ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে আবারও এশিয়া সেরা বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৯৯ রানের সংগ্রহটা খুব একটা বড় নয়। কিন্তু তাতেই বাজিমাত করে দিলেন জুনিয়র টাইগাররা। যুব এশিয়াকাপের ফাইনালে ভারতকে তাতেও হারালো বড় ব্যবধানে, ৫৯ রানে। যা কিনা সত্যিকার অর্থেই চমকে দেয়ার মতো। যুব বিশ্বকাপের পর ভারতের বিপক্ষে এই আরেকটি মহান বিজয়। ভারতীয়দের বিপক্ষে দুটোই ছিলো শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচ।
গতকালকেরটি ছিলো যুব এশিয়াকাপের ফাইনাল ম্যাচের লড়াই। বাংলাদেশের ছেলেরা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সব কয়টি উইকেটে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ভারতীয় সব কয়টি উইকেট তারা ধ্বসে দেয় মাত্র ১৩৯ রানে। দুবাইয়ের মাঠে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় যুব এশিয়াকাপের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ এই ভারতকে গতবার হারিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। তাই এই ম্যাচ ভারতের জন্য ছিল প্রতিশোধের। তা তো হলোই না। উল্টো গতবার তাদের হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরুতেই চাপে ফেলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারেই আইয়ুশ মাত্রেকে বিদায় দেন আল ফাহাদ। ৪.৪ ওভারে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মারুফ মৃধা। তাতে ঠিকমতো দাঁড়ানোর সুযোগই পায়নি ভারত। মাঝের দিকে আন্দ্রে সিদ্ধার্থ (২০), কার্থিকেয়ার (২১) পর প্রান্ত আগলে লড়াইয়ের চেষ্টা করতে থাকেন ভারতের অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। ৯২ রানে সপ্তম উইকেট পড়লে বাংলাদেশের জয়ের পথে কাঁটা হয়েছিলেন তিনি। দলের ১১৫ রানে আমানকে (২৬) বোল্ড করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে তখন প্রয়োজন আর দুই উইকেটের। দ্রুত সময়ে নবম উইকেটও তুলে নেন হাকিম। বোল্ড করেন হার্দিক রাজকে (২৪)। তারপর ৩৫.২ ওভারে চেতন শর্মাকে ফিরিয়ে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি। ভারত অলআউট হয়েছে ১৩৯ রানে।
২.২ ওভারে ১ মেডেন ও ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন আজিজুল হাকিম। ২৪ রানে সমসংখ্যক উইকেট নেন ইকবাল হোসেনও। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচসেরা তিনি। ১৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরাও ইকবাল হোসেন। ৩৪ রানে দুটি নিয়েছেন আল ফাহাদ। একটি করে নিয়েছেন মারুফ মৃধা ও রিজান হোসেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত বছর প্রথমবারের মতো তারা শিরোপা জিতেছিল। শিরোপা ধরে রাখতে ফাইনালে খুব বড় সংগ্রহ পায়নি শুরুতে। ভারতের বিপক্ষে ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানেই তারা অলআউট হয়েছে।
টস জিতে শুরুতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। শুরুটা খারাপও ছিল না। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারালে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে দলকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন। ৬২ রানের জুটি গড়েন তারা। জেমস ৬৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রানে ফিরতেই ঘটে ছন্দপতন। দ্রুত সময়ে উইকেট হারাতে থাকলে ১৬৭ রানেই পতন হয় অষ্টম উইকেটের। রিজান ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে ৬৫ বলে ৩ চারে সর্বোচ্চ ৪৭ রানে ফিরেছেন। তখন দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু নবম উইকেটে ফরিদ হাসান ও মারুফ মৃধার ৩১ রানের জুটিতে স্কোর দুইশ’র কাছাকাছি গেছে। ফরিদ ৪৯ বলে ৩ চারে ৩৯ রানে ফিরতেই ১৯৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। মারুফ ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন যুদ্ধজিৎ গুহ, চেতন শর্মা ও হার্দিক রাজ। একটি করে নিয়েছেন কিরন, কার্থিকেয়া ও মাত্রে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে আবারও এশিয়া সেরা বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৯:১০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

১৯৯ রানের সংগ্রহটা খুব একটা বড় নয়। কিন্তু তাতেই বাজিমাত করে দিলেন জুনিয়র টাইগাররা। যুব এশিয়াকাপের ফাইনালে ভারতকে তাতেও হারালো বড় ব্যবধানে, ৫৯ রানে। যা কিনা সত্যিকার অর্থেই চমকে দেয়ার মতো। যুব বিশ্বকাপের পর ভারতের বিপক্ষে এই আরেকটি মহান বিজয়। ভারতীয়দের বিপক্ষে দুটোই ছিলো শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচ।
গতকালকেরটি ছিলো যুব এশিয়াকাপের ফাইনাল ম্যাচের লড়াই। বাংলাদেশের ছেলেরা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সব কয়টি উইকেটে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ভারতীয় সব কয়টি উইকেট তারা ধ্বসে দেয় মাত্র ১৩৯ রানে। দুবাইয়ের মাঠে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় যুব এশিয়াকাপের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ এই ভারতকে গতবার হারিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। তাই এই ম্যাচ ভারতের জন্য ছিল প্রতিশোধের। তা তো হলোই না। উল্টো গতবার তাদের হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরুতেই চাপে ফেলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারেই আইয়ুশ মাত্রেকে বিদায় দেন আল ফাহাদ। ৪.৪ ওভারে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মারুফ মৃধা। তাতে ঠিকমতো দাঁড়ানোর সুযোগই পায়নি ভারত। মাঝের দিকে আন্দ্রে সিদ্ধার্থ (২০), কার্থিকেয়ার (২১) পর প্রান্ত আগলে লড়াইয়ের চেষ্টা করতে থাকেন ভারতের অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। ৯২ রানে সপ্তম উইকেট পড়লে বাংলাদেশের জয়ের পথে কাঁটা হয়েছিলেন তিনি। দলের ১১৫ রানে আমানকে (২৬) বোল্ড করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে তখন প্রয়োজন আর দুই উইকেটের। দ্রুত সময়ে নবম উইকেটও তুলে নেন হাকিম। বোল্ড করেন হার্দিক রাজকে (২৪)। তারপর ৩৫.২ ওভারে চেতন শর্মাকে ফিরিয়ে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি। ভারত অলআউট হয়েছে ১৩৯ রানে।
২.২ ওভারে ১ মেডেন ও ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন আজিজুল হাকিম। ২৪ রানে সমসংখ্যক উইকেট নেন ইকবাল হোসেনও। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচসেরা তিনি। ১৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরাও ইকবাল হোসেন। ৩৪ রানে দুটি নিয়েছেন আল ফাহাদ। একটি করে নিয়েছেন মারুফ মৃধা ও রিজান হোসেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত বছর প্রথমবারের মতো তারা শিরোপা জিতেছিল। শিরোপা ধরে রাখতে ফাইনালে খুব বড় সংগ্রহ পায়নি শুরুতে। ভারতের বিপক্ষে ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানেই তারা অলআউট হয়েছে।
টস জিতে শুরুতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। শুরুটা খারাপও ছিল না। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারালে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে দলকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন। ৬২ রানের জুটি গড়েন তারা। জেমস ৬৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রানে ফিরতেই ঘটে ছন্দপতন। দ্রুত সময়ে উইকেট হারাতে থাকলে ১৬৭ রানেই পতন হয় অষ্টম উইকেটের। রিজান ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে ৬৫ বলে ৩ চারে সর্বোচ্চ ৪৭ রানে ফিরেছেন। তখন দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু নবম উইকেটে ফরিদ হাসান ও মারুফ মৃধার ৩১ রানের জুটিতে স্কোর দুইশ’র কাছাকাছি গেছে। ফরিদ ৪৯ বলে ৩ চারে ৩৯ রানে ফিরতেই ১৯৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। মারুফ ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন যুদ্ধজিৎ গুহ, চেতন শর্মা ও হার্দিক রাজ। একটি করে নিয়েছেন কিরন, কার্থিকেয়া ও মাত্রে।