ঢাকা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জাতীয় পার্টিতে ফের ক্ষমতার দন্দ্ব, চলছে নতুন নাটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বলা নাই কওয়া নাই হুট করেই জাতীয় পার্টির কার্যনির্বাহী কমিটি এবং সাধারণ সদস্যপদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে একাধিক হেভিওয়েট কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের। যা নিয়ে দলটির নেতাদের মধ্যে বইছে  চরম হতাশা ও ক্ষোভ। তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাপা) গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

তবে তার এ সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি ও স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির অব্যাহতি পাওয়া সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আমরা এখনো স্বপদে বহাল আছি। আমরা সবাই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। দলের চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন, তা স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। তিনি নেতৃত্ব নির্বাচনে জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের দাবি জানান। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, জিএম কাদের রাতের অন্ধকারে জোর করে চেয়ারম্যান হন। এরশাদ (হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) সাহেব তখন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। সে অবস্থায় জোর করে তার কাছ থেকে সই নেওয়া হয়েছিল। একটি গণতান্ত্রিক দলের নেতৃত্বে এমন অনিয়ম চলতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আপনি (জিএম কাদের) যদি জনগণের প্রতিনিধি হয়ে থাকেন, তাহলে সম্মেলনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিন। আমরা কাউন্সিল চাই। সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন হোক, সেটিই সবার জন্য গ্রহণযোগ্য।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির অব্যাহতি পাওয়া সদ্য সাবেক মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ।

মহাসচিব পদে চুন্নুর স্থলে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে জাপার নতুন মহাসচিব করা হয় । সম্প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের একাধিক সিনিয়র নেতাকে অব্যাহতি দেন। এরপর থেকেই দলটির অভ্যন্তরে নেতৃত্ব সংকট ও বিরোধ চরমে পৌঁছেছে।

এরই মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের মহাসচিব নিয়োগ জি এম কাদের। জাপার সম্মেলন ঘিরে দলের নেতাদের দুপক্ষের চলা উত্তেজনার মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

অব্যাহতি পাওয়া মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা জনাব জিএম কাদেরের এমন সিদ্ধান্ত মানিনা। আমরা আমাদের স্বপদে বহাল আছি। আমরা কাউন্সিলর চাই, দাওয়াত না দিলেও আমরা কাউন্সিলে উপস্থিত থাকবো। আমাদের সদস্যদের সব কিছু খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরবে।

তিনি আরও বলেন, আমি চুন্নু যখন মন্ত্রী ছিলাম তখন জিম কাদের সাহেব একটি কোম্পানীতে এসেস্ট্যান্ট ম্যানেজার ছিলেন। উনি তো রাজনীতি করে বেড়ে উঠেন নি। রাজনীতির দিক থেকে আমি উনার চেয়ে অভিজ্ঞ এবং সিনিয়র। চেয়ারম্যান এরশাদ সাহেবের ছোট ভাই হিসেবে আমরা উনাকে সম্মান দেখাচ্ছি। তাও উনি এরশাদ সাহেবের কাছ থেকে জোর করে চেয়ারম্যান পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জাতীয় পার্টিতে ফের ক্ষমতার দন্দ্ব, চলছে নতুন নাটক

আপডেট সময় : ০৮:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

বলা নাই কওয়া নাই হুট করেই জাতীয় পার্টির কার্যনির্বাহী কমিটি এবং সাধারণ সদস্যপদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে একাধিক হেভিওয়েট কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের। যা নিয়ে দলটির নেতাদের মধ্যে বইছে  চরম হতাশা ও ক্ষোভ। তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাপা) গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

তবে তার এ সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি ও স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির অব্যাহতি পাওয়া সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আমরা এখনো স্বপদে বহাল আছি। আমরা সবাই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। দলের চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন, তা স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। তিনি নেতৃত্ব নির্বাচনে জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের দাবি জানান। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, জিএম কাদের রাতের অন্ধকারে জোর করে চেয়ারম্যান হন। এরশাদ (হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) সাহেব তখন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। সে অবস্থায় জোর করে তার কাছ থেকে সই নেওয়া হয়েছিল। একটি গণতান্ত্রিক দলের নেতৃত্বে এমন অনিয়ম চলতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আপনি (জিএম কাদের) যদি জনগণের প্রতিনিধি হয়ে থাকেন, তাহলে সম্মেলনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিন। আমরা কাউন্সিল চাই। সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন হোক, সেটিই সবার জন্য গ্রহণযোগ্য।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির অব্যাহতি পাওয়া সদ্য সাবেক মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ।

মহাসচিব পদে চুন্নুর স্থলে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে জাপার নতুন মহাসচিব করা হয় । সম্প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের একাধিক সিনিয়র নেতাকে অব্যাহতি দেন। এরপর থেকেই দলটির অভ্যন্তরে নেতৃত্ব সংকট ও বিরোধ চরমে পৌঁছেছে।

এরই মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের মহাসচিব নিয়োগ জি এম কাদের। জাপার সম্মেলন ঘিরে দলের নেতাদের দুপক্ষের চলা উত্তেজনার মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

অব্যাহতি পাওয়া মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা জনাব জিএম কাদেরের এমন সিদ্ধান্ত মানিনা। আমরা আমাদের স্বপদে বহাল আছি। আমরা কাউন্সিলর চাই, দাওয়াত না দিলেও আমরা কাউন্সিলে উপস্থিত থাকবো। আমাদের সদস্যদের সব কিছু খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরবে।

তিনি আরও বলেন, আমি চুন্নু যখন মন্ত্রী ছিলাম তখন জিম কাদের সাহেব একটি কোম্পানীতে এসেস্ট্যান্ট ম্যানেজার ছিলেন। উনি তো রাজনীতি করে বেড়ে উঠেন নি। রাজনীতির দিক থেকে আমি উনার চেয়ে অভিজ্ঞ এবং সিনিয়র। চেয়ারম্যান এরশাদ সাহেবের ছোট ভাই হিসেবে আমরা উনাকে সম্মান দেখাচ্ছি। তাও উনি এরশাদ সাহেবের কাছ থেকে জোর করে চেয়ারম্যান পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন।