ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডিজিএফআইয়ের ‘আয়নাঘরে’ আটক থাকা শনাক্ত করেছেন নাহিদ, তুলে ধরেছেন নানা লোমহর্ষক তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিজিএফআইয়ের ‘আয়নাঘরে’ আটক ছিলেন নাহিদ, এবার তা শনাক্ত করে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেছেন নানা তথ্য।

রাজধানীর তিনটি এলাকায় র‌্যাব ও ডিজিএফআইয়ের এসব ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিল কয়েকটি গণমাধ্যম। কচুক্ষেতে ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর পরিদর্শনের সময় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম একটি কক্ষ শনাক্ত করেন, যেখানে জুলাই আন্দোলনের সময় তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।

এসময় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে এসে ইন্টারোগেশন করা হয়েছে অনেক। যখন চোখ খোলা হয়েছিল, তখন এরকম একটা রুম দেখেছি। যতক্ষণ রুমে থাকতাম, ততক্ষণ চোখ খোলা থাকত, হাতকড়া খুলে দিত। রুম থেকে বের করার সময় চোখ বাঁধত, হাতকড়া বাঁধত।’ ‘এখানে ছিল একটা কাঠের দরজা, তার সামনে একটা লোহার দরজা ছিল। দরজার নিচ দিয়ে খাবার দিত। রুমে গোল গোল হলুদ লাইট ছিল। প্রচুর সাউন্ড হতো বাইরে,’ বলেন তিনি।

 নাহিদ আরও বলেন, ‘একটা পাত্র ছিল, প্রস্রাব করতে হলে এখানেই করতে হতো। অন্যক্ষেত্রে  ওয়াশরুমে নিয়ে যেত।’ নাহিদ আরও জানান, ওই রুমের একপাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনজাতীয় কিছু ছিল। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডিজিএফআইয়ের ‘আয়নাঘরে’ আটক থাকা শনাক্ত করেছেন নাহিদ, তুলে ধরেছেন নানা লোমহর্ষক তথ্য

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ডিজিএফআইয়ের ‘আয়নাঘরে’ আটক ছিলেন নাহিদ, এবার তা শনাক্ত করে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেছেন নানা তথ্য।

রাজধানীর তিনটি এলাকায় র‌্যাব ও ডিজিএফআইয়ের এসব ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিল কয়েকটি গণমাধ্যম। কচুক্ষেতে ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর পরিদর্শনের সময় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম একটি কক্ষ শনাক্ত করেন, যেখানে জুলাই আন্দোলনের সময় তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।

এসময় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে এসে ইন্টারোগেশন করা হয়েছে অনেক। যখন চোখ খোলা হয়েছিল, তখন এরকম একটা রুম দেখেছি। যতক্ষণ রুমে থাকতাম, ততক্ষণ চোখ খোলা থাকত, হাতকড়া খুলে দিত। রুম থেকে বের করার সময় চোখ বাঁধত, হাতকড়া বাঁধত।’ ‘এখানে ছিল একটা কাঠের দরজা, তার সামনে একটা লোহার দরজা ছিল। দরজার নিচ দিয়ে খাবার দিত। রুমে গোল গোল হলুদ লাইট ছিল। প্রচুর সাউন্ড হতো বাইরে,’ বলেন তিনি।

 নাহিদ আরও বলেন, ‘একটা পাত্র ছিল, প্রস্রাব করতে হলে এখানেই করতে হতো। অন্যক্ষেত্রে  ওয়াশরুমে নিয়ে যেত।’ নাহিদ আরও জানান, ওই রুমের একপাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনজাতীয় কিছু ছিল। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়।