ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে কানাডার সার্বভৌমত্ব নষ্টের অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৯২ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মার্কিন ধনকুবের ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কের কানাডিয়ান নাগরিকত্ব বাতিলের আবেদনে আড়াই লাখের বেশি মানুষ সই করেছেন। তার বিরুদ্ধে কানাডার সার্বভৌমত্ব নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিবাসী হিসেবে কানাডায় যাওয়ার আগে এই টেক বিলিয়নিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রটোরিয়ায় একটি ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর তার মা মে মাস্কের মাধ্যমে কানাডার নাগরিকত্ব অর্জন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক একটি বিদেশি সরকারের সদস্য হয়ে উঠেছেন, যারা কানাডার সার্বভৌমত্ব মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। ইলন মাস্ক একজন মার্কিন নাগরিক ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন শীর্ষ উপদেষ্টাও।

ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছেন। যদিও ট্রাম্প বারবার কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কানাডার রাজনৈতিক নেতাদের উপহাস করেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে কানাডাকে একটি মার্কিন অঙ্গরাজ্য হওয়া উচিত।

কানাডিয়ান ফেডারেল আইন প্রণেতা চার্লি অ্যাঙ্গাস বলেছেন, ‘এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ অলিগার্ক এবং চরমপন্থিদের ক্রমবর্ধমান শক্তির প্রতি তাদের ন্যায্য ক্ষোভ প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে।’

বামপন্থি নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য অ্যাঙ্গাস আরও বলেন, ‘ইলন মাস্কের মতো লোকেরা আমাদের দেশের শত্রু।’

জানা গেছে, যদি কোনো ব্যক্তি অভিবাসন আবেদনে জালিয়াতি করেন, মিথ্যা কথা বলেন, অথবা কানাডার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘাতে বিদেশি সেনাবাহিনীতে কাজ করেন তাহলে কানাডার নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে কানাডার সার্বভৌমত্ব নষ্টের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:০৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মার্কিন ধনকুবের ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কের কানাডিয়ান নাগরিকত্ব বাতিলের আবেদনে আড়াই লাখের বেশি মানুষ সই করেছেন। তার বিরুদ্ধে কানাডার সার্বভৌমত্ব নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিবাসী হিসেবে কানাডায় যাওয়ার আগে এই টেক বিলিয়নিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রটোরিয়ায় একটি ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর তার মা মে মাস্কের মাধ্যমে কানাডার নাগরিকত্ব অর্জন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক একটি বিদেশি সরকারের সদস্য হয়ে উঠেছেন, যারা কানাডার সার্বভৌমত্ব মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। ইলন মাস্ক একজন মার্কিন নাগরিক ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন শীর্ষ উপদেষ্টাও।

ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছেন। যদিও ট্রাম্প বারবার কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কানাডার রাজনৈতিক নেতাদের উপহাস করেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে কানাডাকে একটি মার্কিন অঙ্গরাজ্য হওয়া উচিত।

কানাডিয়ান ফেডারেল আইন প্রণেতা চার্লি অ্যাঙ্গাস বলেছেন, ‘এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ অলিগার্ক এবং চরমপন্থিদের ক্রমবর্ধমান শক্তির প্রতি তাদের ন্যায্য ক্ষোভ প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে।’

বামপন্থি নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য অ্যাঙ্গাস আরও বলেন, ‘ইলন মাস্কের মতো লোকেরা আমাদের দেশের শত্রু।’

জানা গেছে, যদি কোনো ব্যক্তি অভিবাসন আবেদনে জালিয়াতি করেন, মিথ্যা কথা বলেন, অথবা কানাডার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘাতে বিদেশি সেনাবাহিনীতে কাজ করেন তাহলে কানাডার নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে।