ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাশ্মীর ইস্যুতে নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক তদন্ত চায় পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসীদের আক্রমনে নিহত হয় পর্যটকরা।আর এ নিয়ে পাকিস্তান ও্ ভারতের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। দুই দেশের সীমানা রেখায় অঘোষিত যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। চলছে গোলাগুলি। ভারত দায়ী করছে পাকিস্তানকে,আর পাকিস্তান দায়ী করছে ভারতকে।

পাশাপাশি হামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি তুলেছে ইসলামাবাদ। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার অ্যাবোটাবাদের সামরিক একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তান যে কোনো নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুত।’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পুরোপুরি সক্ষম। ২০১৯ সালে ভারতের আগ্রাসি অনুপ্রবেশের সময় আমরা এর প্রমাণ দিয়েছি।’

এদিকে গতকাল নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ কাশ্মীরে ২৬ জন পর্যটক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছে।

ভারতের কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলায় গত মঙ্গলবার ২৬ জন নিহত হন। ভারত এ হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। তবে পাকিস্তান বারবার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ‘আমরা চাই না এই যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়ুক, কারণ এতে গোটা অঞ্চলই বিপদের মুখে পড়তে পারে।’

হামলার পর পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত ‘ইনডাস ওয়াটার চুক্তি’ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তান ভারতের বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।আসিফ অভিযোগ করেন, ‘এই হামলাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ভারত পানিচুক্তি স্থগিত করেছে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়।তিনি আরও বলেন, ‘কোনো প্রমাণ বা তদন্ত ছাড়াই ভারত আমাদের শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে।’এদিকে, ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে একটি সংগঠন সামাজিক মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দাবি, এই সংগঠনটি পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তইবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের শাখা। তবে আসিফ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘লস্কর-ই-তইবা এখন নিষ্ক্রিয়। পাকিস্তানে তাদের কোনো অবকাঠামো নেই।’ তিনি দাবি করেন, ‘যারা বেঁচে আছে, তারা গৃহবন্দি কিংবা হেফাজতে আছে। তারা একেবারেই সক্রিয় নয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাশ্মীর ইস্যুতে নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক তদন্ত চায় পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০৭:৪১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

ভারতের কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসীদের আক্রমনে নিহত হয় পর্যটকরা।আর এ নিয়ে পাকিস্তান ও্ ভারতের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। দুই দেশের সীমানা রেখায় অঘোষিত যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। চলছে গোলাগুলি। ভারত দায়ী করছে পাকিস্তানকে,আর পাকিস্তান দায়ী করছে ভারতকে।

পাশাপাশি হামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি তুলেছে ইসলামাবাদ। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার অ্যাবোটাবাদের সামরিক একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তান যে কোনো নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুত।’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পুরোপুরি সক্ষম। ২০১৯ সালে ভারতের আগ্রাসি অনুপ্রবেশের সময় আমরা এর প্রমাণ দিয়েছি।’

এদিকে গতকাল নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ কাশ্মীরে ২৬ জন পর্যটক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছে।

ভারতের কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলায় গত মঙ্গলবার ২৬ জন নিহত হন। ভারত এ হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। তবে পাকিস্তান বারবার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ‘আমরা চাই না এই যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়ুক, কারণ এতে গোটা অঞ্চলই বিপদের মুখে পড়তে পারে।’

হামলার পর পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত ‘ইনডাস ওয়াটার চুক্তি’ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তান ভারতের বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।আসিফ অভিযোগ করেন, ‘এই হামলাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ভারত পানিচুক্তি স্থগিত করেছে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়।তিনি আরও বলেন, ‘কোনো প্রমাণ বা তদন্ত ছাড়াই ভারত আমাদের শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে।’এদিকে, ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে একটি সংগঠন সামাজিক মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দাবি, এই সংগঠনটি পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তইবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের শাখা। তবে আসিফ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘লস্কর-ই-তইবা এখন নিষ্ক্রিয়। পাকিস্তানে তাদের কোনো অবকাঠামো নেই।’ তিনি দাবি করেন, ‘যারা বেঁচে আছে, তারা গৃহবন্দি কিংবা হেফাজতে আছে। তারা একেবারেই সক্রিয় নয়।’