পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু,আতঙ্কিত পাশবর্তী দেশগুলো , ভারতের আক্রমনে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

- আপডেট সময় : ০২:১৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
- / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
পহেলগাম পর্যপকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে শেষ পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানের সীমানা অতিক্রম করে ভারতীয় বিমানবাহিনী হামলা চালায়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেনান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, ভারত ছয়টি জায়গায় ২৪টি স্থাপনায় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় পাকিস্তানের ৩১ জন বেসামরিক সদস্য নিহত হন। যদিও ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি ভারতীয় হামলায় ৭০জন পাকিস্তানী বেসমারিক লোক মারা যান। এদিকে পাকিস্তানের দাবি জম্মু ও কাশ্মীর এলাকায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে তারা ভারতের পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করেছে। সীমান্ত রেখায় পাাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে ১৫জন নিহত হয়েছেন।
এরপর দু‘পক্ষে চলছে বাক উত্তেজনা। ভারতের পক্ষ থেকে হুঙ্কার আসছে পাকিস্তান বাড়াবাড়ি করলে প্রতিশোধে নিতে প্রস্তুত তারা। অন্য দিকে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে ‘আত্মরক্ষার অংশ’ হিসেবে ‘প্রত্যুত্তরমূলক ব্যবস্থা’ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। বুধবার (৭ মে) ভোরে ভারতের চালানো একাধিক প্রাণঘাতী হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) জরুরি বৈঠকের পর শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দেন, যাতে ‘নিরপরাধ পাকিস্তানি নাগরিকদের মৃত্যুর প্রতিশোধ’ নেওয়া হয়।
ভারতের এমন আক্রমনে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি লজ্জাজনক, আমরা এইমাত্র এটি সম্পর্কে শুনলাম। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় মানুষ বুঝতে পারছিল যে কিছু ঘটতে চলেছে। তারা দীর্ঘকাল ধরে লড়াই করছে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি আশা করি এটি খুব দ্রুত শেষ হবে।’
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেসের মুখপাত্র জানান, ‘(কাশ্মীরের) নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তজুড়ে ভারতের সামরিক অভিযান নিয়ে মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি উভয় দেশকে কোনো ধরনের সামরিক উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান। বিশ্ব ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের জন্য প্রস্তুত নয়।’
জাপানের হায়াশি বলেন, ‘কাশ্মীরে ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার নিন্দা জানায় জাপান। তবে ওই ঘটনা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে (দুই দেশের মধ্যে) প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ও পূর্ণ মাত্রার সামরিক সংঘাত দেখা দেওয়ার সম্ভাবনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে আমরা ভারত-পাকিস্তান উভয়কে ধৈর্যশীল থাকার ও আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার আহ্বান জানাই।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ, যাদের কোনোভাবে দূরে সরানো সম্ভব নয়। তারা একইসঙ্গে চীনেরও প্রতিবেশী’।রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ‘সামরিক সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ বাংলাদেশ থেকে আহবান জানানো হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশকে শান্ত থাকার পাশাপাশি সংযম প্রদর্শন করার।