পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ চালুর দাবিতে বাফুফে ভবনের সামনে বিক্ষোভ

- আপডেট সময় : ০৮:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ১০৯ বার পড়া হয়েছে
পাইওনিয়র ফুটবল লিগ থেকে এক সময় তারকা ফুটবলার বেরিয়ে এসেছিলো । পাইওনিয়র লিগ অতিক্রম করে প্রিমিয়ার লিগ তথা জাতীয় দলে খেলেছিলেন আলফাজরা। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সেই পাইওনিয়র লিগ এখন সোনালী অতীত হয়ে আছে। ভুলে গেছেন এ যুগের সংগঠকরা। পুরানো সংগঠকদের আলোচনাতে কিন্তু সেই পাইওনিয়র লিগ উচ্ছাসিত কন্ঠে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। আর আক্ষেপ কেনই বা এই লিগটা বন্ধ হয়ে আছে সেটা কেবল ফুটবল কতৃপক্ষরাই ভালো জানেন।
তবে আজ পাইরনিয়র ফুটবল লিগ চালুর জন্য বাফুফে ভবনের সামনে জড়ো হতে দেখা যায় কিছু ক্লাব কর্মকর্তা ও তরুণ ফুটবলাররা। তাদের হাতে ছিলো ব্যানার, চোখে ছিলো ক্ষোভ আর হতাশা।
বিক্ষোভকারীদের হাতে নানা ধরণের প্ল্যাকাডে ছিলো- ‘পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ বন্ধ কেন?” এবং “পাইওনিয়ার লিগ চালু করুন, না হলে পদত্যাগ করুন”। তারা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষন করাতে চেষ্টা করেন। দেশের ফুটবল বসকে আহবান জানান এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার। পাশাপাশি লিগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের অনুরোধ করেন।
সর্বশেষ ২০২২ সালে এই লিগ আয়োজিত হয়েছিল। পাইওনিয়র লিগ অতিক্রম করেই ক্লাবগুলো তৃতীয় বিভাগে নাম লিখায়। যে খান থেকে উপরে পা রাখার স্বপ্ন দেখা অসংখ্য তরুণের প্রথম সিঁড়ি। অথচ অংশগ্রহণকারী ক্লাবের কাছ থেকে এন্ট্রি ফি নেওয়ার পরও নতুন আসরের আয়োজন হয়নি। এখনো ঘোষণা হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি, কেবল নির্বাহী সদস্য টিপু সুলতানকে চেয়ারম্যান করা ছাড়া।
মহানগর ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘… ২০২২ সালে আমরা পরবর্তী মৌসুমের জন্য এন্ট্রি ফি দিয়েছি। লিগ যদি নিয়মিত না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো ফুটবলারই পাওয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে লিগ দ্রুত শুরু করার অনুরোধ করেছি। সম্প্রতি আবারও তার সঙ্গে বসেছিলাম, তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।’
লাইজু ফুটবল একাডেমির সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন সময়ক্ষেপণের ঝুঁকি নিয়ে বলেন, ‘লিগ অক্টোবরেই শুরু হওয়ার কথা, কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। অক্টোবরের মধ্যে যদি শুরু না হয়, জাতীয় নির্বাচন ও রমজানের প্রস্তুতির কারণে আরও ছয় মাস পিছিয়ে যাবে।’
‘তাই আমরা চাই—পাইওনিয়ার ফুটবল লিগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি, মেডিকেল পরীক্ষার সময়সূচি এবং লিগের উপবিধি দ্রুত ঘোষণা করা হোক। এ কারণেই আমরা এখানে এসেছি,’ যোগ করেন তিনি।
প্রভাতী ফুটবল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম দেরির নেতিবাচক প্রভাবের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘লিগ দেরি হওয়ায় কিছু খেলোয়াড় ইতিমধ্যেই বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে। বর্তমান খেলোয়াড়রা বারবার আমাদের কাছে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জানতে চাইছে, কিন্তু আমরা কোনো জবাব দিতে পারছি না।’
লিগ কমিটিকে অনিশ্চয়তার জন্য দায়ী করে তিনি বলেন, ‘আমরা বাফুফে সভাপতির কাছে অনুরোধ করব তিনি যেন বিষয়টি নিজে দেখেন এবং তরুণ ফুটবলারদের লিগে খেলার সুযোগ তৈরি করেন। কারণ, খেলার সুযোগ না পেলে খেলোয়াড়রা এগোতে পারবে না।’