ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকার পরিবর্তন হলেও বদলায়নি বাজারে সব্জির দাম। অন্তর্বতী সরকার শত চেষ্টা করেও বদলাতে পারেনি বাজারে নিত্যপণ্যের দাম।মাঝে মধ্যে দ্রব্য মূল্যের দাম কমলেও সেটি দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে অল্প আয়ের মানুষজনের নাভিশ্বাস বেরিয়ে পড়ছে। বাজার করতে গিয়ে এখন পঞ্চাশ গ্রাম একশ গ্রামের অতিরিক্ত সবজি ক্রয় করাটা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। তবুও দেশ থেকে দু:শাসনের পরিবর্তন হওয়ায় সাধারণ মানুষ এমন কষ্ট সহস্য করে নিচ্ছেন। শাহজাহানপুরের রফিক উল্লাহ বেসরকারি একটি ‍প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। বেতন ত্রিশ হাজার টাকা। তিনি বলেন, বাসা ভাড়ার পর যে টাকা থাকে সে টাকা দিয়ে ছেলে-মেয়ের লেখা পড়া এবং বাজার সদাই করাটা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। আপনি যে আলুর ভর্তা করেও খাবেন সেটাও পারাটা কষ্টকর। আলুর কেজিই পঁয়ত্রিশ টাকা হয়ে গেছে।

এছাড়া অন্যান্য সব্জিতো রয়েছেই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের সব্জি। মৌসুম ফুরিয়ে আসা, বৃষ্টি আর সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।  বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে ২৪০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে আজকের বাজারে সবজির এমন বাড়তি দাম দেখা গেছে। সেই সঙ্গে কাঁচা মরিচও বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত বাড়তি দামে।

আজকের বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, ধন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, জালি ৫০, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ মানভেদে প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে খিলগাঁও বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত সব ধরনের সবজির দাম অতিরিক্ত। কিছুদিন আগে হঠাৎ সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে আর দাম কমছে না। আসলে সাধারণ ক্রেতাদের স্বার্থে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা উচিত, কিন্তু এই উদ্যোগ কখনোই নিতে দেখা যায়নি। ফলে বিক্রেতারা যেমন ইচ্ছা তেমন দাম আদায় করছে। আজ এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনলাম ৮০ টাকায়।

সবজির দাম বাড়তি দাম বিষয়ে মহাখালীর সবজি বিক্রেতা আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। এর মূল কারণ, বেশ কিছু সবজির ইতোমধ্যে মৌসুম শেষ হয়েছে এ কারণে বাজারের সরবরাহ কম। ‌ এর সঙ্গে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবজি ঢাকায় তুলনামূলক কম আসছে। সরবরাহ কম থাকার কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন কাঁচা মরিচের দাম বিষয়ে বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পায়। গেল কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। গতকাল ফের বৃষ্টির কারণে আজকের বাজারে আবার প্রভাব পড়েছে। আজকে ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২৪০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আপডেট সময় : ১২:৩০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

সরকার পরিবর্তন হলেও বদলায়নি বাজারে সব্জির দাম। অন্তর্বতী সরকার শত চেষ্টা করেও বদলাতে পারেনি বাজারে নিত্যপণ্যের দাম।মাঝে মধ্যে দ্রব্য মূল্যের দাম কমলেও সেটি দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে অল্প আয়ের মানুষজনের নাভিশ্বাস বেরিয়ে পড়ছে। বাজার করতে গিয়ে এখন পঞ্চাশ গ্রাম একশ গ্রামের অতিরিক্ত সবজি ক্রয় করাটা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। তবুও দেশ থেকে দু:শাসনের পরিবর্তন হওয়ায় সাধারণ মানুষ এমন কষ্ট সহস্য করে নিচ্ছেন। শাহজাহানপুরের রফিক উল্লাহ বেসরকারি একটি ‍প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। বেতন ত্রিশ হাজার টাকা। তিনি বলেন, বাসা ভাড়ার পর যে টাকা থাকে সে টাকা দিয়ে ছেলে-মেয়ের লেখা পড়া এবং বাজার সদাই করাটা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। আপনি যে আলুর ভর্তা করেও খাবেন সেটাও পারাটা কষ্টকর। আলুর কেজিই পঁয়ত্রিশ টাকা হয়ে গেছে।

এছাড়া অন্যান্য সব্জিতো রয়েছেই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের সব্জি। মৌসুম ফুরিয়ে আসা, বৃষ্টি আর সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।  বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে ২৪০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে আজকের বাজারে সবজির এমন বাড়তি দাম দেখা গেছে। সেই সঙ্গে কাঁচা মরিচও বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত বাড়তি দামে।

আজকের বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, ধন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, জালি ৫০, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ মানভেদে প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে খিলগাঁও বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত সব ধরনের সবজির দাম অতিরিক্ত। কিছুদিন আগে হঠাৎ সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে আর দাম কমছে না। আসলে সাধারণ ক্রেতাদের স্বার্থে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা উচিত, কিন্তু এই উদ্যোগ কখনোই নিতে দেখা যায়নি। ফলে বিক্রেতারা যেমন ইচ্ছা তেমন দাম আদায় করছে। আজ এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনলাম ৮০ টাকায়।

সবজির দাম বাড়তি দাম বিষয়ে মহাখালীর সবজি বিক্রেতা আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। এর মূল কারণ, বেশ কিছু সবজির ইতোমধ্যে মৌসুম শেষ হয়েছে এ কারণে বাজারের সরবরাহ কম। ‌ এর সঙ্গে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবজি ঢাকায় তুলনামূলক কম আসছে। সরবরাহ কম থাকার কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন কাঁচা মরিচের দাম বিষয়ে বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পায়। গেল কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। গতকাল ফের বৃষ্টির কারণে আজকের বাজারে আবার প্রভাব পড়েছে। আজকে ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২৪০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।