অরাজনীতি প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ ফখরুলের

- আপডেট সময় : ০১:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
- / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার ঘটনা কোনো রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার হচ্ছে কিনা এবং এর মাধ্যমে কোনো মহল নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত বা বিলম্বিত করার কোনো অপচেষ্টা চালাচ্ছে কিনা, এমন সন্দেহ করার অনেক কারণ রয়েছে। কুমিল্লার মুরাদনগরে তিনটি হত্যাকাণ্ড বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
সোমবার (১৪ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগরে তিনটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদী কণ্ঠ সমমানের ছিল কিনা, সেই প্রশ্নও তোলা যায়। অরাজনীতি প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, বিএনপির যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ব্যক্তির অপকর্মের দায় দল বহন করে না। মামলায় যাদের নাম এসেছে, তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি। মিটফোর্ডের এই ঘটনা কোনো চাঁদাবাঁজি বা ব্যক্তিগত বিরোধ নয়, বরং এটি পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এই ঘটনার পেছনে একটি চিহ্নিত মহলের হাত রয়েছে, যারা বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানো হয়েছে সুনির্দিষ্ট সময় ও উদ্দেশ্য নিয়ে। এসব ইঙ্গিত দেয়, একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক পরিবেশকে উত্তপ্ত করতে চাইছে এবং বিএনপিকে টার্গেট করছে।’
এসময় তিনি জনগণকে সংঘাত-উসকানিতে না পা দেওয়ার আহ্বান জানান এবং সোহাগ হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের জন্য একটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।