আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটারের অভাব অনুভব করছেন লিপু

- আপডেট সময় : ০৯:২৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
ওয়ানডে ক্রিকেটে এক সময় সুখ্যাতি ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে যা কিছু অর্জন ওয়ানডে ক্রিকেটকে ঘিরেই। টি-টুয়েন্টি এবং টেস্টে ততোটা অর্জন নেই বললেই চলে। অথচ সেই ওয়ান ডে ক্রিকেটটাই যেন ভুলতে বসেছে দেশের ক্রিকেট। টেস্টে ধবল ধোলাই হবার পর ওয়ানডে ক্রিকেটেও সিরিজ হার এড়াতে পারলো না টিম বাংলাদেশ। যদিও সুযোগ ছিলো সিরিজ জয়ের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ান ডে জিতে যে সম্ভাবনার দ্বার তৈরি করেছিলো শেষ ওয়ানডে ক্রিকেটে বিজয়ের সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেন নি।
ব্যাটারদের চরম ব্যাটিং ব্যর্থতা তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটিতে হার মানতে বাধ্য হলো। বোলিং যেমন তেমন, ব্যাটিংয়ে নিয়মিতই ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ দল। কেউই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারছেন না। ফলে সাফল্যও ধরা দিচ্ছে না। দলের ক্রমাগত ব্যর্থতায় জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু মনে করছেন, অভিজ্ঞ কয়েকজন ক্রিকেটার চলে যাওয়ায় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে, পূরণ হতে একটু সময় লাগবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার মতো দলে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় নেই বলে সে দ্বায় স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসলে কোথায় পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ? আজ বুধবার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় লিপু ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার সিমাররা যা করতে পেরেছে, আমাদের সিমাররা তা পারেনি। তারা মাঝে ব্রেক থ্রু দিতে পারেনি। আবার শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংটাকে ডিপে নিয়ে যেতে পেরেছে। সেখানেও তারা আমাদের ছাড়িয়ে গেছে।’
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞদের অভাব অনুভূত হয়েছে, উল্লেখ করে লিপু বলেন, ‘আমাদের ব্যাটাররা ভালো করতে পারেনি। তাদের দুজন অভিজ্ঞ ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে জায়গায় আমরা পিছিয়ে গেছি। অভিজ্ঞরা চলে যাওয়ার পর আমাদের দলে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এটা পূরণ হতে একটু সময় লাগবে।’
প্রধান নির্বাচক এরপর বলেছেন, কঠিন এক সত্য। স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো খেলোয়াড়ের সংকট আছে আমাদের। ৩০ জন খেলোয়াড়কে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে সবকিছু। তবে আশা করি এ দল, এইচপি থেকে খেলোয়াড় উঠে আসবে।’
উল্লেখ্য তৃতীয় একদিনের ম্যাচে শ্রীলংকার ২৮৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩৯.৪ ওভারে ১৮৬ রানে অল আউট হয়। পরাজিত হয় ৯৯ রানে।