ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হবে ‘হৃদয়ে জুলাই ৩৬’: প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:২০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৭৯ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মো. শাহ্ আলমের গ্রন্থ ‘হৃদয়ে জুলাই ৩৬’ ইতিহাসের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বীরত্ব গাঁথা স্মরণীয় করে রাখতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিত শিক্ষক মো. শাহ আলম সংকলিত হৃদয়ে জুলাই ’৩৬ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানসহ বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের ভয়াবহ সব মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যাকাণ্ড লিপিবদ্ধ করে দলিল হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে। যেন ভবিষ্যতে জাতির ওপর কোনো দানব চেপে বসতে না পারে।

প্রেস সচিব বলেন, উন্নয়নের নামে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে বলে কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তেমনি জাতিসংঘ জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত কি হয়েছে, তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। সবার এটা পড়া উচিত। সবাই মিলে এটা অনুবাদ করা দরকার। আমাদের জানতে হবে, কি হয়েছিল। ভয়াবহ ডকুমেন্ট! ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস গ্রুপগুলোর রিপোর্টগুলো আপনারা পড়বেন। ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগীদের যেমনি আমরা ভুলিনি, তেমনি জুলাই আগস্টে যারা মারা গেলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটল, কোনোটাই যেন আমরা না ভুলি।

আমাদের ভুলে যাওয়া মানে হচ্ছে স্বৈরাচারকে লাই দেওয়া। আমাদের রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। হাজার হাজার বই লিখতে হবে। এতে আমাদের একটাই লাভ যে, স্বৈরাচার যাতে না আসতে পারে। জাতির ওপর ভবিষ্যতে যেন আরেকটা মনস্টার (দানব) চেপে না বসতে পারে।

শফিকুল আলম বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা দাঁড়িয়ে থেকে স্বৈরাচারের পতনটা ঘটালো, এত রক্তের বিনিময়ে। তাদের তো স্যালুট করা উচিত। এমন একটি আন্দোলন পুরা সাউথ এশিয়ায় আপনি খুঁজে পাবেন না। ভারতে একাধিকবার দাঙ্গা হলেও এ ধরনের আন্দোলন হয়নি। তিনি বলেন, আমরা সবাইকে আহ্বান জানাই বাংলাদেশের শেখ হাসিনার আমলে পুরা ঘটনাবলি, খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে ধরনের অন্যায়-অবিচার করেছে, সেটা নিয়ে একটা বড় বই হয়।

প্রেস সচিব বলেন, পৃথিবীতে কোন দেশে আছে চিফ জাস্টিসকে মেরে বিদেশে পাঠানো হয়েছে? তখন আমাদের পত্রিকাগুলো নীরব ছিল। দেশের চিফ জাস্টিসকে যদি আপনি মেরে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেন, তাহলে তো সে দেশের জুডিশিয়ারি বলে কিছু থাকে না। তখন একটা লোয়ার কোর্টের বিচারকও  জানে, তাকে কোন ধরনের জাজ (রায় দিতে) হবে। এজন্য গত ১৫ বছরের শাসনে যা হয়েছে সবগুলোকে ডকুমেন্ট করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর আব্দুজ জাহের, বৈশাখী টেলিভিশনের হেড অব নিউজ জিয়াউল কবির সুমন, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি মো. মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ, দৈনিক গণজাগরণের সম্পাদক মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, মিজান পাবলিশার্সের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, এস এম হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হবে ‘হৃদয়ে জুলাই ৩৬’: প্রেস সচিব

আপডেট সময় : ১২:২০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মো. শাহ্ আলমের গ্রন্থ ‘হৃদয়ে জুলাই ৩৬’ ইতিহাসের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বীরত্ব গাঁথা স্মরণীয় করে রাখতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিত শিক্ষক মো. শাহ আলম সংকলিত হৃদয়ে জুলাই ’৩৬ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানসহ বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের ভয়াবহ সব মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যাকাণ্ড লিপিবদ্ধ করে দলিল হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে। যেন ভবিষ্যতে জাতির ওপর কোনো দানব চেপে বসতে না পারে।

প্রেস সচিব বলেন, উন্নয়নের নামে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে বলে কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তেমনি জাতিসংঘ জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত কি হয়েছে, তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। সবার এটা পড়া উচিত। সবাই মিলে এটা অনুবাদ করা দরকার। আমাদের জানতে হবে, কি হয়েছিল। ভয়াবহ ডকুমেন্ট! ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস গ্রুপগুলোর রিপোর্টগুলো আপনারা পড়বেন। ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগীদের যেমনি আমরা ভুলিনি, তেমনি জুলাই আগস্টে যারা মারা গেলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটল, কোনোটাই যেন আমরা না ভুলি।

আমাদের ভুলে যাওয়া মানে হচ্ছে স্বৈরাচারকে লাই দেওয়া। আমাদের রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। হাজার হাজার বই লিখতে হবে। এতে আমাদের একটাই লাভ যে, স্বৈরাচার যাতে না আসতে পারে। জাতির ওপর ভবিষ্যতে যেন আরেকটা মনস্টার (দানব) চেপে না বসতে পারে।

শফিকুল আলম বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা দাঁড়িয়ে থেকে স্বৈরাচারের পতনটা ঘটালো, এত রক্তের বিনিময়ে। তাদের তো স্যালুট করা উচিত। এমন একটি আন্দোলন পুরা সাউথ এশিয়ায় আপনি খুঁজে পাবেন না। ভারতে একাধিকবার দাঙ্গা হলেও এ ধরনের আন্দোলন হয়নি। তিনি বলেন, আমরা সবাইকে আহ্বান জানাই বাংলাদেশের শেখ হাসিনার আমলে পুরা ঘটনাবলি, খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে ধরনের অন্যায়-অবিচার করেছে, সেটা নিয়ে একটা বড় বই হয়।

প্রেস সচিব বলেন, পৃথিবীতে কোন দেশে আছে চিফ জাস্টিসকে মেরে বিদেশে পাঠানো হয়েছে? তখন আমাদের পত্রিকাগুলো নীরব ছিল। দেশের চিফ জাস্টিসকে যদি আপনি মেরে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেন, তাহলে তো সে দেশের জুডিশিয়ারি বলে কিছু থাকে না। তখন একটা লোয়ার কোর্টের বিচারকও  জানে, তাকে কোন ধরনের জাজ (রায় দিতে) হবে। এজন্য গত ১৫ বছরের শাসনে যা হয়েছে সবগুলোকে ডকুমেন্ট করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর আব্দুজ জাহের, বৈশাখী টেলিভিশনের হেড অব নিউজ জিয়াউল কবির সুমন, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি মো. মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ, দৈনিক গণজাগরণের সম্পাদক মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, মিজান পাবলিশার্সের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, এস এম হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।