ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অর্থনৈতিক সংকট দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা জনমনে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:০০:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১২৫ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মৌসুমী শাক-সব্জি বর্তমান বাজারে এখন কম দামে মিলছে। কিন্তু এই মূল্য শেষ পর্যন্ত থাকবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। একটি জরিপে দেখা যায়  বছরের তুলনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পক্ষে প্রায় ৪৩ শতাংশ। তাদের মতে নিত্যপন্যের দাম আরও বাড়তে পারে।তবে ৪১ শতাংশ মনে করছে কমতে পারে নিত্যপন্যের দাম।

নিত্যপন্য নিয়ন্ত্রনের হাতিয়ার হচ্ছে সিন্ডিকেট। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মিলে সিন্ডিকেট করায় নিত্যপন্যে দাম বাড়া-কমায় পরিণত হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর আস্থা নিয়ে সাধারণের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বড় ভূমিকা থাকে। কিন্তু সামরিক বাহিনীর প্রতি আস্থা থাকলেও পুলিশসহ কিছু সরকারি সংস্থার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।

অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং এ বছর জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়তে পারে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরিচালিত এক নাগরিক আস্থা জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের তিন-চতুর্থাংশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন, যার মধ্যে ৪৫ শতাংশ একে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন।

জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। তবে তারা নির্বাচনি সংস্কার, রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির ব্যাপারে উচ্চ প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন। গবেষণা সংস্থা ডেটাসেন্স এর ‘ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স বাংলাদেশ (ইআইবি)’ শীর্ষক প্রকাশনার জন্য করা জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। তথ্য সূত্র- টিবিএস

জরিপে ৫৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদী, ১৬ শতাংশ মন্দার আশঙ্কা করছেন এবং ১৭ শতাংশ অনিশ্চিত রয়েছেন।

‘জরিপে দেখা যায় জুলাই ২০২৪-এর পর ২৪ শতাংশ পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, ৪১ শতাংশ পরিবার ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাপে রয়েছে, যা মুদ্রাস্ফীতি, চাকরির নিরাপত্তা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

জরিপে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থার মাত্রা ভিন্ন। সশস্ত্র বাহিনী (৭২ শতাংশ), নির্বাচন কমিশন (৪৫ শতাংশ) এবং বিচার বিভাগ (৪৬ শতাংশ) তুলনামূলকভাবে বেশি আস্থা অর্জন করেছে। অন্যদিকে, পুলিশের প্রতি ৪২ শতাংশ আস্থা প্রকাশ করলেও ২৭ শতাংশের রয়েছে অবিশ্বাস। দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়েও অনেকেই নেতিবাচক মত দিয়েছেন। দেখা যায়, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা প্রকাশকারীর সংখ্যা সশস্ত্র বাহিনীর তুলনায় অনেক কম।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অর্থনৈতিক সংকট দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা জনমনে

আপডেট সময় : ০২:০০:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মৌসুমী শাক-সব্জি বর্তমান বাজারে এখন কম দামে মিলছে। কিন্তু এই মূল্য শেষ পর্যন্ত থাকবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। একটি জরিপে দেখা যায়  বছরের তুলনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পক্ষে প্রায় ৪৩ শতাংশ। তাদের মতে নিত্যপন্যের দাম আরও বাড়তে পারে।তবে ৪১ শতাংশ মনে করছে কমতে পারে নিত্যপন্যের দাম।

নিত্যপন্য নিয়ন্ত্রনের হাতিয়ার হচ্ছে সিন্ডিকেট। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মিলে সিন্ডিকেট করায় নিত্যপন্যে দাম বাড়া-কমায় পরিণত হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর আস্থা নিয়ে সাধারণের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বড় ভূমিকা থাকে। কিন্তু সামরিক বাহিনীর প্রতি আস্থা থাকলেও পুলিশসহ কিছু সরকারি সংস্থার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।

অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং এ বছর জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়তে পারে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরিচালিত এক নাগরিক আস্থা জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের তিন-চতুর্থাংশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন, যার মধ্যে ৪৫ শতাংশ একে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন।

জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। তবে তারা নির্বাচনি সংস্কার, রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির ব্যাপারে উচ্চ প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন। গবেষণা সংস্থা ডেটাসেন্স এর ‘ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স বাংলাদেশ (ইআইবি)’ শীর্ষক প্রকাশনার জন্য করা জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। তথ্য সূত্র- টিবিএস

জরিপে ৫৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদী, ১৬ শতাংশ মন্দার আশঙ্কা করছেন এবং ১৭ শতাংশ অনিশ্চিত রয়েছেন।

‘জরিপে দেখা যায় জুলাই ২০২৪-এর পর ২৪ শতাংশ পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, ৪১ শতাংশ পরিবার ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাপে রয়েছে, যা মুদ্রাস্ফীতি, চাকরির নিরাপত্তা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

জরিপে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থার মাত্রা ভিন্ন। সশস্ত্র বাহিনী (৭২ শতাংশ), নির্বাচন কমিশন (৪৫ শতাংশ) এবং বিচার বিভাগ (৪৬ শতাংশ) তুলনামূলকভাবে বেশি আস্থা অর্জন করেছে। অন্যদিকে, পুলিশের প্রতি ৪২ শতাংশ আস্থা প্রকাশ করলেও ২৭ শতাংশের রয়েছে অবিশ্বাস। দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়েও অনেকেই নেতিবাচক মত দিয়েছেন। দেখা যায়, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা প্রকাশকারীর সংখ্যা সশস্ত্র বাহিনীর তুলনায় অনেক কম।