২১ ধাপ এগিয়ে থাকা লাওসকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশের মেয়েরা

- আপডেট সময় : ০৯:১২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ৭৭ বার পড়া হয়েছে
দাপুটে ফুটবল খেলে ২১ ধাপ এগিয়ে থাকা লাওসকে হারিয়ে এএফসি অনুর্ধ্ব-২০ ফুটবল টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। আজ বুধবার ভিয়েনতিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে স্বাগতিক লাওসকে। বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেন সাগরিকা ও মুনকি একটি গোল করেন। প্রথেমার্ধে এক গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। ৩৬ মিনিটের সময় গোলটি করেন সাগরিকা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে বক্সের ভিতর লাফিয়ে হেড দিয়ে গোলটি করেন সাগরিকা।
বিরতির পর অপর দুটি গোল পায় বাংলাদেশ। ৫৯ মিনিটের সময় বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মুনকি আক্তার। মিড ফিল্ড থেকে পাওয়া বলে দারুণভাবে একজন খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে শেষ গোল কিপারকেও বোকা বানান মুনকি। আলতো প্লেসে বলটি গোলকিপারের পায়ের পাশ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন।
তবে বাংলাদেশ দুই অর্ধেই দুটি গোল বঞ্চিত হয় ক্রসবারের জন্য। সাগরিকা গোল করার মিনিট তিনেক পর বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত। শিখার দূরপাল্লার শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। দ্বিতীয়ার্ধে মুনকির গোলের পর আরেকটি আক্রমণে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডের হেড ক্রসবারে লাগলে আবারও গোল মিস হয়।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে স্বাগতিক লাওস গোল করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশের গোলরক্ষক স্বর্ণা রাণী মন্ডল পোস্ট থেকে এগিয়ে ছিলেন। তাই লাওস ফরোয়ার্ডের ফিনিশিং সেভ করতে পারেননি। ম্যাচের বাকি সময় লাওস সমতা আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। চার মিনিটের ইনজুরি সময়ে সংঘবদ্ধ এক আক্রমণে সাগরিকা বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় ফিনিশিং করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ অ-২০ নারী দল সম্প্রতি সাফ অ-২০ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালেও সাগরিকা একাই চার গোল করেছিলেন। সেই সাগরিকা দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে গোল করে চলছেন এশিয়ার বড় মঞ্চেও।
স্বাগতিক হলেও লাওস বাংলাদেশের বিপক্ষে তেমন দাপুটে ফুটবল খেলতে পারেনি। কাউন্টার অ্যাটাক কিংবা বাংলাদেশের ভুল পাসে বল পেয়ে কয়েকটি আক্রমণ করেছে। এএফসি অ-২০ নারী টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে অন্য দুই দল শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল তিমুরলেস্তে। দক্ষিণ কোরিয়া এই গ্রুপের হট ফেভারিট। বাংলাদেশের লক্ষ্য গ্রুপের রানার্সআপ নিশ্চিত করে বাকি আট গ্রুপের মধ্যে সেরা তিন রানার্স আপ হয়ে চূড়ান্ত পর্ব খেলা। ফলে স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে জয় খুবই প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের।