ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বায়ুদূষণে বাড়ছে ফুসফুসে ক্যানসার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০২ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে বায়ুদুষন। শহরজুড়ে বায়ুদুষনে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। যার প্রভাব্ পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর। যা কিনা্ ফুসফুসে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এর ফলে অধুমপায়ীরা এ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দাদের মধ্যে  নারী এবং পুরুষ উভয়ের মাঝে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।

আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।  ক্যানসারে আক্রান্তদের বেশিরভাগই ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালে সারা বিশ্বে ২৫ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আজ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে এই গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ পেয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই পুরুষ। তবে নারীদের মাঝেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। ২০২২ সালে আক্রান্ত ২৫ লাখ রোগীর মধ্যে প্রায় ১০ লাখই নারী।

গবেষকরা উল্লেখ করেন, ১৮৫ দেশে ফুসফুসের ক্যানসারের উপ-ধরন অ্যাডিনোকার্সিনোমা নারীদের মধ্যে বেশি দেখা দিয়েছে। চীনের অর্থায়নে পরিচালিত হয় এই গবেষণা।

প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ‘বায়ুদূষণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এতে অ্যাডিনোকার্সিনোমার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়া যায়। বিশ্বজুড়ে “কখনো ধূমপান করেননি” এমন অসংখ্য মানুষ ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের ৫৩ থেকে ৭০ শতাংশই অ্যাডিনোকার্সিনোমায় আক্রান্ত।’

২০২০ থেকে ২০২২ সালে নারী ও পুরুষ, উভয়ের মাঝেই আক্রান্তের হার বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নারীদের মাঝে—ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে ৬ জনই অ্যাডিনোকার্সিনোমায় আক্রান্ত হন।

গবেষকরা জানান, ‘একদিকে যেমন বিশ্বজুড়ে ধূমপানের প্রবণতা কমছে, অপরদিকে, যারা কখনো ধূমপান করেননি, তাদের মাঝে ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।’ ‘বিশ্বজুড়ে ক্যানসার সংক্রান্ত মৃত্যুর শীর্ষ কারণের পাঁচ নম্বরে আছে অধূমপায়ীদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া। এবং এ ক্ষেত্রে প্রায় সবাই অ্যাডিনোকার্সিনোমায় আক্রান্ত হয়েছেন। নারী ও এশীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি’।  এই সমীক্ষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পরিসংখ্যানগত গবেষণা চালানো হয়েছে।

গবেষকরা উল্লেখ করেন, বায়ু দূষণের কারণে অ্যাডিনোকার্সিনোমায় আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে পূর্ব এশিয়ায়। একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন চীনের বাসিন্দারা।  তারা জানান, ‘চীনে ঘর উষ্ণ রাখা ও রান্নার প্রয়োজনে কাঠ ও অন্যান্য তরল নয় এমন জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট বায়ু দূষণ ফুসফুসের ক্যানসারের অনুঘটক হিসেবে কাজ করে থাকতে পারে।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বায়ুদূষণে বাড়ছে ফুসফুসে ক্যানসার

আপডেট সময় : ০৯:১৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে বায়ুদুষন। শহরজুড়ে বায়ুদুষনে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। যার প্রভাব্ পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর। যা কিনা্ ফুসফুসে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এর ফলে অধুমপায়ীরা এ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দাদের মধ্যে  নারী এবং পুরুষ উভয়ের মাঝে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।

আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।  ক্যানসারে আক্রান্তদের বেশিরভাগই ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালে সারা বিশ্বে ২৫ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আজ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে এই গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ পেয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই পুরুষ। তবে নারীদের মাঝেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। ২০২২ সালে আক্রান্ত ২৫ লাখ রোগীর মধ্যে প্রায় ১০ লাখই নারী।

গবেষকরা উল্লেখ করেন, ১৮৫ দেশে ফুসফুসের ক্যানসারের উপ-ধরন অ্যাডিনোকার্সিনোমা নারীদের মধ্যে বেশি দেখা দিয়েছে। চীনের অর্থায়নে পরিচালিত হয় এই গবেষণা।

প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ‘বায়ুদূষণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এতে অ্যাডিনোকার্সিনোমার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়া যায়। বিশ্বজুড়ে “কখনো ধূমপান করেননি” এমন অসংখ্য মানুষ ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের ৫৩ থেকে ৭০ শতাংশই অ্যাডিনোকার্সিনোমায় আক্রান্ত।’

২০২০ থেকে ২০২২ সালে নারী ও পুরুষ, উভয়ের মাঝেই আক্রান্তের হার বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নারীদের মাঝে—ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে ৬ জনই অ্যাডিনোকার্সিনোমায় আক্রান্ত হন।

গবেষকরা জানান, ‘একদিকে যেমন বিশ্বজুড়ে ধূমপানের প্রবণতা কমছে, অপরদিকে, যারা কখনো ধূমপান করেননি, তাদের মাঝে ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।’ ‘বিশ্বজুড়ে ক্যানসার সংক্রান্ত মৃত্যুর শীর্ষ কারণের পাঁচ নম্বরে আছে অধূমপায়ীদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া। এবং এ ক্ষেত্রে প্রায় সবাই অ্যাডিনোকার্সিনোমায় আক্রান্ত হয়েছেন। নারী ও এশীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি’।  এই সমীক্ষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পরিসংখ্যানগত গবেষণা চালানো হয়েছে।

গবেষকরা উল্লেখ করেন, বায়ু দূষণের কারণে অ্যাডিনোকার্সিনোমায় আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে পূর্ব এশিয়ায়। একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন চীনের বাসিন্দারা।  তারা জানান, ‘চীনে ঘর উষ্ণ রাখা ও রান্নার প্রয়োজনে কাঠ ও অন্যান্য তরল নয় এমন জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট বায়ু দূষণ ফুসফুসের ক্যানসারের অনুঘটক হিসেবে কাজ করে থাকতে পারে।’