হুতিদের হামলায় ব্যায়বহুল মার্কিন সাত ড্রোন ভূপাতিত

- আপডেট সময় : ১২:৩৩:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ৪৯ বার পড়া হয়েছে
উম্মুক্ত হয়েই মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলের সমর্থনই শুধু জানিয়েই আসছে না , অস্ত্র-সস্ত্র দিয়েও সহযোগিতা করে আসছে। ইসরায়েলকে সর্বদা সহযোগিতা করাটা যেন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আজীবনেরে এক প্রতিজ্ঞা। ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করাটাই যেন তাদের কাজের অংশ। মার্কিন নাগরিকদের শত বিরোধিতাতেও কোন কাজে আসছে না। মধ্যপ্রাচ্যে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের একের পর নির্মমভাবে হত্যা করছে,যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের কারণেই বিশ্ব যেন নিরবতা পালন করছে।
ইসরায়েলের পরিকল্পনাকে বাস্তাবায়ন করতে তাদের আশ-পাশের দেশগুলোকেও উচ্ছেদ করতে দ্বিধাবোধ করছেন ইয়াহুদিদের পরম বন্ধু আমেরিকা। এটা এক রকম যেন ওপেন সিক্রেট ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তাহলে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আলামত লক্ষণীয়? এমন প্রশ্ন এখন সর্বত্রে। ইসরায়েলের রেশ ধরে হুমকি আসছে এখন ইরানের উপর। তাদের দমন করতে যুক্তরাষ্ট্র ইয়ামেনকেও আক্রমন করতে পরিকল্পনা করেছিলো বলে একাধিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি মনুষ্যহীন কিছু ড্রোন আক্রমনেও খবর শোনা যায়।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা আবার সে সাতটি ব্যয়বহুল মার্কিন রিপার ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এই ড্রোনগুলোর মূল্যমান সামগ্রিকভাবে ২০ কোটি ডলারেরও বেশি। আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। ছয় সপ্তাহের ব্যবধানে হুতিরা এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা জানান, গত এক সপ্তাহেই তিনটি ড্রোন হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকদের মতে, এসব ঘটনা এটাই ইঙ্গিত করছে যে হুতিদের মনুষ্যবিহীন ড্রোন চিহ্নিত করার সক্ষমতার উন্নয়ন হয়েছে।
সামরিক বিষয় নিয়ে আলোচনার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ভূপাতিত হওয়ার আগে ওই ড্রোনগুলো হামলা এবং নজরদারির অভিযানে নিয়োজিত ছিল।
১৫ মার্চের পর থেকে ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে আবারও হামলা শুরু করে। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা হামলা শুরু করে।
এসব হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এই অঞ্চলে রিপার ড্রোনের ব্যবহার দেখা গেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, গাজায় জিম্মিদের চিহ্নিত করতে যুক্তরাষ্ট্র এই ড্রোন ব্যবহার করেছিল।
মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা জেনারেল অ্যাটমিকসের এই ড্রোনের আনুষ্ঠানিক নাম এমকিউ-নাইন রিপার।
এই ড্রোনটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় ২৭ ঘণ্টারও বেশি সময় উড়তে পারে। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ক্যামেরা, সেন্সর ও রাডার, যার মাধ্যমে এটি নজরদারি ও গোয়েন্দা অভিযানের জন্য খুবই কার্যকর।
এর ডানার দৈর্ঘ্য ৬৬ ফুট (২০ দশমিক ১২ মিটার)। এটি তিন হাজার ৯০০ পাউন্ড (এক হাজার ৭৬৮ কেজি) জ্বালানি বহন করতে পারে এবং এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৪০ নট (ঘণ্টায় ৪৪৪ কিলোমিটার)।
১৬ বছর আগে মার্কিন বিমানবাহিনী রিপার ড্রোন ব্যবহার শুরু করে। এতে এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইলসহ নানা অস্ত্র সংযুক্ত করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেনের ও ফ্রান্সের বিমানবাহিনীও এই ড্রোন ব্যবহার করে থাকে।