ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের দুর্দান্ত জয়, কোহেলির শতক

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৩ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাইশ গজের যুদ্ধে বাহির থেকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যতই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে মাঠের লড়াইয়ে দেখা মিলছে না তার ছিটে-ফোটা। আজ দুবাইয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই দলের লড়াইয়ে ভেসে উঠেছে তেমনি চিত্র। ৪৫ বল থাকতেই পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারাল ভারত। সেঞ্চুরি হাঁকালেন কোহেলি।

টস হেরে ভারতের আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান। আয়োজকরা পারেনি ভারতের সামনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে।  কুলদীপ যাদব-হার্দিক পান্ডিয়াদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বড় স্কোর গড়তে পারেনি পাকিস্তান। সৌদ শাকিল ৬২, রিজওয়ান ৪২ ও খুশদিল শাহের ৩৮ রানের সুবাদে মাত্র ২৪১ রানে আটকে যায় বাবর আজমরা। যা তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলির দুর্দান্ত শতকে ম্যাচটি সহজেই জিতে নেয় ভারত। মাত্র ৪২.৩ ওভারে পৌছে যায় জয়ের বন্দরে।

বাংলাদেশের পর পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার আশঙ্কায় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে তুলেছিলেন ৩১ রান। রোহিতও বেশ ছন্দে ছিলেন। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির করা দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প উপড়ে যায় ভারতীয় এই ওপেনারের।

রোহিত ফেরার পর ক্রিজে গিলের সঙ্গী হন বিরাট কোহলি। গিলের সঙ্গে কোহলি গড়েছিলেন ৬৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন কোহলি। গিল ফেরার পর ক্রিজে তার সঙ্গী হয়েছিলেন শ্রেয়াস আইয়্যার। আইয়্যারের সঙ্গে কোহলি গড়েছিলেন ১১৪ রানের জুটি। এ জুটিতেই জয়ের ভিত গড়া হয় ভারতের।

কোহলির সঙ্গে বড় জুটি গড়ার পথে ফিফটির দেখা পান আইয়্যার। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে খুশদিলের বলে ক্যাচ আউট হয়ে আইয়্যার আউট হলেও কোহলি ছিলেন অপরাজিত। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয়ের পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন কোহলি। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১১১ বলে ১০০ রান করে।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইমাম-বাবর মিলে শুরু থেকেই ধীরে সুস্থে খেলছিলেন। মোহাম্মদ শামি-হার্ষিত রানাদের বিপক্ষে দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন এ দুজন। লম্বা সময় ধরেই ফর্মে না থাকা বাবর আজ শুরু থেকেই বেশ ছন্দে ছিলেন। তবে ক্রিজে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আজও।

নবম ওভারে হার্দিকের করা প্রথম বলটিতেই দারুণ এক চার মেরেছিলেন বাবর। তবে দ্বিতীয় বলেই লোকেশ রাহুলের মুঠোবন্দী হয়ে ফিরতে হয় তাকে। সাজঘরে ফেরার আগে ২৬ বলে ২৩ রান করেছেন তিনি।

এদিকে বাবর ফেরার পর সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ইমামকেও। আজই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা পাকিস্তানি এই ওপেনার অবশ্য ফিরেছেন রান আউট হয়ে। দৌড়ে রান নিতে গিয়ে শুবমান গিলের সরাসরি থ্রোতে আউট হন তিনি। ফেরার আগে তিনি করেছেন ২৬ বলে ১০ রান।

এদিকে দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পর পাকিস্তানের হাল ধরেছিলেন রিজওয়ান ও শাকিল। ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে এ দুজন গড়েছিলেন প্রতিরোধী এক জুটি। শামি-রানাদের বিপক্ষে দুজন মিলে জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে তুলেন ১০৪ রান। তবে এ জুটি আর বাড়তে দেননি অক্ষর প্যাতেল। তার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের অধিনায়ক সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৭৭ বলে ৪৬ রান।

রিজওয়ান ফেরার পর শাকিলও খুব বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি। দলীয় ১৫৯ রানে সাজঘরের পথ ধরেন শাকিল। এরপর ম্যান ইন গ্রিনদের হয়ে বলার মত রান করতে পেরেছেন কেবল খুশদিল শাহ। সালমান আঘা ও তৈয়ব তাহিররা ব্যর্থ হওয়ার পর শেষদিকে খুশদিল খেলেন ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। তার এই ইনিংসের সুবাদেই ভারতকে ২৪২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের দুর্দান্ত জয়, কোহেলির শতক

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাইশ গজের যুদ্ধে বাহির থেকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যতই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে মাঠের লড়াইয়ে দেখা মিলছে না তার ছিটে-ফোটা। আজ দুবাইয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই দলের লড়াইয়ে ভেসে উঠেছে তেমনি চিত্র। ৪৫ বল থাকতেই পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারাল ভারত। সেঞ্চুরি হাঁকালেন কোহেলি।

টস হেরে ভারতের আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান। আয়োজকরা পারেনি ভারতের সামনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে।  কুলদীপ যাদব-হার্দিক পান্ডিয়াদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বড় স্কোর গড়তে পারেনি পাকিস্তান। সৌদ শাকিল ৬২, রিজওয়ান ৪২ ও খুশদিল শাহের ৩৮ রানের সুবাদে মাত্র ২৪১ রানে আটকে যায় বাবর আজমরা। যা তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলির দুর্দান্ত শতকে ম্যাচটি সহজেই জিতে নেয় ভারত। মাত্র ৪২.৩ ওভারে পৌছে যায় জয়ের বন্দরে।

বাংলাদেশের পর পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার আশঙ্কায় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে তুলেছিলেন ৩১ রান। রোহিতও বেশ ছন্দে ছিলেন। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির করা দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প উপড়ে যায় ভারতীয় এই ওপেনারের।

রোহিত ফেরার পর ক্রিজে গিলের সঙ্গী হন বিরাট কোহলি। গিলের সঙ্গে কোহলি গড়েছিলেন ৬৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন কোহলি। গিল ফেরার পর ক্রিজে তার সঙ্গী হয়েছিলেন শ্রেয়াস আইয়্যার। আইয়্যারের সঙ্গে কোহলি গড়েছিলেন ১১৪ রানের জুটি। এ জুটিতেই জয়ের ভিত গড়া হয় ভারতের।

কোহলির সঙ্গে বড় জুটি গড়ার পথে ফিফটির দেখা পান আইয়্যার। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে খুশদিলের বলে ক্যাচ আউট হয়ে আইয়্যার আউট হলেও কোহলি ছিলেন অপরাজিত। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয়ের পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন কোহলি। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১১১ বলে ১০০ রান করে।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইমাম-বাবর মিলে শুরু থেকেই ধীরে সুস্থে খেলছিলেন। মোহাম্মদ শামি-হার্ষিত রানাদের বিপক্ষে দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন এ দুজন। লম্বা সময় ধরেই ফর্মে না থাকা বাবর আজ শুরু থেকেই বেশ ছন্দে ছিলেন। তবে ক্রিজে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আজও।

নবম ওভারে হার্দিকের করা প্রথম বলটিতেই দারুণ এক চার মেরেছিলেন বাবর। তবে দ্বিতীয় বলেই লোকেশ রাহুলের মুঠোবন্দী হয়ে ফিরতে হয় তাকে। সাজঘরে ফেরার আগে ২৬ বলে ২৩ রান করেছেন তিনি।

এদিকে বাবর ফেরার পর সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ইমামকেও। আজই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা পাকিস্তানি এই ওপেনার অবশ্য ফিরেছেন রান আউট হয়ে। দৌড়ে রান নিতে গিয়ে শুবমান গিলের সরাসরি থ্রোতে আউট হন তিনি। ফেরার আগে তিনি করেছেন ২৬ বলে ১০ রান।

এদিকে দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পর পাকিস্তানের হাল ধরেছিলেন রিজওয়ান ও শাকিল। ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে এ দুজন গড়েছিলেন প্রতিরোধী এক জুটি। শামি-রানাদের বিপক্ষে দুজন মিলে জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে তুলেন ১০৪ রান। তবে এ জুটি আর বাড়তে দেননি অক্ষর প্যাতেল। তার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের অধিনায়ক সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৭৭ বলে ৪৬ রান।

রিজওয়ান ফেরার পর শাকিলও খুব বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি। দলীয় ১৫৯ রানে সাজঘরের পথ ধরেন শাকিল। এরপর ম্যান ইন গ্রিনদের হয়ে বলার মত রান করতে পেরেছেন কেবল খুশদিল শাহ। সালমান আঘা ও তৈয়ব তাহিররা ব্যর্থ হওয়ার পর শেষদিকে খুশদিল খেলেন ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। তার এই ইনিংসের সুবাদেই ভারতকে ২৪২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান।