ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আওয়ামী লীগের অনলাইন হরতাল-অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৩৩ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ অনেকট‍াই অদৃশ্য। উপর থেকে নিচের সকল নেতাই গা ঢাকা দিয়ে আছেন। গত পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর এখন মাটির নিচ থেকে অনেকটা বাইন মাছের মতোই নড়া-ছড়া দিয়ে উঠছে। রাতের অন্ধকারে দেশের অনেক জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ মিছিল বের করেছে এবং করার চেষ্টা করছে। তাতে জনগনের সাড়া না পেয়ে এবা্র স্যোসাল মিডিয়ায় হরতাল-অবরোধ করেছে। আজ এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি আরও বলেন, তারা জনগণের মধ্যে যেতে পারছেন না। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শেখ হাসিনা তার বর্বর শাসন ফিরে পাওয়ার জন্য মরিয়া উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘উনি আরেকটি দেশ থেকে আশ্রয় পাচ্ছেন, তিনি বাংলাদেশের ভেতর উসকানিমূলক কাজ এবং চক্রান্ত করার জন্য তার নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন। কিন্তু জনগণের সাড়া না পেয়ে এখন তারা হরতাল আর অবরোধ করছেন অনলাইনে। জনগণের মধ্যে যেতে পারছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এমন সংস্কার করতে হবে, যাতে কোনো সরকার যেন রক্তচক্ষু দেখিয়ে জনগণকে দমন করতে না পারে।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা চাই, আগামী দিনে গণতন্ত্রের বিকাশ এবং গণতন্ত্রের সত্যিকার যে মুক্ত পরিবেশ—যেখানে কথা বলা যাবে নির্ভয়ে, মিছিল করা যাবে নির্ভয়ে, যেখানে রাজনৈতিক সভা-সম‍াবেশ করা যাবে নির্ভয়ে, সেটার জন্য এক রক্ত ঝরা আন্দোলনে ১৬ বছর বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর আত্মদান এবং তাদের রক্তভেজা শার্টের বিনিময়ে আজকের এই পরিবেশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের একটি পর্যায় পার করেছি, এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আসতে হবে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। এ দেশে যেন কোনো বিক্ষোভ, কোনো আন্দোলন যাই হোক না ‘কেন তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শটগান বের করে, গুলি করে হত্যার যে দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী দেখিয়েছে, আন্দোলন দমানোর জন্য শটগান-গুলির ব্যবহার চির দিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আওয়ামী লীগের অনলাইন হরতাল-অবরোধ

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ অনেকট‍াই অদৃশ্য। উপর থেকে নিচের সকল নেতাই গা ঢাকা দিয়ে আছেন। গত পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর এখন মাটির নিচ থেকে অনেকটা বাইন মাছের মতোই নড়া-ছড়া দিয়ে উঠছে। রাতের অন্ধকারে দেশের অনেক জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ মিছিল বের করেছে এবং করার চেষ্টা করছে। তাতে জনগনের সাড়া না পেয়ে এবা্র স্যোসাল মিডিয়ায় হরতাল-অবরোধ করেছে। আজ এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি আরও বলেন, তারা জনগণের মধ্যে যেতে পারছেন না। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শেখ হাসিনা তার বর্বর শাসন ফিরে পাওয়ার জন্য মরিয়া উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘উনি আরেকটি দেশ থেকে আশ্রয় পাচ্ছেন, তিনি বাংলাদেশের ভেতর উসকানিমূলক কাজ এবং চক্রান্ত করার জন্য তার নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন। কিন্তু জনগণের সাড়া না পেয়ে এখন তারা হরতাল আর অবরোধ করছেন অনলাইনে। জনগণের মধ্যে যেতে পারছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এমন সংস্কার করতে হবে, যাতে কোনো সরকার যেন রক্তচক্ষু দেখিয়ে জনগণকে দমন করতে না পারে।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা চাই, আগামী দিনে গণতন্ত্রের বিকাশ এবং গণতন্ত্রের সত্যিকার যে মুক্ত পরিবেশ—যেখানে কথা বলা যাবে নির্ভয়ে, মিছিল করা যাবে নির্ভয়ে, যেখানে রাজনৈতিক সভা-সম‍াবেশ করা যাবে নির্ভয়ে, সেটার জন্য এক রক্ত ঝরা আন্দোলনে ১৬ বছর বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর আত্মদান এবং তাদের রক্তভেজা শার্টের বিনিময়ে আজকের এই পরিবেশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের একটি পর্যায় পার করেছি, এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আসতে হবে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। এ দেশে যেন কোনো বিক্ষোভ, কোনো আন্দোলন যাই হোক না ‘কেন তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শটগান বের করে, গুলি করে হত্যার যে দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী দেখিয়েছে, আন্দোলন দমানোর জন্য শটগান-গুলির ব্যবহার চির দিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।’