ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পঞ্চগড়ে শীতল হাওয়া, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশে এখন শীতের প্রকোপ কমে যাবার সময়। ফাল্গুনকে বরণ করার সময় এসছে। যদিও এখনিই বসন্তের কৌকিলের ডাক ‍শুরু হয়ে গেছে চারিদিকে। কিন্তু শীত বিদায় নিতে গিয়েও যেন যাচ্ছে না। মাগের শেষ দিকে এসে শীত পুনরায় যেন ঝেকে বসতে শুরু করেছে। শীতের এই প্রকোপ পঞ্চগড়ে সবচে বেশি।

হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিবছর পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা একটু বেশি হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিশেষ করে হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ছে । এতে স্থবির হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। সেখানে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠা-নামা করছে।

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৪ শতাংশ। তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে পঞ্চগড়ে পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। মাঘ মাসের এ সময়ে হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। হালকা বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। শীতার্তরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।

অপরদিকে কয়েক দিন ধরে টানা ঠান্ডার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রায়ই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় ঢাকা মেইলকে বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৪ শতাংশ। আকাশের উপরিভাগ ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পঞ্চগড়ে শীতল হাওয়া, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি

আপডেট সময় : ১১:৫০:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশে এখন শীতের প্রকোপ কমে যাবার সময়। ফাল্গুনকে বরণ করার সময় এসছে। যদিও এখনিই বসন্তের কৌকিলের ডাক ‍শুরু হয়ে গেছে চারিদিকে। কিন্তু শীত বিদায় নিতে গিয়েও যেন যাচ্ছে না। মাগের শেষ দিকে এসে শীত পুনরায় যেন ঝেকে বসতে শুরু করেছে। শীতের এই প্রকোপ পঞ্চগড়ে সবচে বেশি।

হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিবছর পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা একটু বেশি হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিশেষ করে হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ছে । এতে স্থবির হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। সেখানে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠা-নামা করছে।

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৪ শতাংশ। তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে পঞ্চগড়ে পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। মাঘ মাসের এ সময়ে হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। হালকা বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। শীতার্তরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।

অপরদিকে কয়েক দিন ধরে টানা ঠান্ডার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রায়ই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় ঢাকা মেইলকে বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৪ শতাংশ। আকাশের উপরিভাগ ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।