ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব করেছেন ড.ইউনুস

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাতার সফরে একের পর এক মিটিংকরে চলেছেন ড.ইউনুস। দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কাতার চ্যারিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদির সঙ্গে সাক্ষাতকালে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি শিক্ষার সহায়তা চাওয়া হয়। এবার প্রস্তাব করা হয় কাতারের ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের।

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়ে সেখানে তিনি কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের প্রস্তাব দেন, যেখানে কাতারের শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারীরা বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড. সাউদ বিন আবদুর রহমান আল থানি আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজে প্রধান উপদেষ্টা কাতারি শিল্প উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগবান্ধব সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামোগত সহায়তার প্রস্তুতির কথা জানান।

তিনি কাতার কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৭২৫ সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে নিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।

পরবর্তীতে লুসাইল সিটিতে কাতারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ ফয়সাল বিন আল থানির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের পরিবহন, ব্যাংকিং ও সেবা খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেন এবং বলেন, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে একটি অর্থনৈতিক ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।

বিকেলে কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী হামাদ বিন আবদুল আজিজ আল-কাওয়ারি প্রধান উপদেষ্টার সম্মানে এক চা-চক্রের আয়োজন করেন। সেখানে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ, বিশেষ করে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে জনশক্তি সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

এদিন সকালে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন এবং দীর্ঘদিন নিপীড়নের শিকার মিয়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠীর দুর্দশা নিয়ে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব করেছেন ড.ইউনুস

আপডেট সময় : ০১:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

কাতার সফরে একের পর এক মিটিংকরে চলেছেন ড.ইউনুস। দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কাতার চ্যারিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদির সঙ্গে সাক্ষাতকালে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি শিক্ষার সহায়তা চাওয়া হয়। এবার প্রস্তাব করা হয় কাতারের ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের।

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়ে সেখানে তিনি কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের প্রস্তাব দেন, যেখানে কাতারের শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারীরা বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড. সাউদ বিন আবদুর রহমান আল থানি আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজে প্রধান উপদেষ্টা কাতারি শিল্প উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগবান্ধব সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামোগত সহায়তার প্রস্তুতির কথা জানান।

তিনি কাতার কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৭২৫ সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে নিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।

পরবর্তীতে লুসাইল সিটিতে কাতারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ ফয়সাল বিন আল থানির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের পরিবহন, ব্যাংকিং ও সেবা খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেন এবং বলেন, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে একটি অর্থনৈতিক ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।

বিকেলে কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী হামাদ বিন আবদুল আজিজ আল-কাওয়ারি প্রধান উপদেষ্টার সম্মানে এক চা-চক্রের আয়োজন করেন। সেখানে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ, বিশেষ করে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে জনশক্তি সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

এদিন সকালে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন এবং দীর্ঘদিন নিপীড়নের শিকার মিয়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠীর দুর্দশা নিয়ে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান।