ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডেভিল যতদিন অপারেশনও চলবে ততদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:১২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৩ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ডেভিল শব্দের অর্থ শয়তান। এটি একটি গ্রিক শব্দ। সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের জন্য বাংলাদেশ সরকার এই ডেভিল হান্ট অভিযান শুরু করেছে।

তবে এটা কতোদিন চলছে? এই নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চালানো প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ডেভিল যতদিন শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত অপারেশন চলবে ‘

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের নতুন মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

যারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে তাদের টার্গেট করে ডেভিল হান্ট অপারেশন চলবে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাকিদেরও আনা হবে।

গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের। এরপর শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। শনিবার রাত থেকেই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি দেখা গেছে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক জানান, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অপরাধ দেশবাসীর জানা রয়েছে।

শুক্রবার রাতে গাজীপুরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে পতিত স্বৈরাচারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় সমন্বয়কসহ ২৫-৩০ জন ছাত্র-জনতাকে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ডেকে নেয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

আহতদের দাবি, কৌশলে তাদের বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করিয়ে মসজিদের মাইকে ‘ডাকাতি হচ্ছে’ ঘোষণা দিয়ে হামলা চালানো হয়। মুখে মাস্ক পরে, ধারালো অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে মারধর করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এতে আহত হন অন্তত ২০ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী। আহতদের পাঠানো হয় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্র-জনতা। জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবিতে শনিবার সড়কে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি হামলাকারীদের ধরতে আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডেভিল যতদিন অপারেশনও চলবে ততদিন

আপডেট সময় : ১২:১২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ডেভিল শব্দের অর্থ শয়তান। এটি একটি গ্রিক শব্দ। সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের জন্য বাংলাদেশ সরকার এই ডেভিল হান্ট অভিযান শুরু করেছে।

তবে এটা কতোদিন চলছে? এই নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চালানো প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ডেভিল যতদিন শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত অপারেশন চলবে ‘

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের নতুন মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

যারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে তাদের টার্গেট করে ডেভিল হান্ট অপারেশন চলবে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাকিদেরও আনা হবে।

গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের। এরপর শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। শনিবার রাত থেকেই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি দেখা গেছে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক জানান, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অপরাধ দেশবাসীর জানা রয়েছে।

শুক্রবার রাতে গাজীপুরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে পতিত স্বৈরাচারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় সমন্বয়কসহ ২৫-৩০ জন ছাত্র-জনতাকে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ডেকে নেয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

আহতদের দাবি, কৌশলে তাদের বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করিয়ে মসজিদের মাইকে ‘ডাকাতি হচ্ছে’ ঘোষণা দিয়ে হামলা চালানো হয়। মুখে মাস্ক পরে, ধারালো অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে মারধর করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এতে আহত হন অন্তত ২০ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী। আহতদের পাঠানো হয় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্র-জনতা। জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবিতে শনিবার সড়কে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি হামলাকারীদের ধরতে আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।