ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

- আপডেট সময় : ০৭:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
- / ৪৫ বার পড়া হয়েছে
গত বছরের ৫ আগস্টের পর অভিবাবক শুন্য হয়ে পড়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। দেশ ছেড়ে আগেই পালিয়ে যান ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তাপস এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিক। প্রশাসকদের ওপর ভর করে চলছে দুই সিটি কর্পোরেশন। তবে সম্প্রতি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে নির্বাচনে তাপসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তাকে মেয়র ঘোষনা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু এই দুটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকার দুই বাসিন্দা। নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) এ নোটিশ পাঠানো হলেও বিষয়টি জানা যায় আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল)। যদিও এরইমধ্যে রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে নির্বাচন কমিশন ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট (সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি) প্রকাশ করে।
নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই দুই বাসিন্দার আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, দুই নাগরিকের পক্ষে গতকাল রোববার এ নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু গতকাল রাতেই নোটিশ জারি করে নির্বাচন কমিশন। এখন পরবর্তী কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেটি নোটিশদাতাদের সঙ্গে আলাপ করে পরে জানানো হবে।
গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম।
এরপর রোববার ঢাকার কাকরাইলের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. মামুনুর রশিদের পক্ষে আইনজীবী মনিরুজ্জামান স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম, মো. ইশরাক হোসেন বরাবর নোটিশ পাঠান।
আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, যথাযথা প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত এই রায়টি দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম এ আদেশকে ইসি চ্যালঞ্জ করবে। সেটাও চ্যালেঞ্জ করলো না। আবার আজকে নিউজে দেখলাম আইন উপদেষ্টা বলছিলেন-আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে তার জন্য অপেক্ষা না করে এই নোটিশ জারি করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারেন না যে আদেশের কোনো কার্যকারিতা নাই। এখানে টার্ম শেষ হয়ে গেছে। অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে মেয়র পদ শূন্য করে দেওয়া হয়েছে।