ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সামরিক হুমকি বন্ধ করলেই চুক্তিতে রাজি ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইরান জানিয়েছে যে, তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন। গত সোমবার রাতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‌‌‘পরোক্ষ’ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, একটি চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে শনিবার পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত ইরান। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথমে একমত হতে হবে যে সামরিক পদক্ষেপকে বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করার বিষয়টি বাদ দিতে হবে। আরাঘচি আরও বলেন, ইরান কখনই জোরজবরদস্তি মেনে নেবে না।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পরে জানিয়েছে যে, আরাঘচি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানে ওমান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবে।

গত সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করবে। একই সঙ্গে তিনি ইরানিদের সতর্ক করে বলেন, যদি আলোচনায় তারা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগ করতে রাজি না হয় তবে তারা ‌‘বড় বিপদে’ পড়বে। এদিকে তেহরান নিশ্চিত করেছে যে আলোচনা হবে তবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, মধ্যস্থতার মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনা হবে।

সে সময় তিনি হুমকি দিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে আক্রমণ করতে পারে। তেহরান ওয়াশিংটনের আলোচনার বিষয়টি শুরুতে প্রত্যাখ্যান করেছিল।

ট্রাম্প অনেক দিন ধরেই ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। তবে নেতানিয়াহু বলছেন যে, তিনি মনে করেন গত বছর ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে ইরানের প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি অবশ্যই এই ঘটনাকে মার্কিন সহায়তায় ইসরায়েলের জন্য ইরানকে শেষ করে দেওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ হিসেবে দেখছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনা শনিবার থেকে শুরু হবে। সে সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করছি এবং সম্ভবত একটি চুক্তি হতে চলেছে। প্রকাশ্যে কাজ করার চেয়ে একটি চুক্তি করাই ভালো হবে।

যদি আলোচকরা তেহরানের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে না পারেন তাহলে তিনি কি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ইরান বড় বিপদের মধ্যে পড়তে চলেছে এবং আমি এটা বলতে ঘৃণা করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সামরিক হুমকি বন্ধ করলেই চুক্তিতে রাজি ইরান

আপডেট সময় : ০১:৩৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

ইরান জানিয়েছে যে, তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন। গত সোমবার রাতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‌‌‘পরোক্ষ’ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, একটি চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে শনিবার পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত ইরান। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথমে একমত হতে হবে যে সামরিক পদক্ষেপকে বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করার বিষয়টি বাদ দিতে হবে। আরাঘচি আরও বলেন, ইরান কখনই জোরজবরদস্তি মেনে নেবে না।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পরে জানিয়েছে যে, আরাঘচি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানে ওমান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবে।

গত সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করবে। একই সঙ্গে তিনি ইরানিদের সতর্ক করে বলেন, যদি আলোচনায় তারা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগ করতে রাজি না হয় তবে তারা ‌‘বড় বিপদে’ পড়বে। এদিকে তেহরান নিশ্চিত করেছে যে আলোচনা হবে তবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, মধ্যস্থতার মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনা হবে।

সে সময় তিনি হুমকি দিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে আক্রমণ করতে পারে। তেহরান ওয়াশিংটনের আলোচনার বিষয়টি শুরুতে প্রত্যাখ্যান করেছিল।

ট্রাম্প অনেক দিন ধরেই ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। তবে নেতানিয়াহু বলছেন যে, তিনি মনে করেন গত বছর ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে ইরানের প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি অবশ্যই এই ঘটনাকে মার্কিন সহায়তায় ইসরায়েলের জন্য ইরানকে শেষ করে দেওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ হিসেবে দেখছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনা শনিবার থেকে শুরু হবে। সে সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করছি এবং সম্ভবত একটি চুক্তি হতে চলেছে। প্রকাশ্যে কাজ করার চেয়ে একটি চুক্তি করাই ভালো হবে।

যদি আলোচকরা তেহরানের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে না পারেন তাহলে তিনি কি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ইরান বড় বিপদের মধ্যে পড়তে চলেছে এবং আমি এটা বলতে ঘৃণা করি।