ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নাহিদের ঘোষনায় সারাদেশ থেকে ব্লকেড তুলে নিয়ে রাজপথে ছাত্রদের অবস্থান

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / ৫৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারা বাংলাদেশে ব্লকেড এর ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ গোপালগঞ্জে তাদের পদযাত্রার ওপর আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্র লীগের কর্মীরা হামলা চালালে এনসিপি আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। তার ঘোষনা হতেই ছা্ত্ররা আবারো রিাজপথে অবস্থান নেয়।

্আজ বুধবার গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সেখ‍ানে শহরের পৌরসভায় সমাবেশ চলাকালীণ শেষ সময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ,যুব লীগ নেতা কর্মীরা। পুলিশের হেফাজতে পরবর্তীতে এনসিপির নেতারা সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে পারলেও আওয়ামী লীগ ও যুব লীগের আক্রমন থেমে থাকেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে গেলে ‍পুলিশের সাথে সংঘর্ষ লেগে যায় আওয়ামী লীগ ও যুব লীগ নেতা কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। অচল করে দেয়া হয় রাস্তাঘাট। সেখানে থেকে কোন মতে প্রাণ বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসেন এনসিপি নেতাকর্মীরা।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নাম দেয়া হয়। জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা ছিল দলটির।

এই কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জ সদরে আজ সকালে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। কাছাকাছি সময়ে হামলা করা হয় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি বহরেও। এ দুই ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে জানায় গোপালগঞ্জ পুলিশ।

পরিশেষে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতাকে সারা দেশে ব্লকেড সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বুধবার (১৬ জুলাই) নাহিদের বরাতে এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী আরেক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ব্লকেড উঠিয়ে নিন। রাজপথে অবস্থান নিন।দলটির নেতারা বলছেন, এনসিপি শান্তিপূর্ণভাবে গোপালগঞ্জ অভিমুখে পদযাত্রা করলে পরিকল্পিত হামলার মাধ্যমে তা দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে নেতাকর্মীরা রাজপথ ছাড়বে না, রাজনৈতিক লড়াই অব্যাহত থাকবে।

দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তারা মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করেন এবং উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এনসিপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে সরে যান।

এ ঘটনার আধা ঘণ্টা পরে ওই সমাবেশ স্থলেই পুলিশি নিরপত্তায় সমাবেশ করে এনসিপি। সেখানে নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষ হওয়ার পর এনসিপির নেতারা যখন গাড়ি বহর নিয়ে মাদারীপুর রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন আবার ছাত্রলীগের কয়েকশ নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশও পিছু হটে। এনসিপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা এনসিপির সমাবেশ মঞ্চ এবং আশপাশের বিভিন্ন স্থানে চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্রে অঅগুন ধরিয়ে দেন। এতে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় বিজিবি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও বাড়তি জনবল নিয়োজিত করা হয়। বিকেলের দিকে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়। এরপর সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ একযোগে হামলাকারীদের সরাতে অভিযান শুরু করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নাহিদের ঘোষনায় সারাদেশ থেকে ব্লকেড তুলে নিয়ে রাজপথে ছাত্রদের অবস্থান

আপডেট সময় : ০৮:২২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

সারা বাংলাদেশে ব্লকেড এর ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ গোপালগঞ্জে তাদের পদযাত্রার ওপর আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্র লীগের কর্মীরা হামলা চালালে এনসিপি আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। তার ঘোষনা হতেই ছা্ত্ররা আবারো রিাজপথে অবস্থান নেয়।

্আজ বুধবার গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সেখ‍ানে শহরের পৌরসভায় সমাবেশ চলাকালীণ শেষ সময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ,যুব লীগ নেতা কর্মীরা। পুলিশের হেফাজতে পরবর্তীতে এনসিপির নেতারা সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে পারলেও আওয়ামী লীগ ও যুব লীগের আক্রমন থেমে থাকেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে গেলে ‍পুলিশের সাথে সংঘর্ষ লেগে যায় আওয়ামী লীগ ও যুব লীগ নেতা কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। অচল করে দেয়া হয় রাস্তাঘাট। সেখানে থেকে কোন মতে প্রাণ বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসেন এনসিপি নেতাকর্মীরা।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নাম দেয়া হয়। জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা ছিল দলটির।

এই কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জ সদরে আজ সকালে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। কাছাকাছি সময়ে হামলা করা হয় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি বহরেও। এ দুই ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে জানায় গোপালগঞ্জ পুলিশ।

পরিশেষে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতাকে সারা দেশে ব্লকেড সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বুধবার (১৬ জুলাই) নাহিদের বরাতে এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী আরেক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ব্লকেড উঠিয়ে নিন। রাজপথে অবস্থান নিন।দলটির নেতারা বলছেন, এনসিপি শান্তিপূর্ণভাবে গোপালগঞ্জ অভিমুখে পদযাত্রা করলে পরিকল্পিত হামলার মাধ্যমে তা দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে নেতাকর্মীরা রাজপথ ছাড়বে না, রাজনৈতিক লড়াই অব্যাহত থাকবে।

দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তারা মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করেন এবং উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এনসিপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে সরে যান।

এ ঘটনার আধা ঘণ্টা পরে ওই সমাবেশ স্থলেই পুলিশি নিরপত্তায় সমাবেশ করে এনসিপি। সেখানে নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষ হওয়ার পর এনসিপির নেতারা যখন গাড়ি বহর নিয়ে মাদারীপুর রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন আবার ছাত্রলীগের কয়েকশ নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশও পিছু হটে। এনসিপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা এনসিপির সমাবেশ মঞ্চ এবং আশপাশের বিভিন্ন স্থানে চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্রে অঅগুন ধরিয়ে দেন। এতে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় বিজিবি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও বাড়তি জনবল নিয়োজিত করা হয়। বিকেলের দিকে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়। এরপর সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ একযোগে হামলাকারীদের সরাতে অভিযান শুরু করে।