে তারা ৮-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারাতেই তিন গ্রুপের মধ্যে বাংলাদেশ সুপার রানার্স আপ হয়ে যায়। এ যেন হতাশার মাঝে স্বস্তির বাতাস। সিনিয়র দলের ন্যায় বাংলাদেশ নারী ফুটবলে আরেকটি ইতিহাস রচিত হলো।

তবে প্রশ্ন জাগছে টানা দুটি ম্যাচে গোল উৎসবে মেতে থাকা বাংলাদেশের মেয়েদের এমন ভরাডুবি কেন। লাওস যদি বিরাশি মিনিট পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার আক্রমন নস্যাৎ করে দিতে পারে বাংলাদেশ কেন নয়। তাহলে কি ম্যাচের আগেই খেই হারিয়ে ফেলেছেন সাগরিকারা! তেমনটিও দৃশ্যমান হয়নি। কারণ পরাশক্তিধর এই দলটির বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিলো বাংলাদেশ। এমন কি বেশ  কয়েকটি আক্রমনও ছিলো দৃশ্যমান। যারফলে খেলার প্রথম পঁয়তাল্লিশ মিনিট পার হয় ১-১ গোলের সমতায়। দ্বিতীয়ার্ধে আর ৫টি গোল করে দক্ষিণ কোরিয়া বুঝিয়ে দিলো প্রার্থক্য।

ম্যাচের পরাজয় নিয়ে যদিও বাংলাদেশ কোচের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে সাদা চোখে বাংলাদেশের মেয়েদের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবধানটা একটি জায়গা ছিলো পরিস্কার, পাসিং এবং প্লেসিং। দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েদের মধ্যে বল আদান-প্রদানে বোঝা পড়াটা ছিলো চমৎকার। যেটা একেবারেই অপ্রতুল ছিলো বাংলাদেশ দলে। শুধু এই একটি প্রার্থক্যই বাংলাদেশ দলকে বড় ব্যবধানে পরাজয়ে বিদ্ধ করেছে। তা না হয় গতিতে,স্ট্যামিনায় সাগরিকারা ছিলেন বেশ অগ্রগামী। উইথ দ্য বলে দারুন পারফরম্যান্স রয়েছে দলটিতে।

দলের এই জায়গা ঠিক হলে বাংলাদেশের এই দলটি হয়ে উঠবে দক্ষিণ কোরিয়ার মতোই পরাশক্তিধর, এমন প্রত্যাশা ফুটবলবিজ্ঞদের। এখন সুপার রানার্স আপ হয়ে মূল পর্বে পৌছাতে পারবে কিনা সে অপেক্ষা থাকছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হারলেও মূল পর্বে খেলার শুভ সংবাদ আটকে থাকেনি বাংলাদেশের মেয়েদের। অপর গ্রুপে চীন ৮-০ গোলে লেবাননকে পরাজিত করায় বাংলাদেশ পেৌছে গেলে মুল পর্বে।

১ থেকে ১৮ এপ্রিল এফসি নারী অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ হবে থাইল্যান্ডে। ১২ দলের এই লড়াই থেকেও অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ থাকবে। আগামী বছর ৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলবে এশিয়ান কাপের চার সেমিফাইনালিস্ট দল। জাতীয় দলের মতো ইয়ুথ দলের সামনেও এখন বিশ্বকাপের হাতছানি।