বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মেটাকে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

- আপডেট সময় : ০৮:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১৮২ বার পড়া হয়েছে
জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাবার পর থেকেই বাংলাদেশকে নিয়ে একশ্রেণীর মিডিয়া অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত থেকেই এই বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বেশি। ভারত ছাড়াও চীনসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার চালানো হচ্ছে। যা কিনা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় হুমকি জনক।
ব্যাপক বিভ্রান্তিমূলক এ সকল মিথ্যা তথ্য প্রচারারোনা চালানো হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়াতে। বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুকে এ সকল বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার ঠেকাতে মেটাকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। গতকাল রোববার মেটার পরিচালক (মানবাধিকার নীত) মিরান্ডার সিসন্স প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাত করলে এ আবহবান জানানো হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশকে নিয়ে চরম মিথ্যাবাদী তথ্য উপস্থাপন করে আসছে। প্রায় ৪৯টি ভারতীয় গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে আসে। যার মধ্যে প্রথম সারিরই রয়েছে আটটি। তাদের অপতথ্যে ছিলো বাংলাদেশে হিন্দুসম্প্রদায়ের উপর হামলা চলছে। যা কখনই সঠিক তথ্য ছিলো না। কথিপয় হিন্দু ফ্যাসিস্টের দোসর হয়ে কাজ করা এবং অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের উপর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। আর এই বিষয়টিকে অন্য দিকে রুপ দিয়ে, ভুয়া গল্প সাজিয়ে, বিভ্রান্তিমূলক রিপোর্ট প্রকাশ করছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। যা কিনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।
মেটার পরিচালককে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাপক হারে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চলছে এবং আমরা এর ভুক্তভোগী।’
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে নস্যাৎ করতে কিছু দেশ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মেটা পরিচালক সিসন্স প্রধান উপদেষ্টাকে মেটা’র মানবাধিকার নীতি ব্যাখ্যা করে বলেন, তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ যেন বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্য তারা সতর্ক থাকেন।
প্রধান উপদেষ্টা মেটাকে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রযুক্তিকে আরও সহজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি হচ্ছে কিছু করার একটি হাতিয়ার। কিন্তু প্রযুক্তি সিদ্ধান্ত নেয় না যে আমরা জিনিসগুলো নিয়ে কী করতে চাই। সুতরাং, এটি নিখুঁত করার জন্য আমাদের রিইঞ্জিনিয়ারিং করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ফেসবুকের কারণে আপনাদের সম্ভাবনা প্রচুর। তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গোড়ে তুলতে ফেসবুক ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব-২ সজীব এম খায়রুল ইসলাম, মেটার বাংলাদেশ ও নেপালের পাবলিক পলিসির প্রধান রুজান সারওয়ার, মেটার অ্যাসোসিয়েট জেনারেল কাউন্সেল নয়নতারা নারায়ণ, মেটার এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভুল তথ্য নীতিমালা প্রধান এলিস বুদিসাত্রিজো উপস্থিত ছিলেন।