ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মির্জা ফখরুল: নিজেদের স্বার্থে ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বক্তব্যে ষড়যন্ত্রের দেখতে পাচ্ছে জাতীয়তা বাদী দল বিএনপি। এমন কিছু হলে দেশের মানুষ তা মেনে নিবে না বলে হুশিয়ারী উচ্ছারণ করেছেন দলটির মহাসচিব মর্জিা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন,সরকারে থেকে কেউ যদি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় তাহলে এদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। তিনি বলেছেন, “স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেছেন, ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাহলে অংশ নিতে পারবে। এর থেকে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা এখন নিজেদের স্বার্থে ওই ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা মঙ্গলবার যে কথাটা বলেছেন, ইট ইজ ডেঞ্জারাস। তার মানে কী আমরা এটা মনে করবো যে, তারা সরকারে থেকে তাদের দল গোছানোর জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল নিচ্ছেন। সেই কৌশল নিলে আমরা তা হতে দেবো না, এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না।”

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার রাজনীতি” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, তারা চেষ্টা করছেন অতিদ্রুত কিছু কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার। কিন্তু এর মধ্যেই কতগুলো সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে। সেই সন্দেহটা হচ্ছে আদৌও নির্বাচনের ব্যাপারে তারা আন্তরিক কি-না।”

তিনি বলেন, “আমরা খুব পরিষ্কার করেই বলছি, অবশ্যই নতুন যখন রাজনৈতিক দল গঠন হবে তাকে আমরা স্বাগত জানাবো। ছাত্র সংগঠন ইতোমধ্যে করেছেন, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যখন দল তৈরি করবেন আমরা স্বাগত জানাবো। তার মানে এই নয় যে, আপনারা সরকারে বসে, সরকারের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দল গঠন করবেন। সেটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না, জনগণ মেনে নেবে না।”

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমি যখন প্রথম বলেছিলাম যদি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা হারায় তাহলে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। কেন বলেছিলাম তা এখন প্রমাণ হচ্ছে। তখন একজন (উপদেষ্টা) বলেছিলেন আমি একটি এক এগারোর দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা এক এগারোর ভুক্তভোগী, এক এগারো যারা সৃষ্টি করেছিল তারা টিকতে পারেনি জনগণের কাছে।”

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের জ্ঞান চর্চার ওপর গুরত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের শুধুমাত্র আন্দোলন-সংগঠন এসব করলেই চলবে না, আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য অবশ্যই জ্ঞানচর্চাটা করতে হবে। জ্ঞানচর্চাই হবে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে মূল কেন্দ্র। তা না হলে আমরা এগোতে পারবো না।”

ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমাদের ভাই একজনই- তারেক রহমান, আমাদের নেত্রী একজনই- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমাদের দার্শনিক, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা একজনই- শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। মাঝখানে কোনো ভাই-টাই নাই। সবাই ডিসিপ্লিন মানতে হবে, ছাত্র্রদলের নেতা রাকিব, নাছিরের নেতৃত্বে মানতে হবে। অর্থাৎ একটা সুসংগঠিত ছাত্রদল গড়ে তুলতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।”

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের মোস্তফা জামান, ছাত্রদলের পূর্বের সভাপতি সোহাগ ভুঁইয়া, উত্তরের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণের সভাপতি শামীম মাহমুদ ও পশ্চিমের সভাপতি রবির খান বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মির্জা ফখরুল: নিজেদের স্বার্থে ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার

আপডেট সময় : ১১:২৯:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বক্তব্যে ষড়যন্ত্রের দেখতে পাচ্ছে জাতীয়তা বাদী দল বিএনপি। এমন কিছু হলে দেশের মানুষ তা মেনে নিবে না বলে হুশিয়ারী উচ্ছারণ করেছেন দলটির মহাসচিব মর্জিা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন,সরকারে থেকে কেউ যদি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় তাহলে এদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। তিনি বলেছেন, “স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেছেন, ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাহলে অংশ নিতে পারবে। এর থেকে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা এখন নিজেদের স্বার্থে ওই ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা মঙ্গলবার যে কথাটা বলেছেন, ইট ইজ ডেঞ্জারাস। তার মানে কী আমরা এটা মনে করবো যে, তারা সরকারে থেকে তাদের দল গোছানোর জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল নিচ্ছেন। সেই কৌশল নিলে আমরা তা হতে দেবো না, এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না।”

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার রাজনীতি” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, তারা চেষ্টা করছেন অতিদ্রুত কিছু কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার। কিন্তু এর মধ্যেই কতগুলো সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে। সেই সন্দেহটা হচ্ছে আদৌও নির্বাচনের ব্যাপারে তারা আন্তরিক কি-না।”

তিনি বলেন, “আমরা খুব পরিষ্কার করেই বলছি, অবশ্যই নতুন যখন রাজনৈতিক দল গঠন হবে তাকে আমরা স্বাগত জানাবো। ছাত্র সংগঠন ইতোমধ্যে করেছেন, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যখন দল তৈরি করবেন আমরা স্বাগত জানাবো। তার মানে এই নয় যে, আপনারা সরকারে বসে, সরকারের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দল গঠন করবেন। সেটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না, জনগণ মেনে নেবে না।”

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমি যখন প্রথম বলেছিলাম যদি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা হারায় তাহলে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। কেন বলেছিলাম তা এখন প্রমাণ হচ্ছে। তখন একজন (উপদেষ্টা) বলেছিলেন আমি একটি এক এগারোর দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা এক এগারোর ভুক্তভোগী, এক এগারো যারা সৃষ্টি করেছিল তারা টিকতে পারেনি জনগণের কাছে।”

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের জ্ঞান চর্চার ওপর গুরত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের শুধুমাত্র আন্দোলন-সংগঠন এসব করলেই চলবে না, আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য অবশ্যই জ্ঞানচর্চাটা করতে হবে। জ্ঞানচর্চাই হবে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে মূল কেন্দ্র। তা না হলে আমরা এগোতে পারবো না।”

ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমাদের ভাই একজনই- তারেক রহমান, আমাদের নেত্রী একজনই- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমাদের দার্শনিক, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা একজনই- শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। মাঝখানে কোনো ভাই-টাই নাই। সবাই ডিসিপ্লিন মানতে হবে, ছাত্র্রদলের নেতা রাকিব, নাছিরের নেতৃত্বে মানতে হবে। অর্থাৎ একটা সুসংগঠিত ছাত্রদল গড়ে তুলতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।”

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের মোস্তফা জামান, ছাত্রদলের পূর্বের সভাপতি সোহাগ ভুঁইয়া, উত্তরের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণের সভাপতি শামীম মাহমুদ ও পশ্চিমের সভাপতি রবির খান বক্তব্য রাখেন।