আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল দেশ, সোমবারেই আসতে পারে ঘোষনা

- আপডেট সময় : ১১:৪৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
- / ৪৮ বার পড়া হয়েছে
বলা হয় স্বাধীনতার পক্ষের দল আওয়ামী লীগ। এটা তাদের দাবীও বটে। অথচ সেই দলটিই কিনা স্বাধীনতার ৫৬ বছর পর বাংলাদেশে রাজনীতি করা বৈধতা হারাচ্ছে। অভিযোগা রয়েছে, সতের বছর ফ্যাসিবাদী কায়দায় রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে দেশের অগনিত রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে অসংখ্য সাধারণ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল এই দলটি। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ দলীয় নেত্রীর নির্দেশনায় গত বছর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। একটি তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশে এমন হত্যা-কান্ড প্রত্যাশা করেনি কেউ। ফলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঢেউয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে জীবন বাঁচান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। রাজনীতি করা হয় জনগনের মঙ্গল কামনায়। কিন্তু স্বাধীনতার স্বপক্ষের দলটি উন্নয়নের পাশপাশি পাহাড় সমান দূর্ণীতি,অনিয়মে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়। দেশে ভিন্ন এক অরাজগতা তৈরি হয়। অপরাধই যেখানে নিয়মে পরিনত হয়ে যায়।
গত বছর ৫ আগস্ট এর পর ড.ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বরত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু যে দলটির কারণে দেশের অগনিত ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছে সে দলটিকে দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। তাদের নিবন্ধন বাতিল করার দাবিত দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। শাহবাগ ছিলো ব্লকেড। এতে তীব্র যানজনে পথচারীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পুরো শাহবাগ জুড়ে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান করায় বিকেল থেকেই জান চলাচল বন্ধ।
এরফলে শুক্রবার (৯ মে) বিকেল থেকে সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত ও এর আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজট লক্ষ করা যায়। গণপরিবহনগুলো বিকল্প রাস্তা হিসেবে কাঁটাবন ও নীলক্ষেত-নিউমার্কেট সড়ক ব্যবহার করছে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সড়ক রিকশা ও প্রাইভেটকারের আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে যান চলাচল কিছুটা কম। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষদের যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অনেক পথচারীকে পেয়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
একই দিন আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ছাত্র-জনতা। শুক্রবার (৯ মে) রাত ৯টায় নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়কে জড়ো হতে থাকেন তারা। পরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জন্য বিভিন্ন মিছিল নিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে মদনপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট আরও তীব্র হচ্ছে।
রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন ছাত্র-জনতা।
এ সময় ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’, ‘দফা এক দাবি এক, লীগ নট কাম ব্যাক’, ‘যদি তবে কিন্তু নাই, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
ঢাকার বাহিরে কুমিল্লা ও ফেনীতে আন্দোলন করা হয়। একটি সূত্রে জানা যায় ছাত্রদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সোমবারের দিকে দেশের ঐতিহ্যবাহ দলটি বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারাচ্ছে।