এএফসি থেকে বাফুফে আরো আড়াই লাখ ডলার অনুদান পাচ্ছে

- আপডেট সময় : ১১:২৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ৪১ বার পড়া হয়েছে
এএফসি থেকে নিয়মিত অনুদানের বাহিরে আরও আড়াই লাখ ডলার অনুদান হিসাবে পাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বছর ব্যাপী ফুটবল কর্মযোগ্য চালাতে এএফসি’র অনুদানের উপরই নির্ভশীল থাকতে বাফুফেকে। সম্প্রতি হামজার উপস্থিতিতে দেশের ফুটবলের মানের উন্নতি হয়। আর সেই প্রভাব পড়েছে এএফসি অনুদানেও।
প্রতি বছর এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বাফুফেকে বছরে ৫ লাখ ডলার প্রদান করে। এ দিয়ে বাফুফের প্যানেলভুক্ত কোচ ও ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভদের বেতনেই ব্যয় হয়ে যায়। বাৎসরিক পাঁচ লাখ ডলারের পাশাপাশি ২০২৫-২০২৮ সাল পর্যন্ত মোট দশ লাখ ডলার প্রদান করবে বাফুফেকে। যা বাফুফে অবকাঠামো সংস্কার বা নির্মাণের খাতে ব্যয় করতে পারবে।
১২ এপ্রিল মালয়েশিয়ায় এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সভায় শেষে ফিরে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য দেন বাফুফে’র সহসভাপতি হ্যাপি। গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অনুদানের পাশাপাশি এএফসি বছরে আরও আড়াই লাখ ডলার দেবে। যা স্টেডিয়াম সংস্কার বা অবকাঠামো খাতে ব্যয় করা যাবে।’ এএফসি এই কংগ্রেসে বাফুফে সভাপতি তাবিদ আউয়াল ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারও অংশ নিয়েছিলেন।
এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রীড়া অবকাঠামো বা নির্মাণ খাতে অধীভুক্ত দেশগুলোর সহায়তার জন্য আলাদা একটি প্রকল্প খুলেছে। সেখানে প্রতিটি দেশকে দুই লাখ ডলার করে চার বছরে আট লাখ ডলার প্রদান করবে। বাংলাদেশ এই খাতে একটু বেশি সহায়তার আবেদন করায় আরও পঞ্চাশ হাজার বেশি করে পাচ্ছে বলে জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে সাধারণ ইমরান তুষার বলেন, ‘আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই লাখের পরিবর্তে আড়াই লাখ করে প্রতি বছর এএফসি এই খাতে ব্যয় করবে। নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ফুটবলের অবকাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে এটি ব্যবহার করব।’
বাফুফেকে চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এএফসির অবকাঠামো খাতের বরাদ্দের জোরেই মূলত বাফুফে স্টেডিয়াম সংস্কারের সাহস করেছে। স্টেডিয়াম ছাড়াও বাফুফে চাইলে তাদের ভবনের উন্নয়ন বা সংস্কার কাজেও এই অর্থ ব্যবহার করতে পারবে।
কিন্তু এমন তথ্যটি বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করায় ফুটবলাঙ্গনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। সবার প্রত্যাশা ছিলো ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বাফুফে থেকে সকল তথ্য সুন্দর প্রক্রিয়ায় প্রকাশ পাবে। কিন্তু সেটা পায়নি। এমন একটি ভালো তথ্য বাফুফে থেকে প্রকাশ না হয়ে বাফুফে সহ সভাপতির অফিস থেকে প্রকাশ পেয়েছে। যা কিনা বাফুফে’র কমিটির পেশাদারিত্বের প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মালয়েশিয়ায় এএফসি’র কংগ্রেস ছাড়াও জাপান, কাতার ও সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বাফুফে প্রতিনিধিবৃন্দের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। এশিয়ার তিন প্রভাবশালী দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাধ্যমে পারস্পরিক ফুটবল কর্মকাণ্ড পরিচালনার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশকে। জাপান প্রায় দুই দশক যাবৎ বাফুফেকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। সৌদিতে গত কয়েক বছর বাংলাদেশ ফুটবল দল ক্যাম্প ও অনুশীলন করছে বিনামূল্যেই।
এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে বাফুফে অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল লিগ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে লিগ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। এই লিগটি প্রতিটি জেলায় হোম এন্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে আয়োজনের পরিকল্পনা হয়েছে। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা আয়োজন বেশ যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। এই কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক জাতীয় তারকা ফুটবলার ও বাফুফের নির্বাহী সদস্য ছাইদ হাসান কানন। বাফুফে অ-১৫ পর্যায়েও লিগ পরিচালনা করছে। বিভিন্ন জোনে বিভক্ত হয়ে এই খেলা চলছে। চূড়ান্ত পর্বের খেলার ভেন্যু ও সময় এখনও নির্ধারিত হয়নি।